অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষিকা।
মোঃ সাইফুর রশিদ চৌধুরী : টুঙ্গিপাড়ায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে চুরি করে স্কুলের পুরাতন মালামাল বিক্রয়ের অভিযোগ উঠেছে। পূর্বেও একাধিকবার এই প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে লোহার বেঞ্চ ও টেবিলের ফ্রেম সহ বিদ্যালয়ের বিভিন্ন আসবাবপত্র বিক্র করে টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে।
এবিষয়ে এলাকাবাসীর পক্ষে কবির আলম তালুকদার টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নিবার্হী অফিসার ও শিক্ষা অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২২ আগষ্ট (মঙ্গলবার) দুপুরে ৩৮ নং বাঁশবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সেলিনা পারভীন কোন প্রকার অনুমতি ছাড়া বিদ্যালয়ের স্টোর রুমে রক্ষিত পুরাতন স্কুল ভবনের লোহা ও টিন ফেরিওয়ালা ও এলাকার এক ব্যক্তির কাছে বিক্রয় করে। এসময় বিদ্যালয়টির সাবেক সভাপতি ও ডুমুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কবির আলম তালুকদার ঘটনা স্থলে উপস্থিত হন এবং জানতে চান সরকারি মালামাল বিক্রর অনুমতি নিয়েছেন কি না।
প্রধান শিক্ষিকা সেলিনা পারভীন অনুমতি নেওয়ার বিষয়টি এড়িয়ে যান এবং বলেন, পুরাতন ভবন গুলি টেন্ডার হবে ইষ্টিমেট করাতে এলজিইডির ডুমুরিয়া ইউনিয়নের সাব এসিস্ট্যান্ট ইন্জিনিয়ার কে টাকা দিতে হবে। এই টাকা আমি কোথা থেকে দিব। এসময় কবির আলম তালুকদার প্রধান শিক্ষিকার অনিয়ম ও দুর্নীতি করে চোরাই পথে সরকারি মালামাল বিক্রয়ের বিষয়টি বুঝতে পারেন।
একপর্যায়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলেন এবং চোরাই পথে সরকারি মালামাল বিক্রর ৭ হাজার ৫ শত টাকা উদ্ধার করেন। পরদিন ২৩ আগষ্ট উদ্ধার কৃত টাকা নিয়ে উপজেলা নিবার্হী অফিসারের কার্যালয়ে জান। নিবার্হী অফিসারকে কার্যালয়ে না পেয়ে মোবাইল ফোনে অবগত করেন এবং সহকারী শিক্ষা অফিসার (এটিও) জীবনান্দ টিকাদারের কাছে উদ্ধার কৃত ৭হাজার ৫ শত টাকা জমা দেন।
লিখিত অভিযোগ থেকে আরো জানা যায়, দুর্নীতিগ্রস্থ এই প্রধান শিক্ষিকা সেলিনা পারভীন চাকরীর শুরু থেকে বাঁশবাড়িয়া স্কুলে কর্মরত থাকায় সরকারি নিয়ম নীতি তোয়াক্কা না করে ইচ্ছা স্বাধীন ভাবে স্কুল পরিচালনা সহ বিভিন্ন ধরনের দুর্নীতি মূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছেন।
এবিষয়ে প্রধান শিক্ষিকা সেলিনা পারভীন তার বিরুদ্ধে করা সকল অভিযোগ অস্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, আমি কমিটির মাধ্যমে রেজুলেশন করে পুরাতন মালামাল বিক্রি করেছি।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার (টিও) মোঃ মাসুদর রহমান বলেন, সরকারি মালামাল টেন্ডার বিহীন ভাবে বিক্রয়ের সুযোগ নেই। আমি ছুটিতে ছিলাম, কবির আলম তালুকদার নামের এক ব্যক্তি লিখিত অভিযোগ করেছেন। আমার সাথে তার মোবাইল ফোনে কথা হয়েছে। আমি ছুটি শেষে অফিসে যোগদান করেছি, অভিযোগটি তদন্ত করে ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।