ঢাকাস্থ গোপালগঞ্জ সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ও দৈনিক ভোরের দর্পণের সিনিয়র রিপোর্টার এস এম বাবুল হোসেনকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ

Uncategorized অপরাধ আইন ও আদালত খুলনা বিশেষ প্রতিবেদন সারাদেশ

হয়রানির শিকার ঢাকাস্থ গোপালগঞ্জ সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ও দৈনিক ভোরের দর্পণের সিনিয়র রিপোর্টার এস এম বাবুল হোসেন।


বিজ্ঞাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক  :  ঢাকাস্থ গোপালগঞ্জ সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ও দৈনিক ভোরের দর্পণের সিনিয়র রিপোর্টার এস এম বাবুল হোসেনকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ উঠছে সাংবাদিকের আপন ফুফাত ভাই ও পাশের ঘরের বাসিন্দা সিরাজুল আলম ছিরুর বিরুদ্ধে। গত শুক্রবার ৬ অক্টোবর,  সকাল ১০ টায় গোপালগঞ্জ জেলা নির্বাহী ম্যাজিট্রেট আদালতের প্রসেস সার্ভার আব্দুল আজিজের দেওয়া নোটিশ থেকে মামলার বিষয়টি জানা যায়।


বিজ্ঞাপন

নোটিশে গতকাল মঙ্গলবার  ১৪ সেপ্টেম্বর,  বাগেরহাট এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে বেলা ১০ টায় উপস্থিত থাকার কথা উল্লেখ থাকলেও সাংবাদিকের বাড়িতে নোটিশ পৌঁছেছে ৬ অক্টোবর । একই নোটিশে পরবর্তী তারিখ আগামীকাল বৃহস্পতিবার  ১৬ নভেম্বর, উল্লেখ করা হয়েছে।

মিথ্যা এ মামলায় যাদেরকে স্বাক্ষী দেখানো হয়েছে তাদের কারো বাড়ি বাগেরহাটে নয় বলে জানা গেছে। কিন্তু মামলায় ১ ও ২ নং স্বাক্ষীর বাড়ি বাগেরহাট জেলায় দেখানো হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে এদের সকলের বাড়ি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায়।

এ ছাড়া মামলার বিবরণে ঘটনাস্থল যেখানে দেখানো হয়েছে সরেজমিনে ওই এলাকায় গিয়ে জানা যায়, ওই স্থানে বা ওই এলাকায় বাদীর সাথে বিবাদী কারো সাথে কোন প্রকার ঝগড়া বা বাগবিতান্ডা হয় নাই। মামলায় বিবাদীদের বিরুদ্ধে জমি জোর পূর্বক ভোগদখলের পরিকল্পনার যে কথা বাদী বলেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন।

এলাকাসূত্রে জানা যায়, ৯ জুলাই ২০২৩ তারিখ সাংবাদিকের বসতঘরের দক্ষিণ পাশ দিয়ে জানালা বন্ধ করে টিনের বেড়া দিয়ে পাকা শৌচাগারের নির্মাণ কাজ বাদীর ১ম পক্ষের ছেলেকে দিয়ে শুরু করলে সাংবাদিক কাজ বন্ধ করতে থানায় জিডি করেন (জিডি নং ৪৪৪ তারিখ ১২/০৭/২০২৩)। থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম কামরুজ্জামান জিডি আমলে নিয়ে এ এস আই নূর হোসেনকে তা প্রাথমিক তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে পাঠান এবং কাজ বন্ধের নির্দেশ দেন।

পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে জিডির সত্যতা পেয়ে কাজ বন্ধের নির্দেশ দেন এবং সিরাজুল আলম ছিরুকে জমির কাগজপত্র সহ থানায় হাজির থাকার নির্দেশ দিলেও তিনি থানায় যাননি। এমনকি থানা থেকে তাকে কয়েকবার ডাকা হলেও তিনি তাতে সাড়া দেননি।

এ ছাড়া গ্রাম্য শালিশে তাকে তিনবার ডাকা হয়েছে কিন্তু তিনি ওই শালিশে ও উপস্থিত হননি।থানা ও গ্রাম্য শালিশ অমান্য করায় থানা কোর্টের মাধ্যমে মামলা রুজু করেন। মামলা নং ৮/২৩ তারিখ ১০/০৮/২০২৩। গোপালগঞ্জ কোর্টে মামলা রুজু হওয়ার পর সিরাজুল আলম ছিরু সাংবাদিক ও তাঁর দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে বাগেরহাট কোর্টে মিথ্যা মামলা দেন বলে জানা যায়।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *