নিজস্ব প্রতিবেদক : ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার), পিপিএম বলেছেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সদস্যরা সাম্প্রতিক সময়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালনকালে সাহসিকতা, ধৈর্য ও পেশাদারিত্বের যে পরিচয় দিয়েছেন তা সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছে।
আইজিপি গতকাল সোমবার বিকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে ডিএমপির বিশেষ কল্যাণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
বিশেষ কল্যাণ সভার সভাপতিত্ব করেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বিপিএম-বার, পিপিএম।
আইজিপি বলেন, কোন পুলিশ সদস্য আইনানুগ দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে চিকিৎসার প্রয়োজন হলে তার সর্বোচ্চ চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।
ডিএমপির যে সকল সদস্য বীরত্বের সাথে, ধৈর্যের সাথে, পেশাদারিত্বের সাথে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করেছেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানিয়ে আইজিপি বলেন, দায়িত্ব পালনকালে সাহসিকতার এ ধারাবাহিকতা আগামী দিনেও অব্যাহত রাখতে হবে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আহবানে সাড়া দিয়ে রাজারবাগে পুলিশ সদস্যরা পাকিস্তানি বাহিনীর আধুনিক অস্ত্রের বিরুদ্ধে ‘থ্রি নট থ্রি’ রাইফেল দিয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। আগামীতেও এই রাজারবাগের পুলিশ দেশের স্বাধীনতা ও ইজ্জত রক্ষায় যেকোনো দায়িত্ব পালনে প্রস্তুত রয়েছে।
অতীতে তারা যে দায়িত্ব পালন করেছে এই ধারাবাহিকতায় আগামী দিনও সাহসিকতা ও ধৈর্যের সাথে দায়িত্ব পালন করে দেশের জন্য তাদের যে ভালোবাসা সেটা প্রমাণ করবে। আইজিপি উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য করে বলেম, আপনারা যেভাবে বীরত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন তা ভবিষ্যতেও দেশ ও জাতি দেখতে চায়।
সভাপতির বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বিপিএম-বার, পিপিএম বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ বাংলাদেশ পুলিশের মুখচ্ছবি। ডিএমপির আইন-শৃঙ্খলা ঠিক থাকলে সারা বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা ঠিক থাকে।
ডিএমপির পুলিশ সদস্যরা বিগত দিনে রাজধানীর আইনশৃঙ্খলা ঠিক রেখেছে, কোন অপশক্তিকে রাজধানীর আইন-শৃঙ্খলা অবনতি হওয়ার সুযোগ দেয় নাই। এই রাজারবাগের পুলিশ একাত্তর সাল থেকে এখন পর্যন্ত প্রত্যেকটা ক্রাইসিস মোমেন্টে জনগণের পাশে ছিলো, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।
জীবনের যত বড় ঝুঁকি আসুক না কেন যে কোন অপশক্তির হাত থেকে দেশকে রক্ষা করবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।
সভায় ডিএমপির কনস্টেবল থেকে অতিরিক্ত কমিশনার পর্যন্ত প্রায় এক হাজার সদস্য উপস্থিত ছিলেন। সভায় পুলিশ কর্মকর্তাগণ ও সদস্যরা তাদের বিভিন্ন প্রস্তাবনা আইজিপির সামনে তুলে ধরেন। আইজিপি ধৈর্য ধরে তাদের কথা শোনেন এবং কতিপয় বিষয়ের তাৎক্ষণিক সমাধান দেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (সদরদপ্তর ও প্রশাসন) মোঃ তানভীর সালেহীন ইমন পিপিএম এর সঞ্চালনায় বিশেষ কল্যাণ সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মোঃ কামরুল আহসান, অতিরিক্ত আইজিপি (এলঅ্যান্ডএএ) মোঃ মাজহারুল ইসলাম, অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মোঃ আতিকুল ইসলাম, ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার বিপিএম-বার।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. খঃ মহিদ উদ্দিন বিপিএম-বার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স এন্ড প্রকিউরমেন্ট) মুহাঃ আশরাফুজ্জামান বিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মোঃ মুনিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) মোঃ আসাদুজ্জামান বিপিএম-বার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বিপিএম-বার, পিপিএম-বার যুগ্ম পুলিশ কমিশনারবৃন্দ, উপ-পুলিশ কমিশনারবৃন্দসহ বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাগণ।