গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনিচুর রহমান।

মো: সাইফুর রশিদ চৌধুরী : গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিচুর রহমানের নেতৃত্বে মাহে রমজানে পণ্যমূল্য নিয়ে অরাজকতা ঠেকাতে মনিটরিংয়ে নেমেছে সদর থানা পুলিশের একটি টিম। গোপালগঞ্জ কিছু অসাধু ব্যবসায়ী প্রতি বছর বাজারের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি করে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে থাকে।

আর সেটি নিয়ন্ত্রণে জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশনা পেয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানা পুলিশকে বাজার মনিটরিং করতে দেখা গেছে। আর এতে নেতৃত্ব দেন গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনিচুর রহমান।গতকাল বুধবার ১৩ মার্চ বিকেলে ওসি তার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে কাঁচা বাজার, মনোহারী মার্কেট, দুধের বাজার, মাংসের দোকান, ফল মার্কেটসহ বিভিন্ন দোকান মার্কেট মনিটরিং করেন। এ সময় তিনি বিভিন্ন পণ্যের ক্রয়মূল্যের রসিদ যাচাই । মাত্রাতিরিক্ত বেশি দামে কেউ পণ্য বিক্রি করছেন কি-না সে বিষয়ে খোঁজ খবর নেন।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. আনিচুর রহমান গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, মাহে রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাজার মনিটরিংয়ে নেমেছি।
ক্রেতারা যাতে এ মাসে ন্যায্য মূল্যে পণ্য ক্রয় করতে পারেন এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার যাতে অস্থিতিশীল হয়ে না ওঠে সেদিকে নজরদারি রাখবে পুলিশ।নির্ধারিত মূল্য তালিকার বেশী পণ্য বিক্রির প্রমাণ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাজার মনিটরিংয়ের কাজ পুরো রমজান মাস জুড়ে অব্যাহত থাকবে। কালোবাজারি করে কেউ দাম বাড়াচ্ছে কি-না এটা যাচাই করা হবে। পণ্যের অবৈধ গুদামজাত করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিষয়টিকে গোপালগঞ্জের নানা শ্রেণী পেশার মানুষ সাধুবাদ জানিয়েছন।