নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ বিট পুলিশিং এর মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশ তৃণমূল পর্যায়ে অপরাধ দমন ও প্রতিকারে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে চলছে।
মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের সন্ত্রাসবাদের ইতিহাস ও কারণ, সহিংস উগ্রবাদী কার্যক্রমে ব্যবহৃত অস্ত্র, সম্পদ, সরঞ্জাম ও অর্থায়ন, জঙ্গি হামলার শিকার ও লক্ষ্য, সন্ত্রাস বিরোধী আইন ও বিধি, নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনসমূহের কার্যক্রম, জঙ্গী বিরোধী অভিযান পরিচালনা পদ্ধতি, উগ্রবাদ প্রতিরোধে সুশীল সমাজ ও বিট পুলিশের ভূমিকা, সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকারের পলিসি ও চ্যালেঞ্জসমূহ সাইবার সন্ত্রাস প্রতিকার ও প্রতিরোধে করণীয়; সন্ত্রাসী ও উগ্রবাদী কার্যক্রমে ইসলামের অপব্যাখ্যা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা একান্ত প্রয়োজন।
এই প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করে অতিরিক্ত আইজি, এন্টি টেররিজম ইউনিট এর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে উগ্রবাদ দমন ও প্রতিরোধে তৈরি হয়েছে একদল দক্ষ মানবসম্পদ যারা জ্ঞান ও দক্ষতা বিনিময় করবেন দেশের প্রত্যেক প্রান্তে, প্রতিটি থানায়।
সারাদেশের ইন-সার্ভিস প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসমূহের মাধ্যমে প্রতিটি থানার কমপক্ষে একজন কর্মকর্তাকে অভিন্ন মডিউলে দুই দিন মেয়াদি ❝Countering & Preventing Violent Extremism❞ শীর্ষক প্রশিক্ষণ প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এটিইউ TOT পুলের সদস্যগণ। এই প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী কর্মকর্তাগণ উগ্রবাদ বিস্তার প্রতিরোধে সহকর্মীদের সঙ্গে শিক্ষণ বিনিময়ের পাশাপাশি সামাজিক দূত হিসেবে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারবেন।
এন্টি টেররিজম ইউনিটের এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে গত ২২ ফেব্রুয়ারি এবং ২৩ ফেব্রুয়ারি ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার, গাজীপুরের তত্ত্বাবধানে তিনটি জেলা (গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জ) ও জিএমপির এসআই ও ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার ত্রিশজন কর্মকর্তাকে অ্যাডিশনাল ডিআইজি মোহা: মনিরুজ্জামান, পিপিএম (খুলনা বিভাগ) ও এসপি (ইন্টেলিজেন্স) এম,এম হাসানুল জাহীদ, বিপিএম- বার, পিপিএম ❝Countering & Preventing Violent Extremism❞ শীর্ষক কোর্সে প্রশিক্ষণ প্রদান করেছেন।
প্রশিক্ষণ সমন্বয় ও সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন মোঃ ছালেহ উদ্দিন, কমান্ড্যান্ট, ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার, গাজীপুর।
