মো:রফিকুল ইসলাম,(নড়াইল) : নড়াইলের বিতর্ক সৃষ্টি হওয়ায় নড়াইলের কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শশাঙ্ককে রংপুরে বদলি করা হয়েছে। গত রোববার ১৮ ফেব্রুয়ারি,এ সংক্রান্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পক্ষে,পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মো. হারুন-অর-রশীদ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে তাকে বদলির আদেশ দেওয়া হয়। তার বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, নড়াইলের সিভিল সার্জন ডা. সাজেদা বেগম পলিন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়,কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. শশাঙ্ক চন্দ্র ঘোষকে রংপুর সদরের ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজিতে সহকারী অধ্যাপক (ভারপ্রাপ্ত) পদে বদলি করা হয়েছে। একই আদেশে খুলনার শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের আরএমও ডা. মো. আব্দুর রশীদকে কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (নিয়মিত) পদে বদলি করা হয়েছে।
গত এক মাস ধরে কালিয়ায় আলোচনায় ছিলেন ডা. শশাঙ্ক। জানুয়ারি মাসের শেষ দিকে সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে অফিস সময়ের পর এক নারী চিকিৎসককে নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার অভিযোগে জেলা সিভিল সার্জন তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন। এরপর গত ৬ ফেব্রুয়ারি তার অনিয়ম,দুর্নীতি, সরকারি টাকা আত্মসাৎ,ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের কাছে তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি, হাসপাতালের পুকুরের মাছ বিক্রির টাকা লোপাট, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক মালিকদের কাছে অর্থ দাবিসহ নানা অভিযোগ লিখিত ভাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্যসচিব,সিভিল সার্জনসহ বিভিন্ন দপ্তরে পাঠান কালিয়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র আসলাম ভূঁইয়া, কালিয়া সার্জিক্যাল ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিকের মালিক এবং উপজেলা ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক মালিক সমিতির সভাপতি মোতালেব হোসেন।
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত শুক্রবার ১৬ ফেব্রুয়ারি, এসব অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও বানোয়াট দাবি করে সরকারি ছুটির দিন নিজ কার্যালয়ে বসে সংবাদ সম্মেলন করেন ডা. শশাঙ্ক চন্দ্র ঘোষ। পরদিন শনিবার ১৭ ফেব্রুয়ারি কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে তার অপসারণ দাবিতে কয়েকশ’ লোক মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন। এসময় চব্বিশ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে ডা. শশাঙ্ককে বদলির আহ্বান জানানো হয়।