নিজস্ব প্রতিবেদক : আজ সোমবার ১৪ আগস্ট, সকাল ১১ টায় অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের সভাকক্ষে ডিমের মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে ডিম উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান (ফার্ম ও কর্পোরেট), এজেন্ট/ডিলার ও ডিম ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যদের অংশগ্রহণে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ.এইচ.এম. সফিকুজ্জামান।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সদস্য মোঃ হাফিজুর রহমান, অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারসহ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ও সহকারী পরিচালকগণ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মো: আনোয়ার হোসাইন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক ড. মো: শাহিনুর আলম, ডিজিএফআইয়ের প্রতিনিধি, বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশনের প্রতিনিধি, এফবিসিসিআই এর প্রতিনিধি, এনএসআইয়ের প্রতিনিধি, ক্যাবের প্রতিনিধি, ডিম উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান (ফার্ম ও কর্পোরেট)-এর প্রতিনিধি, বিডার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রতিনিধি, বিভিন্ন ডিম ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিনিধিবৃন্দ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
সভার শুরুতেই অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শোকের মাস আগস্টে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁর বক্তব্য শুরু করেন। তিনি আজকের মতবিনিময় সভার প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। তিনি বলেন, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কর্তৃক ভোক্তা অধিকার বিরোধী কার্যকলাপ প্রতিরোধে নিয়মিত বাজার তদারকি/অভিযান করা হয়ে থাকে।
সাম্প্রতিক সময়ে দেশীয় বাজারে হঠাৎ ডিমের মূল্য অসাভাবিক বৃদ্ধির ফলে অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নির্দেশনা মোতাবেক গত ১১ আগস্ট, বৃহস্পতিবার রাত ১২ টা থেকে রাত ২ টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর কারওয়ান বাজার ও কাপ্তান বাজারে ডিমের মূল্য সংক্রান্ত বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়। এছাড়াও গত ১২ আগস্ট ও ১৩ আগস্টে ডিমের মূল্য তদারকিতে অধিদপ্তরের অভিযান পরিচালিত হয়। মহাপরিচালক সভায় অভিযান থেকে প্রাপ্ত অসঙ্গতিসমূহ তুলে ধরেন।
এরপর তিনি অধিদপ্তরের ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডলকে বিগত দিনগুলোতে ডিমের মূল্যের উপর পরিচালিত অভিযানের বিষয়ে সভায় বলার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।
সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডল বলেন, অভিযান পরিচালনা কালে ডিম বিক্রির ক্ষেত্রে প্রাপ্ত অসংগতি যথা বিভিন্ন ফার্মের ক্যাশমেমোতে ডিমের দর এবং মোট টাকার কথা উল্লখ না থাকা, ক্যাশ মেমোতে দর উল্লেখ না থাকা, ডিম ক্রয়ের ক্যাশমেমো না থাকা, পাইকারী আড়তে ডিম বিক্রিতে ক্যাশমেমোতে কার্বন কপি না থাকা, খুচরা ডিম বিক্রিতে ক্যাশ মেমো না দেয়া, মুল্য তালিকা প্রদর্শন না করা, সাদা ক্যাশমেমো (Blank voucher) প্রদান করা, ১ টি আড়তে তদারকি করতে গেলে অন্য সব আড়ত বন্ধ করে দেয়া ইত্যাদি বিষয় পরিলক্ষিত হয়।
আলোচনায় বিডার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান বলেন, প্রাণিজ আমিষের উৎস হিসেবে ডিম ধনী-গরীব সকলের জন্য প্রয়োজন। খামার না টিকে থাকলে ভোক্তারা ডিম পাবেন না। ডিম খামারি থেকে ভোক্তা পর্যায়ে পোঁছাতে চার হাত বদল হয় যথা আড়তদার-ছোট ব্যবসায়ী-দোকানদার-ভোক্তা। ডিম উৎপাদনে খামারিদের বিনিয়োগ দীর্ঘ সময়ের পক্ষান্তরে অন্যান্য ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগ স্বল্প সময়ের জন্য। এই সেক্টরে সকলে সমন্বিত হয়ে যদি কাজ করি তাহলে শৃঙ্খলার সাথে ব্যবসা করা সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ পোল্ট্রি এসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, প্রান্তিক খামারিদের বাঁচিয়ে রাখতে হবে। কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে ডিম উৎপাদন করেন। অপর দিকে খামারিগণ জীবিকা নির্বাহের উদ্দেশ্যে ডিম উৎপাদন করেন। উৎপাদন বাড়ানো গেলে ভোক্তাগণ কম মূল্যে ডিম পাবে। তিনি আরও বলেন, এসএমএস-এর মাধ্যমে ডিমের মূল্য নির্ধারণ প্রক্রিয়া বন্ধ করতে হবে। তিনি বলেন, সরকারের নিকট আমার সুপারিশ থাকবে, প্রান্তিক পর্যায়ে শুধু খামারিগণ যেন ডিম ও মুরগি উৎপাদন করতে পারে এবং কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো যেন মুরগির বাচ্চা ও ফিড উৎপাদন করতে পারে সে বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ রইল।
তেজগাঁও বহুমূখী সমবায় সমিতির সহ-সভাপতি জনাব হারুন-উর-রশিদ বলেন, ১৯৯০ সাল থেকে আমাদের পূর্ব পুরুষগণ তেজগাঁও এলাকায় ডিমের ব্যবসা করে আসছে। আমাদের কেউ ব্যবসার নীতিমালা শেখায় নি। আগে ফার্মার এবং আড়তদারগণ মিলে ডিমের দাম ঠিক করতেন।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক ড. মো: শাহিনুর বলেন, লক্ষ মানুষের জীবিকা জড়িত পোল্ট্রি সেক্টরে অস্বাভাবিক বিপণন কখনই কাম্য নয়। তিনি আরেও বলেন, আমি বা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর মনে করি প্রতিটি ডিমের উৎপাদন খরচ ১০.৫০ টাকা এবং প্রতিটি ডিমের খুচরা বিক্রয় মূল্য কোন ভাবেই ১২ টাকার বেশি হাওয়া উচিত নয়। তিনি বলেন, এই সেক্টরকে সুসংগত করতে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। ডিম বিক্রয়ের কারসাজির ক্ষেত্রে অসাধু ব্যবসায়িদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবসা গ্রহণের কথাও বলেন। পরিশেষে তিনি বলেন, ভোক্তারা যেন নেয্য মূল্যে ডিম পেয়ে থাকে সে বিষয়ে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবে।
সভায় এফবিসিসিআই এর সিনিয়র এডিশনাল সেক্রেটারী জেনারেল শাহ মোঃ আব্দুল খালেক বলেন, এফবিসিসিআই যেমন ব্যবসায়িদের সাথে আছে তেমনি ভোক্তা সাধারণের পাশেও আছে। তিনি বলেন, পাকা ভাউচার প্রদানে ব্যবসায়িদের গাফলতি আছে যা সংশোধন করা দরকার। তিনি অসাধু ব্যবসায়ীদের ছাড় না দিয়ে আরো কঠোরভাবে বাজার মনিটরিং করার জন্য অনুরোধ জানান।
সভায় ক্যাবের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর আহমেদ একরামুল্লাহ বলেন, পাকা রশিদ দেয়ার বাধ্যবাধকতা বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন। তিনি ক্যাবের পক্ষ থেকে ডিমের মূল্য না কমলে ডিম আমদানির জোর দাবী জানান।
সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মো: আনোয়ার হোসাইন বলেন, ডিমের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে তথ্য পর্যালোচনা করে প্রতিটি ডিমের উৎপাদন খরচ ১০.৫০ পয়সা পাওয়া যায়। আনুসঙ্গিক খরচসহ প্রতিটি ডিমের খুচরা বিক্রয় মূল্য ১২ টাকার বেশি হবে না। ডিম আমদানির অনুমোদন দিলে দেশের ডিম উৎপাদনকারীগণ ক্ষতিগ্রস্থ হবেন। সে বিবেচনায় আপাতত ডিম আমদানির অনুমোদন দেয়া হচ্ছে না। প্রতিটি ডিমের মূল্য ১২ টাকা কার্যকরে সকলের সমন্বিত কাজ করা দরকার।
অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, বাজার ব্যবস্থাপনা উন্মুক্ত ও স্বাধীন হওয়ার সুযোগ নিচ্ছে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী। তিনি ব্যবসায়ীদের পরিমিতিবোধ বজায় রেখে গ্রহণযোগ্য লাভ রেখে ব্যবসা করার আহবান জানান। তিনি আরও বলেন, আমরা চাই অভিযানে ব্যবসায়ীদের যেন জরিমানা না করতে হয়। এই অধিদপ্তর যেমন ভোক্তাবান্ধব তেমনি ব্যবসাবান্ধব। তবে মুনাফালোভীদের জন্য এই অধিদপ্তর অন্তরায়। তিনি আরও বলেন, পাকা রশিদ প্রদান বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অধিদপ্তরের মনিটরিং কার্যক্রম জোরদার করা হবে।
বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সদস্য মোঃ হাফিজুর রহমান সময়োপযোগী এ মতবিনিময় সভা আয়োজনের জন্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ডিমের দাম হঠাৎ করে বেড়ে গিয়েছে। গতবছর অজুহাত ছিল ডলার সংকট, ইউক্রেন যুদ্ধ ইত্যাদি। কিন্তু এবার যেভাবে ডিমের দাম বেড়ে গিয়েছে তা ছিল অপ্রত্যাশিত। ডিম বিক্রয়ের ক্ষেত্রে নিলাম প্রক্রিয়া সকলের জন্য উন্মুক্ত নয়; যা ত্রুটিপূর্ণ একটি প্রক্রিয়া। এতে ভোক্তা সাধারণ প্রতারিত হচ্ছেন। আমরা গত বছরের কিছু মামলা নিয়ে কাজ করছি। সেই মামলা তথ্য নেয়ার জন্যই মূলত এই সভাই অংশগ্রহণ করা। ডিম আমদানি করা হলে দেশের ব্যবসায়ীগণ ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। কিন্তু ১৭ কোটি ভোক্তা যখন কষ্ট পাবেন তখন সরকার বাধ্য হয়ে ডিম আমদানি করবে। যারা ডিমের মূল্য কারসাজির সাথে জড়িত থাকবে তাদের আইনের আওতায় কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় যে দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে তার মধ্যে থেকেই ব্যবসা করতে হবে।
সভায় মহাপরিচালক বলেন, ডিমের বাজার অস্থিরতার বিষয়ে গত বছরও এই সময় আমরা মিটিং করেছিলাম। এ বছরও একই সময়ে আয়োজিত এই মিটিং এর বিষয়বস্তু আমার কাছে নতুন মনে হয়নি। আবারো পর্যালোচনায় উঠে এসেছে এই সেক্টরে বিশৃঙ্খলা রোধ করতে প্রয়োজন ডিম ক্রয়-বিক্রয়ের পাকা ভাউচার প্রদান। এছাড়াও ডিম বিক্রয়ের নিলাম প্রক্রিয়া প্রকৃত পক্ষে উন্মুক্ত হতে হবে। দেখা যায় বর্তমানে নিলাম প্রক্রিয়া ক্লোজ গ্রুপের মধ্যে হয় যা ত্রুটিপূর্ণ এবং অনৈতিক। এক্ষেত্রে উন্মুক্ত নিলাম প্রক্রিয়া হতে হবে যে খানে সবাই অংশগ্রহণ করতে পারে। এই নিলাম প্রক্রিয়া অনলাইন ভিত্তিকও হতে পারে।
তিনি বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় কর্তৃক ডিমের মূল্য সংক্রান্ত এই ঘোষণা আমাদের অধিদপ্তরের মনিটরিং এর জন্য খুব প্রয়োজন ছিল। তিনি ডিমের মূল্য নির্ধারণের জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানান। অধিদপ্তর কর্তৃক আগামী ১৬ আগস্ট, থেকে ডিমের এই নির্ধারিত মূল্যর বিষয়ে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হবে। ডিমের দাম কমানোর ক্ষেত্রে ফিড নিয়ে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কাজ করছে এবং এক্ষেত্রে বাংলাদেশের ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশনকে সংযুক্ত করে গবেষণার মাধ্যমে মূল্য নির্ধারণ করা যেতে পারে। তিনি আরও বলেন, দেশের ক্ষুদ্র খামারিগুলো বাঁচাতে হবে। ক্ষুদ্র খামারগুলো যে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে তার ভয়াবহ প্রভাব আমরা ভবিষ্যতে দেখতে পাব। সরকার ডিম আমদানি বন্ধ রেখে এই সেক্টরকে সুরক্ষা প্রদান করছে। কিন্তু এক দিনে যদি ডিমের দাম চার টাকা বেড়ে যায় তখন সরকার সুরক্ষা প্রদান করবে না। তিনি বলেন, ব্যবসায় লোকসান পূরণের জন্য অতিরিক্ত মূল্যবৃদ্ধি কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়।
সভায় মহাপরিচালক বলেন, আমরা আগামী ১৬ আগস্ট ২০২৩ তারিখ থেকে পাকা ভাউচার নিশ্চিত করতে চাই এবং পাকা ভাউচার ছাড়া ডিমের কোন লেনদেন হবে না। পাকা ভাউচার পাওয়া গেলে আমরা ট্রাক করতে পারবো ডিমের ক্রয়মূল্য ও বিক্রয়মূল্য কত এবং কত লাভ করা হয়েছে। পাকা ভাউচার প্রদানের বিষয়ে আমরা গত এক বছর ধরে কাজ করছি।
এখন অভিযান পরিচালনাকালে পাকা ভাউচার না পাওয়া গেলে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্ধারিত ডিমের মূল্য বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আমরা সমন্বিতভাবে কাজ করতে চাই। এছাড়াও আজকের সভার আলোচনা থেকে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করে সুপারিশসহ একটি প্রতিবেদন সরকারের নিকট তুলে ধরা হবে।
মহাপরিচালক সভা শেষে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দকে বাজারের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ জানান এবং তাঁদের নিউজের জন্য বাজার যেন অস্থিতিশীল না হয় সে বিষয়ে সচেতন হওয়ারও আহবান জানান।
আলোচনা শেষে মহাপরিচালক ডিমসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য যেন বৃদ্ধি না পায় এবং সরবরাহ যেন স্বাভাবিক থাকে সে লক্ষ্যে সকলে সমন্বিতভাবে কাজ করবে সে বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।