পারিবারিক ইয়াবা ব্যাবসায়ী বাবা-ছেলে ইয়াবা সহ ডিএনসি’র অভিযানে আটক।
নিজস্ব প্রতিবেদক : মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) প্রতিষ্ঠার সূচনালগ্ন থেকেই মাদক নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে অত্যন্ত আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে আসছে। মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতারসহ নেশার মরণ ছোবল থেকে তরুন সমাজকে রক্ষার জন্য ঢাকা মহানগরীতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ঢাকা মেট্রোঃ কার্যালয় (উত্তর) এর জোরালো কার্যক্রম অব্যাহত আছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক জাফরুল্ল্যাহ কাজল ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, ঢাকা মেট্রো কার্যালয় (উত্তর) এর উপ-পরিচালক মোঃ রাশেদুজ্জামান এর প্রত্যক্ষ তত্তাবধানে এবং সহকারী পরিচালক, ঢাকা মেট্রো কার্যালয় (উত্তর) মোঃ মেহেদী হাসান এর নেতৃত্বে মিরপুর সার্কেলের সমন্বয়ে টিম গঠন করে গত শনিবার ২৪ জুন, সকাল হতে যাত্রাবাড়ী থানাধীন, বিশ্বরোড ২৩/৪ গোলাপবাগ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ২০, ০০০ (বিশ হাজার) পিস ইয়াবাসহ ২ (দুই) জন মাদক পাঁচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের নাম ও ঠিকানা যথাক্রমে, মো: হাবিব উল্লাহ (৫০), পিতা: মৃত: আমিন উদ্দিন, থানা: রামু, জেলা: কক্সবাজার। পেশাঃ ব্যবসা (বাবা) এবং মো: ছালাহ উদ্দিন (১৯), পিতা: মো: হাবিব উল্লাহ, থানা: রামু, জেলা: কক্সবাজার। পেশাঃ ব্যবসা (ছেলে)।
যেভাবে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে মাদক দ্রব্য পাঁচারের নতুন কৌশল অবলম্বন করছে মাদক ব্যাবসায়ীরা : গ্রেফতারকৃত হাবিব উল্লাহ জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীসহ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তৎপরতা বৃদ্ধি পাওয়ায় ইয়াবা কক্সবাজার হতে ঢাকাসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলে ইয়াবা পাঁচারের জন্য মহাসড়কের বিকল্প হিসাবে কক্সবাজার হতে প্রথমে বান্দরবান –রাঙ্গামাটি ও সবশেষ খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা হয়ে লোকাল বাসে কয়েক ধাপে ফেনী আসে। তারপর তার ছেলে মো: ছালাহ উদ্দিন (১৯) কে আগে কোন গাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।
মো: ছালাহ উদ্দিন (১৯) দাউদকান্দি টোলপ্লাজাসহ গুরুত্বপূর্ণ চেক পয়েন্টে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতার বিষয়ে আগে হাবিব উল্লাহ কে অবহিত করে। ছেলের ক্লিয়ারেন্সের ভিত্তিতে হাবিব উল্লাহ (৫০) সুযোগ বুঝে বিভিন্ন ছদœবেশে কৌশলে ইয়াবার চালান নিয়ে ঢাকায় প্রবেশ করে। জিজ্ঞাসাবাদে একই কৌশলে অতীতেও আরো বিপুল পরিমাণ ইয়াবার চালান ঢাকাসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলে পাঁচার করেছে বলে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের কাছে শ্বীকার করে।
য়েভাবে চক্রটিকে গ্রেফতার করা হয় : মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের কাছে তথ্য ছিল এই চক্রটি বিপুল পরিমাণ ইয়াবা নিয়ে ঢাকায় অবস্থান করবে। সে মোতাবেক তথ্য সংগ্রহপূর্বক মাদক কর্মকর্তারা তাদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করতে থাকে। রাত ২ টার দিকে যাত্রাবাড়ী থানাধীন বিশ্বরোডস্থ ২৩/৪ গোলাপবাগ, রায়মা কনফেকশনারী নামক দোকানের সামনে থেকে চক্রটির অন্যতম মূল হোতা মো: হাবিব উল্লাহ (৫০) ও তার ছেলে মো: ছালাহ উদ্দিন (১৯) কে ২০,০০০ (বিশ হাজার) পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ (সংশোধিত ২০২০) মোতাবেক সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা মেট্রো : কার্যলয় (উত্তর) এর উপ-পরিচালক মো: রাশেদুজ্জামান আজকের দেশ ডটকম কে জানান, মাদক ব্যবসায়ী ও পাঁচারকারীরা যতই কৌশল অবলম্বন করুক না কেন, মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ঢাকা মেট্রোঃ কার্যালয় (উত্তর) কর্তৃক ভবিষ্যতে এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।মাাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত মাদকের বিরুদ্ধে ‘শূন্য সহিষ্ণুতা’ নীতি বাস্তবায়নে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) বদ্ধপরিকর।