আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুলাউড়া সদর আসনে আলীগ নেতা সাদরুল আহমেদ খান এর জনতার ইশতেহার “ধারাবাহিক উন্নয়ন, বিভেদ নয় বন্ধন”

Uncategorized জাতীয় বিশেষ প্রতিবেদন রাজনীতি সারাদেশ সিলেট

নিজস্ব প্রতিনিধি  :  জনতার ইশতেহার “ধারাবাহিক উন্নয়ন, বিভেদ নয় বন্ধন এই প্রতিপাদ্য কে সামনে রেখে কুলাউড়া উপজেলার জনসাধারণের জনপ্রিয় নেতা স্কয়াড্রন লিডার (অব)   সাদরুল আহমেদ খান  ৭ ই জানুয়ারী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুলাউড়া উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়নমুলক সতেরো টি  কর্মসূচি উল্লেখ করে তার নির্বচনী  ইশতেহার ঘোষণা করেন। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির  প্রচার, তথ্য,  প্রযুক্তি ও প্রকাশনা বিষয়ক উপ-প্রচার সম্পাদকের দায়িত্বরত আছেন। কর্ম জীবনে তিনি জাতীয় সংসদের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন।  কুলাউড়া সদর আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পত্র কিনেছেন তিনি । তিনি চাকরি থেকে অবসরে যাওয়ার পর কুলাউড়া সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার হাটবাজারে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উন্নয়নের ডিজিটাল আলোকচিত্র প্রদর্শনীর ব্যবস্থা গ্রহণ করেন, এলাকার যুবসম্প্রদায়, বৃদ্ধ ও নারীদের নিয়ে বিভিন্ন ইউনিয়নে পরিচালনা করেন উঠান বৈঠক, শেখ কামাল ও শেখ রাসেল এর জীবনী নিয়ে  এলাকায় জনসাধারণের মাঝে প্রচার করেন ডিজিটাল আলোকচিত্র প্রদর্শনী। কুলাউড়া সদর আসনের জনসাধারণের মাঝে এখন একটাই মাত্র নাম উচ্চারিত হচ্ছে তার নাম আলীগ নেতা সাদরুল আহমেদ খান। অতি অল্প সময়ের ব্যাবধানে তিনি স্থানীয় জনসাধারণ ও গণমাধ্যমের কাছে হয়ে উঠেছেন জনবান্ধব ও সাদা মনের একজন মানুষ।


বিজ্ঞাপন

স্কুয়াড্রন লিডার সাদরুল আহমেদ খান তার যে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা দিয়েছেন তা যথাক্রমে : 

১. দারিদ্র্য দূরীকরণ ও ক্ষুদামুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য ইউনিয়ন ভিত্তিক ট্রাস্কফোর্স গঠন করে অসহায় মানুষদের তালিকা প্রস্তুত ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে প্রতিটি মানুষকে সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ে আনার ব্যবস্থা করা হবে।

২. সুস্বাস্থ্যের জন্য চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে, কমিউনিটি ক্লিনিক এর আধুনিকায়ন করা হবে, হাসপাতাল নিয়ম শৃঙ্খলার মধ্যে চলবে, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হবে। ৩. উন্নতমানের শিক্ষার জন্য বিদ্যালয় ল্যব, ডিজিটাল অবকাঠামো স্থাপন, পাঠদানের অনুমোদন, এমপিও ভুক্তকরণ ইত্যাদি ত্বরান্বিত করা হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটিতে যোগ্য ও উৎসাহী লোকদের মনোনয়ন দেয়া হবে, কমিটির জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হবে। বেসরকারি উদ্যোগে যারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করছেন তাদেরকে প্রনোদনা দেয়া হবে। ৪. ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও সামাজিক প্রথা মেনে নারী পুরুষের সমতা আনা হবে। নারী বা যেকোন জন গোষ্ঠীকে পিছিয়ে পড়ার প্রতিবন্ধকতা দূর করা হবে।

৫. চা বাগান, রেল স্টেশন, বাস স্টেশন ও বাজার সমূহে বিশুদ্ধ পানীয় ও মোবাইল টয়লেটের ব্যাবস্থা করা হবে। গভীর নলকূপ স্থাপনে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হবে, এক্ষেত্রে ব্যাক্তি নয় সমষ্টিগত কল্যানকে প্রাধান্য দেয়া হবে।হাকালুকি হাওরে কৃষিবান্ধব সৌর বিদ্যুৎ প্লান্ট তৈরির পদক্ষেপ নেয়া হবে।

৬ ৭. প্রবাসী আয় বাড়ানোর লক্ষমাত্রা নিয়ে কারিগরি শিক্ষায় জনশক্তি রুপান্তর যেমন: কেয়ার গিভার, ড্রাইভিং, হাউস কিপিং, আইটি ইত্যাদি পেশায় জনশক্তি রপ্তানি ও রেমিট্যান্স আহরণের ব্যবস্থা নেয়া হবে। অনেকে বিদেশে দূর্ঘটনায় পড়েন তাদের ক্ষতিপূরণ দাবি ও আদায়ের ব্যবস্থা করবো। এনআইডি, পাসপোর্ট, ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে দূনীর্তি দূর করা হবে। প্রবাসী আয় দেশে আনা সহজ করতে পদক্ষেপ নিবো। বিমানবন্দরে হয়রানি বন্ধ করা হবে।

৮. ভূকশিমইল, ভাটেরা, বরমচাল, ব্রাক্ষণবাজার, কুলাউড়া ও জয়চন্ডী ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলে মাছ প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প। ভুকশিমইল, টিলাগাও, কর্মধা, পৃথিমপাশা ইউনিয়ন, মনুটিলা চর, হাজিপুর, গগনটিলা, মেরিনা ইত্যাদি এলাকায় পর্যটন শিল্পকে বিস্তার করা হবে। শরীফপুর ইউনিয়নের আমদানি রপ্তানি শিল্প উন্নয়নের উদ্যোক্তা সৃষ্টির প্রয়াস চালানো হবে। আর প্রচলিত চা, বনজ, রাবার শিল্পোকে উৎসাহিত করা হবে। চাতলাপুর স্থল বন্দর এ দেশীয় ও ফরেন ডাইরেক্ট ইনভেস্টম্যান আকর্ষণে ব্যবস্থা নেয়া হবে। Trade Expo আয়োজন করা হবে।

৯ . জাত, ধর্ম, গোষ্ঠী নির্বিশেষে সকলের মধ্যে সাম্য প্রতিষ্ঠা করা হবে। সবাইকে নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই।

১০. সামাজিক ঐক্য, ন্যায় বিচার ও ভ্রাতৃত্ব গঠনে ক্লাব সমীতি ও সংঘের মাধ্যমে একটি গতিশীল ও টেকসই উন্নয়ন এর ব্যবস্থা করা হবে। ১১. বিভিন্ন ইউনিয়নের উৎপাদিত শস্য সহজে পরিবহন ও বাজারজাত করার ব্যবস্থা করা হবে। কৃষকের সার কীটনাশক প্রাপ্তি সহজলভ্য করা হবে। আধুনিক কৃষি পণ্যের আমদানি বাজারজাত ও ব্যবহারে উৎসাহ দেয়া হবে। উপজেলায় লজেস্টিক করিডোর সাপ্লাই চেইন করা হবে।

১২. পরিবেশ বান্ধব অভ্যাস গঠনের জন পদক্ষেপ থাকবে। হাকালুকিকে দূষণ মুক্ত রাখতে হবে। ভূকশিমইল ও ভাটেরা ইউনিয়নে সাব মারসিবল রাস্তার পরিবর্তে উড়াল সেতু স্থাপন করে জলাবদ্ধতা পরিহার করা হবে। কুলাউড়া, রবির বাজার ও ব্রাহ্মণ বাজারে যানজট নিরসনে উড়াল সড়ক/বাইপাস সড়ক নির্মাণ হবে। বিভিন্ন ইউনিয়নে ইতিমধ্যে চিহ্নিত অবকাঠামোগত উন্নয়ন হবে। রাঞ্জ উচুকরণ, আর সি সি ঢালাই, ব্রীজ ও রাস্তায় মাটি ভরাট, রাস্তার গাইড ওয়াল, ইট সলিং, পাকা রাস্তা, স্পর্শকাতর স্থাপনার নিরাপত্তা দেয়াল ইত্যাদি। মনু নদীর ভাঙ্গন রোধ ও ফানাই নদী খননের ব্যবস্থা করা হবে।

১৩. ভাটেরা, বরমচাল, ভুকশিমইল, কাদিপুর ও জয়চন্ডি ইউনিয়নের জেলেদের নিয়ে একটি মনিটরিং টিম করা হবে। প্রকৃত জেলেরা যাতে জলমহাল ইজারা পায়, নির্ভয়ে মাছ ধরতে পারে এবং সুষ্ক ও প্রজননকালীন সময়ে ভাতা ও উপকরণ পায় সে ব্যবস্থা করা হবে। small butsmart, Alternative income generating এর ব্যবস্থা করব।

বৃক্ষরোপন কার্যক্রম চলবে, Green power, Green Energy, Green Transportation এর উদ্দ্যোগ থাকবে।

১৪. ১৫. সামাজিক বিচার সালিসের জন্য মুরব্বিদের নিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের নিয়ে বিবাদ মিমাংসার উদ্যোগ নেয়া হবে। জটিল সমস্যা বা ফৌজদারি অপরাধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হস্তাক্ষেপ করবে।

১৬. ব্যাক্তি, সমাজ তথা দেশের উন্নয়নে আলোচনার বিকল্প নেই। সমিতি, ক্লাব, সংগঠন তৈরি ও শক্তিশালী করে সমস্যা সমাধান করা হবে। নিজেদের শক্তিতে বলিয়ান হয়ে উঠবো। প্রশাসন সাপোর্ট দিবে, প্রশাসনের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হবে।

১৭. কুলাউলা উপজেলাকে ভৌগলিক অবস্থানভেধে ৪টি অঞ্চল করা হবে। প্রতিটি অঞ্চলে এমপির অফিস থাকবে। প্রতি ৪ মাস পর পর “জনতার দরবার” অনুষ্ঠিত হবে। জনগণ সরাসরি এমপিকে প্রশ্ন করতে পারবেন।

এই সতেরো টি কর্মসূচি হাতে নিয়ে সংসদ সদস্য হিসেবে শুরু হবে আলীগ নেতা সাদরুল আহমেদ খান এর পথচলা।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *