নিজস্ব প্রতিনিধি (বরিশাল) : চাল, ভোজ্য তেল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে বরগুনা জেলার সদর উপজেলাধীন বরগুনা বাজার (মাদ্রাসা রোড) তদারকি, তদারকি শেষে বরগুনা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর সভা কক্ষে ব্যবসায়ী প্রতিনিধি, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের অংশীজনের সাথে মতবিনিময় সভা এবং জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও Global Alliance for Improved Nutrition (GAIN) এর যৌথ উদ্যোগে ভোক্তা স্বার্থ সুরক্ষায় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর আলোকে ভোজ্য তেল সমৃদ্ধকরণের মাধ্যমে খাদ্য পণ্যের নিরাপত্তা ও পুষ্টিমান নিশ্চিতকরণ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কর্মশালা অয়োজন।
গতকাল রবিবার ২৮ জানুয়ারি, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান-এঁর নেতৃত্বে বরগুনা জেলার সদর উপজেলাধীন বরগুনা বাজারে (মাদ্রাসা রোড) চাল, ভোজ্য তেলসহ নিত্যপণ্যের মজুদ, সরবরাহ পরিস্থিতি, মূল্যতালিকা প্রদর্শন, ক্রয়-বিক্রয়ের পাকা রশিদ সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে সকাল ৯ টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত তদারকি কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এ সময় মহাপরিচালকের সাথে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক (কার্যক্রম), ফকির মুহাম্মদ মুনাওয়ার হোসেন, বরগুনা জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শুভ্রা দাস, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ, কৃষি বিপণন কর্মকর্তা, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক অপূর্ব অধিকারী, বরগুনা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক বিপুল বিশ্বাস, বরগুনা বাজার কমিটির ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, বরগুনা জেলা পুলিশ সদস্যবৃন্দ এবং ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
এ সময় বরগুনা বাজারের মাদ্রাসা রোডে চাল, ভোজ্যতেলসহ নিত্যপণ্যের আড়ৎ ও খুচরা বাজার তদারকি করা হয়। চালের আড়ৎ তদারকিকালে চাল ক্রয় ও বিক্রয়ের পাকা রশিদ, মূল্য তালিকা ও বর্তমান মজুদ পরিস্থিতি যাচাই করা হয়। মহাপরিচালক চাল ব্যবসায়ীবৃন্দকে চাল ক্রয়-বিক্রয়ের পাকা রশিদ সংরক্ষণ করতে নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি বাজারের সকল দোকানে দৃশ্যমান স্থানে হালনাগাদ মূল্য তালিকা প্রদর্শন করতে নির্দেশনা প্রদান করেন। ভোজ্য তেলের তদারকিকালে মহাপরিচালক তেল ব্যবসায়ীবৃন্দকে খোলা তেলের পরিবর্তে বোতলজাত তেল বিক্রয়ে উৎসাহিত করেন। তিনি আরো বলেন, খোলা ভোজ্য তেলের ড্রামে কোন রিফাইনারির নাম না থাকায় তেলের গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপিত হলে তা নিষ্পত্তি করা যায় না। তাছাড়া ভোজ্য তেলে ভিটামিন এ ফর্টিফাইড করার যে নির্দেশনা রয়েছে তা খোলা তেলে নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। পাশাপাশি খোলা তেলে ভেজাল মিশ্রণের ঝুঁকি আছে।
পরবর্তীতে সকাল ১০ টায় বরগুনা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর সভাকক্ষে বরগুনা চেম্বার নেতৃবৃন্দ, দোকান মালিকবৃন্দ, চাল ব্যবসায়ীবৃন্দ, ভোজ্য তেল ব্যবসায়ীবৃন্দ, সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের অংশীজনের অংশগ্রহণে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।উল্লেখিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ.এইচ.এম. সফিকুজ্জামান।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক (কার্যক্রম) ফকির মুহাম্মদ মুনাওয়ার হোসেন, বরগুনা জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শুভ্রা দাস, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ, জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক অপূর্ব অধিকারী, বরগুনা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক বিপুল বিশ্বাস, বরগুনা বাজার কমিটির ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, বরগুনা জেলা পুলিশ সদস্যবৃন্দ এবং ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ। সভাটি সঞ্চালনা করেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বরিশাল বিভাগের উপপরিচালক অপূর্ব অধিকারী।
মহাপরিচালক সভার শুরুতে সভা আয়োজন ও উপস্থিতির জন্য জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, মুক্ত বাজার অর্থনীতিতে বাজার চলবে চাহিদা ও সরবরাহের ভিত্তিতে। ডলারের মূল্য বৃদ্ধি, বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে আমদানি নির্ভর পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির কিছু যুক্তি রয়েছে যা দেশে উৎপাদিত পণ্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। চালের মূল্য বৃদ্ধি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। চালকলের মালিকবৃন্দ চালের মূল্য বৃদ্ধির কারণ হিসেবে ধানের মূল্য বৃদ্ধির যে অজুহাত দিয়েছেন তা সঠিক নয়। কেননা আগের ক্রয়কৃত ধান হতেই চাল উৎপাদন করা হচ্ছে, কৃষকের নতুন ধান তুলতে আরো কিছুদিন সময় লাগবে।
আলোচনায় বরগুনা জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শুভ্রা দাস বলেন, মহাপরিচালক এর নেতৃত্বে তদারকি করায় ব্যবসায়ীবৃন্দ সঠিক নির্দেশনা পেয়েছেন। এরপর কেউ অযৌক্তিক মুনাফা লাভের চেষ্টা করলে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক (কার্যক্রম) ফকির মুহাম্মদ মুনাওয়ার হোসেন বলেন, এখন চালের ভরা মৌসুম। এসময়ে চালের ঘাটতি হবার কোন কারণ নেই। যেটি হয়েছে তা কারসাজির মাধ্যমে মুনাফা লাভের চেষ্টা। তবে সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণে চালের মূল্য কমে আসছে। আসন্ন পবিত্র রমজান মাসে কারসাজি করে বা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির মাধ্যমে নিত্যপণ্যের বাজার অস্থিতিশীল করলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পরিশেষে মহাপরিচালক বলেন আসন্ন রমজানে কোন পণ্যের ঘাটতি নেই। পাশাপাশি নিত্যপণ্য পরিবহনে ট্রাক ভাড়া বৃদ্ধি বা চাঁদাবাজি হলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উপস্থিত সকলকে সভায় অংশগ্রহণের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
অপরদিকে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও Global Alliance for Improved Nutrition (GAIN) এর যৌথ উদ্যোগে ভোক্তা স্বার্থ সুরক্ষায় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর আলোকে ভোজ্য তেল সমৃদ্ধকরণের মাধ্যমে খাদ্য পণ্যের নিরাপত্তা ও পুষ্টিমান নিশ্চিতকরণ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে গতকাল রবিবার ২৮ জানুয়ারি, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, বরগুনার সম্মেলন কক্ষে অংশীজনের অংশগ্রহণে সকাল ১১ টা থেকে দিনব্যাপী একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ.এইচ.এম. সফিকুজ্জামান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলার পুলিশ সুপার মোঃ আবদুস ছালাম, সিভিল সার্জন বরগুনার প্রতিনিধি। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বরগুনা জেলার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক মোহাঃ রফিকুল ইসলাম। কর্মশালাটি সঞ্চালনা করেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক (কার্যক্রম) ফকির মুহাম্মদ মুনাওয়ার হোসেন।
কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন বরগুনা পৌরসভার মেয়র, অতিরিক্ত জেলা ম্যজিস্ট্রেট শুভ্রা দাস, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেটগণ, বরগুনা জেলাধীন সকল উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক অপূর্ব অধিকারী ও বরগুনা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক বিপুল বিশ্বাস, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ মিয়া, GAIN ফুড ফোর্টিফিকেশন এর প্রজেক্ট ম্যানেজার মোঃ আবুল বাশার চৌধুরী, জেলা ও উপজেলার স্যানিটারি ইন্সপেক্টরগণ, বরগুনা জেলার বিভিন্ন বাজার মালিক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ প্রতিনিধিবৃন্দ, জেলার বিভিন্ন তেল ব্যবসায়ীবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
স্বাগত বক্তব্যে অধিদপ্তরের পরিচালক (কার্যক্রম) ফকির মুহাম্মদ মুনাওয়ার হোসেন কর্মশালায় উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানিয়ে তাঁর বক্তব্য শুরু করেন। তিনি খাদ্য সমৃদ্ধকরণ সম্পর্কে বলেন, খাদ্য সমৃদ্ধকরণে সুনির্দিষ্টভাবে এমন কিছু খাদ্য উপাদান বেছে নেওয়া হয়, যা সর্বস্তরের জনগণ নিয়মিত খেয়ে থাকে। দেশের নিজস্ব স্বাস্থ্য-পুষ্টি নীতি ও বিধি মোতাবেক অনুপুষ্টি উপাদানগুলোর মিশ্রণ যথাযথভাবে নিশ্চিত রেখে খাদ্যটির স্বাভাবিক গুণগত মান এবং মিশ্রিত অনুপুষ্টি উপাদানগুলোর মান পরিপূর্ণ নিয়ন্ত্রণের দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখা হয়। প্রতিটি ক্ষেত্রে সরকার ও সংশ্লিষ্ট মাননিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান দ্বারা পরীক্ষা করানো ও তাদের দিকনির্দেশনা মেনে চলা বাধ্যতামূলক। তিনি “ভোজ্যতেলে ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধকরণ আইন, ২০১৩” এর উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করে বলেন, এ আইনের মাধ্যমে ভোজ্যতেলে ভিটামিন‘এ’ সমৃদ্ধকরণ বাধ্যতামূলক করা হয়। তিনি আরও বলেন, GAIN ভোজ্য তেলে ভিটামিন এ সমৃদ্ধ করার যে কার্যক্রম গ্রহণ করেছে তাতে সহযোগী হিসেবে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কাজ করে যাচ্ছে। কর্মশালায় উপস্থিত সদস্যগণ এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন মর্মে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
কর্মশালায় মোঃ আবুল বাশার চৌধুরী, প্রজেক্ট ম্যানেজার, ফুড ফর্টিফিকেশন, GAIN একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও বহির্বিশ্বে GAIN এর সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে উপস্থিত সকলকে অবহিত করেন। ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণে যেভাবে ভূমিকা পালন করছে তা পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান।
এরপর ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কার্যক্রম সম্পর্কিত একটি প্রামান্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। কর্মশালায় মোঃ আবদুস ছালাম পুলিশ সুপার, বরগুনা তাঁর বক্তব্যে কর্মশালা আয়োজনকারী সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, আমরা কর্মশালার মাধ্যমে অনেক সমৃদ্ধ হয়েছি। তিনি আরও বলেন, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের অভিযানে জেলা পুলিশ সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। তিনি কর্মশালার সার্বিক সফলতা কামনা করে তাঁর বক্তব্য শেষ করেন।
আলোচনায় অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও সভাপতি, GAIN ও জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান। তিনি অধিদপ্তরের নিয়মিত বাজার তদারকি, অভিযোগ নিষ্পত্তি ও সচেতনতামূলক কার্যক্রমের পাশাপাশি অধিদপ্তরের হটলাইন ১৬১২১, অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেল এবং সিসিএমএস সফটওয়্যারের মাধ্যমে অভিযোগ নিষ্পত্তির বিষয়ে সম্যক ধারনা প্রদান করেন। তিনি ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরেন।
আলোচনায় তিনি ভোক্তার স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হওয়ার বিভিন্ন উদাহরণ তুলে ধরে বলেন, বিভিন্ন হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রি-এজেন্ট সহ বিভিন্ন স্যাম্পলের মেয়াদসহ বিভিন্ন সার্ভিসের মূল্যে ভোক্তাসাধারণ প্রতারিত হচ্ছে। তিনি দেশের পর্যটন কেন্দ্রে ভোক্তাদের হয়রানির বিভিন্ন দিক আলোচনা করেন। তিনি বলেন, দেশের আঠারো কোটি জনগণের সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে এই অধিদপ্তর কাজ করে যাচ্ছে। পরিশেষে তিনি কর্মশালার সফলতা কামনা করেন এবং ভোক্তা অধিকার রক্ষায় সচেতনতামূলক কার্যক্রমে সকলের স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহণের আশাবাদ ব্যক্ত করেন এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে একটি ভেজালমুক্ত ও ভোক্তাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির আহ্বান জানিয়ে তাঁর বক্তব্য শেষ করেন।
সভাপতি জেলা প্রশাসক, বরগুনা মোহাঃ রফিকুল ইসলাম তাঁর বক্তব্যে কর্মশালা আয়োজনের জন্য বরগুনা জেলাকে নির্বাচন করায় জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন, কর্মশালার উদ্দেশ্য ভোক্তা সাধারণকে সচেতন করা। ভোক্তা অধিদপ্তরের সার্বিক কার্যক্রমসহ GAIN এর সাথে ভোজ্য তেলে ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রমে জেলা প্রশাসন সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।
কর্মশালায় মুক্ত আলোচনা পর্বে মহাপরিচালক কর্মশালায় আগত অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর প্রদান করেন। এরপর তিনি কর্মশালার সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ এবং উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মাধ্যমে কর্মশালার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।