খুলনা প্রতিনিধি : জঙ্গি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) গ্রেপ্তার দুই শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
শনিবার দুপুরে তাদের খুলনা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে ১৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানায় পুলিশ। তারা হলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট (এইচ আর এম) ডিসিপ্লিনের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র নূর মোহাম্মাদ অনিক (২৪) ও পরিসংখ্যান ডিসিপ্লিনের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র মো. মোজাহিদুল ইসলাম রাফি (২৩)।
গ্রেপ্তার অনিক মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর উপজেলার মোড়াবাড়ি গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে ও রাফি বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার ঘাগুর দোয়ার গ্রামের মো. রেজাউল করিমের ছেলে।
এর আগে শনিবার ভোরে নগরীর গল্লামারী এলাকার একটি বাড়িতে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) একটি বিশেষ টিম অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটা থেকে গতকাল শনিবার ভোর সাড়ে ৫টা পর্যন্ত খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) একটি বিশেষ টিম নগরীর গল্লামারী খোরশেদ নগর এলাকা একটি ভবনে অভিযান চালায়। এ সময় তাদের অবস্থানস্থল থেকে ২টি কালো রঙের রিমোট কন্ট্রোল, একটি ল্যাপটপ, ১৪৪ বক্স দেশলাই, ব্যাটারী ও বৈদ্যুতিক তারসহ বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, অনিক বিবাহিত, তিনি ওই বাসাটি ভাড়া নিয়েছিলেন। তার স্ত্রী সোমাইয়া চৌধুরী যখন বাসায় থাকতেন না, সেই সময় অনিক ও তার বন্ধু রাফি বাসাটিতে অবস্থান করতেন।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) কমিশনার খন্দকার লুৎফুল কবির বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গত বছরের সেপ্টেম্বরে নগরীর খানজাহান আলী থানার কৃষকলীগ অফিসে বোমা বিস্ফোরণ ও ডিসেম্বরে আড়ংঘাটা থানার গাড়ি গ্যারেজে বোমা বিস্ফোরণের সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে তারা।
জিজ্ঞাসাবাদে তারা আরো জানিয়েছে, স্বপ্রণোদিত হয়ে তারা জঙ্গি তৎপরতায় উদ্বুদ্ধ হয়েছে। বোমা তৈরির কলাকৌশলও তারা নিজেরা শিখেছে। জঙ্গি সংগঠনের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য তারা এই কাজে জড়িয়েছেন।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. ফায়েক উজ্জামান বলেন, আটক হওয়া দুই ছাত্রের বিষয়ে অবগত হয়েছি। তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির সভায় ব্যবস্থা নেয়া হবে।