ডিএনসিসি’র মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম।
নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ মহান আল্লাহ তালার উদ্দেশ্যে ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হোক আমাদের সকলের জীবন। ধনী-গরীবের সকল ভেদাভেদ ভুলে মহান সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি লাভই হোক আমাদের সকলের প্রত্যাশা।
পবিত্র ঈদু-উল-আযহা উপলক্ষ্যে ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ পশু কোরবানি করে থাকেন। প্রতিবারের ন্যায় এবারও ঢাকায় কয়েক লাখ গবাদিপশু কোরবানি দেওয়া হবে।
আমি সবাইকে অনুরোধ করবো- ঈদের দিন ও ঈদের পরের দিনের মধ্যে কোরবানির কাজ সমাপ্ত করতে।
কোরবানি করার পর জবাইকৃত পশুর রক্ত পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এবং ওই স্থানে ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে দিন। এতে দুর্গন্ধ ও রোগ-জীবানু ছড়াবে না।
কোরবানির পরে সৃষ্ট বর্জ্য যেমন- হাড়, চামড়া, গোবর সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক সর্বরাহকৃত পরিবেশ বান্ধব ব্যাগ কিংবা যে কোনো বস্তায় ভরে নির্দিষ্ট স্থানে রাখুন যাতে করে পরিচ্ছন্নকর্মীরা খুব সহজেই সেটি সংগ্রহ করতে পারে।
কোনো অবস্থাতেই চামড়া, গোবর, হাড় ড্রেনে ফেলবেন না। এতে ড্রেন বন্ধ হয়ে ভোগান্তি বাড়তে পারে।
বাসা-বাড়ির জানালা বা বারান্দা থেকে কোনো ময়লা ছুড়ে ফেলবেন না।
ঈদের দিন দুপুর ২টা থেকে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম শুরু হবে। আপনাদের সহযোগিতায় পরবর্তী ৮ ঘণ্টার মধ্যে শহরের সমস্ত বর্জ্য অপসারণ করে নেওয়া হবে।
ডেঙ্গু নিয়ে কিছু সতর্কতা ঃ
বর্ষা মৌসুম চলছে এটি এডিস মশার বংশবিস্তারের উপযুক্ত সময়। বাসা-বাড়ির ভিতরে এবং আশেপাশে যত্রতত্র পড়ে থাকা অব্যহৃত পাত্রের পানিতে এডিস মশা বংশবিস্তার করে।
আমরা সচেতন হলেই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা খুব বেশি কঠিন কাজ নয়। কোরবানির ঈদ উপলক্ষ্যে অনেকেই গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছেন। যাওয়ার আগে নিশ্চিত হোন বাসা-বাড়ির কোথাও পানি জমে থাকার সম্ভবনা আছে কিনা। থাকলে স্থানটি পরিষ্কার করে দিন। অপ্রয়োজনীয় ও পরিত্যক্ত পানির পাত্র ধ্বংস করুন অথবা উলটিয়ে রাখুন।মনে রাখতে হবে, এ সময় অধিক সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।ঈদের ছুটি কাটিয়ে ঢাকায় ফিরে নিজের বাসা-বাড়ি আঙ্গিনাটি পরিষ্কার করুন- নিরাপদে থাকুন!
সর্বপরি ঈদ বয়ে আনুক আমাদের সকলের জন্য অনাবিল আনন্দ। নিজে সুস্থ থাকি অপরকে সুস্থ রাখি। নিজেরা সচেতন হলে সবাই মিলে সুস্থ, সচল ও আধুনিক ঢাকা গড়ে তুলতে পারবো।জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু