পিরোজপুরের  ভাণ্ডারিয়ার মাধ্যমিক শিক্ষা দপ্তর অফিস কক্ষ এখন কম্পিউটার অপারেটরের বাণিজ্যিক কেন্দ্র !

Uncategorized অপরাধ আইন ও আদালত বরিশাল বিশেষ প্রতিবেদন সারাদেশ

ভাণ্ডারিয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি :  পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইসের) তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী (কম্পিউটার অপারেটর) মো. এমাদুল হক অফিস কক্ষে কম্পিটারে অনলাইনে নিজস্ব ব্যবসা পরিচালনা করছেন বলে গুরুতর এক অভিযোগ উঠেছে।অভিযোগ মতে,  নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে কর্মচারী এমাদুল হক অফিসের অভ্যন্তরে দিনে রাতে শিক্ষক ও অশিক্ষকদের অনুপ্রবেশসহ কম্পিটার ও অনলাইনে নানা কাজ কর্ম করে আসছেন। ফলে শিক্ষা অফিসের কক্ষ বর্তমানে হয়ে উঠছে তার ব্যাক্তিগত ব্যবসা কেন্দ্র।


বিজ্ঞাপন

অনুসন্ধানে দেখো গেছে, জাতীয় শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) ভাণ্ডারিয়া উপজেলার ইউআইটিআরসিএ কর্মরত মো. এমাদুল হক (কম্পিউটার অপারেটর) ব্যানবেইসের ইউআইটিআরসিএ সরকারী অফিসে সরকারী যন্ত্রপাতি ও আসবাব পত্র কম্পিউটার, প্রিন্টার, স্ক্যানার, টোনার, কাগজ, কালি, বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট ব্যবহার করে বানিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। তিনি অত্র উপজেলার বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষকদের নতুন এমপিওভুক্তির আবেদন, উচ্চতর টাইমস্কেল, বিএড স্কেল, প্রমোশন, ইনডেক্স ডিলেট, ম্যানেজিং কমিটির আবেদন, চাকুরীর ফরম সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য টাইপ ও ফটোকপির কাজ বানিজ্যিক ভিত্তিতে করছেন। এছাড়াও নন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ভাণ্ডারিয়া বন্দরে আগত বিভিন্ন ব্যক্তির বিভিন্ন ধরনের কস্পিউটার সংক্রান্ত টাইপ ও ফটোকপির কাজ টাকার বিনিময়ে করে থাকেন। তিনি নিজেকে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের এ্যাসিষ্ট্যান্ট প্রোগ্রামার হিসেবে পরিচয় দিয়ে শিক্ষকদের প্রভাবিত করে শিক্ষকদের নিকট হতে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন । বিশেষ করে প্রতিমাসের শেষ ও ১ম সপ্তাহে অফিস ভবন দিন রাত ২৪ ঘন্টা খোলা রেখে অফিসের অভ্যন্তরে বিপুল পরিমান শিক্ষক ও অশিক্ষকদের অনুপ্রবেশ করিয়ে এসব বাণিজ্যিক কাজ কর্ম করে আসছেন।


বিজ্ঞাপন

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষকরা অভিযোগ করেছেন, অফিস চলাকালিন সময়ে কম্পিউটার . ফটোকপি ও অনলাইনের সকল কাজ পয়সা ছাড়া করেন না। বহিরাগতদের কাজও তিনি অফিসের প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাণিজ্যিক সুবিধা নেন।

এ বিষয়ে কম্পিউটার মো. এমাদুল হক এর কাছে জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর না দিয়ে অভিযোগের বিষয়টি এড়িয়ে বলেন, অফিসে আমাদের জরিপের কাজ চলছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. জহিরুল ইসলাম জানান, অফিস বন্ধ হওয়ার পর বহিরাগতদের কোন কাজ করার কোন সুযোগ নেই। এটা করে থাকলে তিনি সঠিক কাজ করেননি। তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এবিষয়ে ব্যানবেইস এর উপজেলা ভারপ্রাপ্ত সহকারী প্রোগ্রামার অফিসার খান আহম্মেদ বুলবুল জানান, আমি রামপালে কর্মরত আছি। ভাণ্ডারিয়ায় আমার অতিরিক্ত দায়িত্ব। আমি রামপালে অবস্থান করায় এ বিষয়ে সঠিক কিছু আমার জানা নাই। তিনি অফিসের নিয়ম নীতির পরিপন্থি কাজ করলে তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

এ ব্যাপারে ভাণ্ডারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইয়াসিন আরাফাত রানা বলেন, অভিযোগের বিষয়টি আমি শুনেছি। অফিসে কোন কর্মকর্তা কর্মচারী ব্যাক্তিগত বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড করতে পারেন না। এ বিষয়ে শিক্ষা কর্মকর্তাকে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *