মোঃ সাইফুর রশিদ চৌধুরী : গোপালগঞ্জ শহরে অনুমোদনহীন প্রেসের বিরুদ্ধে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ব্যবসা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায় গোপালগঞ্জ শহরে সরকারের অনুমোদন প্রাপ্ত প্রেসের সংখ্যা মাত্র (৭) সাতটি। কিন্তু এ শহরে ২৫ টির বেশি প্রেস রয়েছে। ৭ টি ছাড়া বাকিদের কোন সরকারি অনুমোদন নাই। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখায় খোঁজ নিয়ে যায় গোপালগঞ্জ শহরে মাত্র ৭ টি প্রেস সরকারি অনুমোদন নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছে। বাকিদের বিষয়ে তাদের কাছে কোন সুনির্দিষ্ট তথ্য না থাকায় প্রসাশন তাদের বিরুদ্ধে কোন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারছেন না।
তবে সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে জানানো হয় তাদের কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবেন। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায় খান অফসেট প্রেস, কথাকলি প্রেস, প্রিয়াংকা অফসেট প্রেস, ভাই ভাই অফসেট প্রেস, নূর জহান অফসেট প্রেস, বাঁধন অফসেট প্রেস ও আদর্শ অফসেট প্রেস ডিক্লেয়ারেশন নিয়ে ব্যবসা করছে। এ ছাড়া অন্য কোন প্রেস থাকলে সে গুলো অবৈধ।
এ বিষয়ে সরেজমিনে অনুসন্ধানে জানা যায় গ্রাফিকস প্যালেস নাফকো টাওয়ার কালিবাড়ি মোড়, মেঘলা কম্পিউটার ও প্রেস কলেজ রোড, ভূইয়া অফসেট প্রেস বীণাপানি স্কুল রোড,নিউ মুন্সি প্রেস বীণাপানি স্কুল রোড, বিশ্বাস প্রিন্টিং প্রেস কলেজ রোড, তানজিলা অফসেট প্রেস পোস্ট অফিস মোড়,নবাব ডিজিটাল প্রেস কেরামত প্লাজা চৌরঙ্গী, পদ্মা ডিজিটাল প্রেস কলেজ রোড গোপালগঞ্জ। এদের কোন ডিক্লেয়ারেশন নাই।
এরা কেউ কেউ শুধু মাত্র ট্রেড লাইসেন্স ও জেলা প্রশাসকের নিকট দরখাস্ত দিয়ে প্রেসের ব্যবসা করে যাচ্ছে। এভাবে প্রেস ব্যবসা আইনত অপরাধ। জেলা প্রশাসন থেকে ডিক্লেয়ারেশন না নিয়ে প্রেসের ব্যবসা করায় সরকার বিশাল অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ বিষয়ে গোপালগঞ্জ প্রেস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাকির খান বলেন এ বিষয়ে তাদের কিছু করার নাই। তবে তিনি এভাবে ব্যবসা করাকে অবৈধ বলেন। তিনি এদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করেন সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নিকট।