বিশেষ প্রতিবেদক : চাকরিতে যোগদানের বসয়সীমা ৩৫ বছর করাসহ চার দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো অনশন পালন করছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র কল্যাণ পরিষদের নেতাকর্মীরা। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ফুটপাতের ওপর বসে তাদের এ অনশন কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। কর্মসূচিতে বুধবার পর্যন্ত দুইজন নেত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক মুজাম্মেল মিয়াজী বলেন, চাকরির বয়সসীমা ৩৫ বছর করাসহ চার দফা দাবি পূরণ না হলে আমাদের এ জীবন রেখে লাভ নেই। আমরা ৩৫ বছরসহ ৪ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে দুইদিন ধরে আমরণ অনশন করে যাচ্ছি। আমাদের জীবনের বিনিময়ে যদি ২৮ লাখ শিক্ষিত যুবকের দাবি পূরণ হয় তাতেই আমাদের সার্থকতা।
তিনি বলেন, নির্বাচনী ইশতেহার অনুসারে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বৃদ্ধি না করে সরকার ২৮ লাখ মেধাবীকে ঠকাচ্ছে, তাদের ধ্বংসের পথে ঠেলে দিচ্ছে। মানবতার মা প্রধানমন্ত্রী আপনি আজ কোথায়? আপনার সন্তানরা আজ আমরণ অনশনের পথ বেছে নিয়েছে। দুইদিনের অনশনে দুইজন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। বর্তমানে তাদের স্যালাইন দিয়ে রাখা হয়েছে।
মুজাম্মেল মিয়াজী বলেন, আমরা এই দেশ, এই জাতির সেবা করতে চাই। আমাদেরকে আবেদন করার সুযোগ দিন। আজ আপনার আপন সন্তান হলে আপনি কখনই মৃত্যুর দুয়ারে ঠেলে দিতেন না। বিশ্বের ১৬২ দেশ এবং ৫৭টি স্যাটেলাইট দেশ চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছর এবং তার ঊর্ধ্বে, সেখানে বাংলাদেশের শিক্ষিত সমাজের বয়স ৩০ হলে সরকারি চাকরি থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, সেশনজটে যে ৪ বছর হারিয়েছি তা কে ফিরিয়ে দেবে? আজ বাংলাদেশ মানুষের গড় আয়ু ৫৭ থেকে ৭৩ হয়েছে। তবে কেন আবেদনের বয়সসীমা বাড়বে না? বাড়ানো হয়েছে অবসরের বয়সসীমা, তবে কেন আবেদনের বয়সসীমা বাড়বে না? বিশ্বের সাথে উন্নয়নের তাল মিলিয়ে চললে, তবে কেন আবেদনের বয়সসীমা বাড়বে না?
সরকারি চাকরিতে ৩৫ বছর করাসহ আন্দোলনরতদের চার দফা দাবি হলো- চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বৃদ্ধি করে ৩৫ বছরের উন্নীতকরণ, অমানবিক আবেদন ফি কমিয়ে ৫০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে নির্ধারণ, নিয়োগ পরীক্ষাগুলো জেলা কিংবা বিভাগীয় পর্যায়ে নেয়া ও ৩ থেকে ৬ মাসের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্নসহ সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন।