দুই সাংবাদিকের ওপর ছাত্রলীগের হামলা :  রাজশাহী কলেজ ঘেরাও সোমবার

Uncategorized অপরাধ আইন ও আদালত জাতীয় বিশেষ প্রতিবেদন রাজশাহী সারাদেশ

রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ান (আরইউজে), রাজশাহী টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের রাজশাহী জেলা শাখা ও রাজশাহী কলেজ রিপোর্টার্স ইউনিটির এক যৌথ সভায় সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।


বিজ্ঞাপন

 

নিজস্ব প্রতিনিধি (রাজশাহী)  :  পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে রাজশাহী কলেজে দুই সাংবাদিকের ওপর হামলার প্রতিবাদে ও জড়িতদের শাস্তির দাবিতে সাংবাদিকেরা আগামী সোমবার কলেজ ঘেরাও করবেন।


বিজ্ঞাপন

রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ান (আরইউজে), রাজশাহী টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের রাজশাহী জেলা শাখা ও রাজশাহী কলেজ রিপোর্টার্স ইউনিটির এক যৌথ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে করণীয় ঠিক করতে শুক্রবার বিকালে আরইউজে কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সিদ্ধান্ত হয়, হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়ের করা হবে। আর দোষীদের কলেজ থেকে আজীবন বহিষ্কারের দাবিতে আগামী সোমবার রাজশাহী কলেজ ঘেরাও করা হবে। কলেজ কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা না নেওয়া পর্যন্ত কলেজের সমস্ত সংবাদ বয়কট করা হবে।এছাড়া ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে দোষীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা না নেওয়া হলেও পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন সাংবাদিকেরা।

সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) যুগ্ম মহাসচিব রাশেদ রিপন, আরইউজের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, রাজশাহী টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মেহেদী হাসান শ্যামল, ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের রাজশাহী জেলা শাখার সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ, রাজশাহী কলেজ রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক আবদুল হাকিম, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক জিয়াউল গনি সেলিম, সাইফুর রহমান রকি, মোস্তাফিজুর রহমান রাসেল, এনায়েত করিম, রিমন রহমান, সাখাওয়াত হোসেন, শিরিন সুলতানা কেয়া, রাজশাহী কলেজ রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি মাহাবুল ইসলাম, প্রশিক্ষণ ও প্রকাশনা সম্পাদক তানজিলা আক্তার প্রমুখ।

উল্লেখ্য, রাজশাহী নিয়ম বহির্ভুতভাবে পরীক্ষা দিতে না দেওয়ায় বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহী কলেজের গণিত বিভাগে ভাঙচুর শুরু করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় ছবি তুলতে গেলে রাজশাহী কলেজ রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদ রনি ও সংগঠনের সদস্য আবদুল আলিমকে মারধর করেন ছাত্রলীগ কর্মীরা। তারা সাংবাদিকদের মুঠোফোনও কেড়ে নিয়ে ভেঙে ফেলেন।

কলেজের অধ্যক্ষ মোহা. আবদুল খালেকের সামনেই এই ঘটনা ঘটে। কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম জাফরের অনুসারী ছাত্রলীগ কর্মী সাঈদ হাসান আশিক, মো. সাহেদুজ্জামান, আশিকুর রহমান সজিব, সাজেদুর রহমান সিজার, মো. মেহেদী, আবদুর রহিম, মো. জাকারিয়া ও সাব্বির হোসেন এই হামলা চালান। পরে আহত দুই সাংবাদিককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *