নইন আবু নাঈম,(বাগেরহাট) : বাগেরহাটের শরণখোলায় ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এরিয়া প্রোগ্রামের আয়োজনে রায়োন্দার পাঁচরাস্তা এলাকার কবির কমিউনিটি সেন্টারে শিশু কল্যাণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ‘‘জনগণের সম্মেলন-২০২৪” অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৮ ও ২৯ জানুয়ারি সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

ওয়াল্ড ভিশন বাংলাদেশ শরণখোলা উপজেলা এরিয়া প্রোগ্রাম ম্যানেজার ক্যারোল শুশ্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রায়হান উদ্দিন শান্ত, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রায়েন্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি আজমল হোসেন মুক্তা, সাউথখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরান হেসেন রাজিব, ধানসাগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাইনুল ইসলাম টিপু, খোন্তাকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন খান মহিউদ্দীন, ওয়ার্ল্ড ভিশনের ডেপুটি ডিরেক্টর রাজু উইলিয়াম রোজারিও।

এ সময় মতামত ব্যক্ত করেন শরণখোলা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি সিনিয়র প্রভাষক আঃ মালেক রেজা, ইউপি সদস্য তপু বিশ্বাস, মোঃ জামাল হোসেন জোমাদ্দার, মোঃ ছগির হোসেন, ধর্মীয় নেতা মিজানুর রহমান।
এছাড়া অনুষ্ঠানে জনগণের সম্মেলনে স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধি, সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, সাংবাদিক, শিশু-যুবক, বিভিন্ন পেশাজীবী ও অভিভাবকবৃন্দ এলাকার শিশু কল্যাণে প্রধান ৭টি সমস্যা চিহ্নিত করেন।
‘শিশু অধিকার, সুরক্ষা ও নিরাপত্তা’, ‘পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন’, ‘গুণগত শিক্ষার মান’ ‘অর্থনৈতিক সমস্যা বা বিকল্প আয়ের উৎস’, ’প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তন’, ‘স্বাস্থ্য-পুষ্টিহীনতা’ ও ‘প্রতিবন্ধীবান্ধব শিক্ষা ও সুযোগ সুবিধার অভাব’।
এসময় উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন, এই উপক‚লীয় জেলায় সাইক্লোনসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগের সঙ্গে আমাদের সংগ্রাম করে বেঁচে থাকতে হয়। চৈত্র-বৈশাখ মাসে এ অঞ্চলে পানির সংকট খুবই তীব্র। ওই সময়ে ডায়রিয়া ও পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটে। শিক্ষার মান উন্নয়ন করা জরুরী, এই এলাকায় বাল্য বিবাহের হার এখনও অনেক বেশি, এই বিষয়গুলো বিবেচনা করার আহবান জানান।
জনগণের এই তথ্য, মতামত, পরিকল্পনা ও স্বপ্নগুলোকে ভিত্তি করে ওয়ার্ল্ড ভিশন পরবর্তীতে আগামী পাঁচ বছরের উন্নয়ন কর্ম পরিকল্পনা তৈরি করবে যেখানে জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ থাকবে বলে ওয়ার্ল্ড ভিশনের কর্মকর্তারা জানান।