!!  কালব টাওয়ারের জন্যে বাজারদরের দেড়গুণ মূল্যে জমি ক্রয়  !!  না বুঝে করতালি দিয়ে  এখন তাদের মাথায় হাত !

Uncategorized অপরাধ আইন ও আদালত ঢাকা বিশেষ প্রতিবেদন রাজধানী

 

 

নিজস্ব প্রতিবেদক  : দি কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লীগ অব বাংলাদেশ (কালব) এর প্রস্তাবিত প্রধান কার্যালয়ের জন্যে দি মেট্রোপলিটান খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লি: থেকে বাজারদরের প্রায় দেড়গুণ মূল্যে জমি ক্রয় করার তথ্য পাওয়া গেছে।


বিজ্ঞাপন

সোসাইটি’র ব্যুক ভ্যালুতে জমি ক্রয় করা হবে-এমন খবর শুনে বোর্ডসভায় সদস্যগণ করতালি দিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয় প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান (দুই প্রতিষ্ঠানেই চেয়ারম্যান পদে থাকার বৈধতা নিয়ে আইনগত প্রশ্ন আছে) আগষ্টিন পিউরিফিকেশনকে অভিনন্দন জানালেও এখন বাজারদরের দেড়গুণ মূল্য দেখে বোর্ড সদস্যদের মাথায় হাত পড়েছে বলে জানাগেছে।


বিজ্ঞাপন

কালবের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগেছে,কালবের চতুর্থ বোর্ড সভার কার্য বিবরণী অনুযায়ী দি মেট্রোপলিটান খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটির মালিকানাধিন ঢাকা জেলার ভাটারা এলাকার বাড্ডা সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের অধিন ১০০ ফিট মাদানী রোডে অবস্থিত জমি কালবের প্রধান কার্যালয় নির্মানের উদ্দেশ্যে ক্রয়ের জন্যে ২২ মার্চ তৃতীয় বোর্ড সভায় চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়।

সোসাইটির ভাটারা ৩ নং প্রকল্পের ১৮ ও ১৯ নং প্লট রাস্তার অংশ সহ ৫.৪৩৯ কাঠা ক্রয় করার নিমিত্তে জমির মূল্য,রেজিস্ট্রেশন,খাজনা,সার্ভে,ভ্যাট ও ৬% ফান্ড কস্ট(?) সহ মোট পরিমান ৮,৪১,৭৪,০৭৬.৩৬ টাকা নির্ধারন করা হয়।

পরবর্তিতে ফান্ড কস্ট বাদ দেয়া হয়। গত ১৩ জুন-২০২৩ তারিখে ৭৯৪০৯৫০৬ টাকা মূল্যে জমি রেজিস্ট্রেশন করা হয়। দলিল নং ৮৪৪৮/২০২৩।কমিশন সিসটেমে দলিল সম্পাদিত হয় দি মেট্রোপলিটান খ্রষ্টান কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটির এর প্রধান কার্যালয়ে।

এসময় চেয়ারম্যান ও কালবের ”মেরুদন্ডহীন” জেনারেল ম্যানেজার প্যাট্রিক পালমা উপস্থিত ছিলেন। অন্যকোন বোর্ড সদস্য যেমন উপস্থিত ছিলেন না তেমনি তারা জমি ক্রয়ের বিস্তারিত জানতেনও না।

উল্লেখ্য, সি.এস ও এস.এ ২৭০৭,আর.এস ৭০৭১ ঢাকা সিটি জরিপের ১৫৪২৬ নং দাগের ভিটা জমি ০৫০৮অযুতাংশ ও ০৩১২ অযুতাংশ এবং সিএস ও এস.এ ২৭৩৪ ,আর.এস ৭০৭০ ঢাকা সিটি জরিপের ১৫৪৩৮ নং দাগের ০০৭৭.৫০ অযুতাংশ জমি ক্রয় করা হয়।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে,ক্রয়কৃত জমির এলাকার বাজারদর ৮০ থেকে ১ কোটি টাকার মধ্যে। সোসাইটির এসব প্রকল্পের প্লট সদস্যদের মধ্যে ১০ লাখ টাকায়ও পূর্বে বিক্রি করা হয়েছে।

তাছাড়া, সোসাইটি ভাটারা ২ নং প্রকল্প সংলগ্ন এলভা বিনা সরকারের নিকট থেকে ৬.৯ শতাংশ জমি প্যাকেজ মূল্যে দুই কোটি সাতাশি লাখ টাকায় ক্রয় করেছে এবং ভাটারা ৩ নং প্রকল্প সংলগগ্ন জেমস ফিনির মালিকানাধিন ৪.১২৫০ শতাংশ জমি কাঠা প্রতি ৭০ লাখ টাকা দরে সোসাইটি ক্রয় করেছে। তাহলে সোসাইটির জমির বিক্রয় মূল্য বা বুক ভ্যালু এত বেশি কেন-এটাই কালবের সংশ্লিষ্টদের প্রশ্ন।

সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, সোসাইটি নিয়মবহির্ভূতভাবে বারবার জমির উর্ধ্ব মূল্যায়ন করার ফলে জমির বুক ভ্যালু এপর্যায়ে দাড়িয়েছে। যেকারনে চড়ামূল্যে কোন সদস্য উক্ত প্লট না কেনার কারনে দীর্ঘদিন অবিক্রিত পড়ে ছিল। যা এখন কালবকে কৌশলে গছিয়ে দেয়া হয়েছে ।

সোসাইটি বছর বছর বাজার দরের সাথে সামঞ্জস্য না রেখে লোকসানী প্রতিষ্ঠানকে লাভজনক দেখানোর জন্যে নিয়মবহির্ভূতভাবে উর্ধ্ব মূল্যায়ন করে যাচ্ছে।

সমবায় অধিদপ্তরের অডিট রিপোর্টে এই অযৌক্তিক উর্ধ্ব মূল্যায়নের বিষয়ে আপত্তি দেয়া হয়েছে।মূলত, বাজারদর বহির্ভূত উর্ধ্ব মূল্যায়নের কারনে  সোসাইটির ”ফাঁপা মূলধন” সৃষ্টি হয়েছে। ফলে সোসাইটির প্রচুর প্লট ও ফ্লাট এখনো অবিক্রিত পড়ে আছে।

সোসাইটি’র ২০২১-২২ অর্থবছরের হিসাব অনুযায়ী সোসাইটির মোট জমির পরিরমান ৩২৫৫৫.৯২ শতাংশ।৪৪৬৪ প্লটের মধ্যে ১২৩৯টি প্লট সসদস্যদের মধ্যে বরাদ্দ দিয়েছে।রেজিস্ট্রিকৃত ৮৭৮ টি। ১৫৯৬টি ফ্লাট তৈরির প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।

তারমধ্যে কেবল ৩৩৬ টি ফ্লাট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ২৭৯ ফ্লাটে বাসিন্দারা বসবাস করছে। কেবল ৯০টি ফ্লাট রেজিষ্ট্রি করে দেয়া হয়েছে। উপরোক্ত বিবরনেই সোাসাইটির আর্থিক চিত্র বুঝা যায়।

উল্লেখ্য, দি মেট্রোপলিটান খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লি: জমি বিক্রির ৮ কোটি টাকা দলিল সম্পাদনের পর কালবে এফডিআর করে রেখেছে। চলতি বছরে সোসাইটি মোট ১২ কোটি টাকা কালবে এফডিআর করেছে।

দি মেট্রোপলিটান খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লি: এর কালবের সহযোগী সদস্য পদ গ্রহন এবং কালবে এফডিআর রাখা উভয়ই সমবায় আইন ও বিধিমালা অনুযায়ী অবৈধ।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *