কুমিল্লা প্রতিনিধি : জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ছাত্রী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে করা মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতয়ালী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) পুলিশ পরিদর্শক শিবেন বিশ্বাস অবন্তিকার আত্মহত্যার মূল রহস্য উদঘাটনের নিমিত্তে সহপাঠী আম্মানকে ৫ দিন এবং সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে ২ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করিলে উভয়পক্ষের বক্তব্য শ্রবণান্তে অবন্তিকার সহপাঠীকে ২ দিন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টরকে ১ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছে আদালত। আজ সোমবার ১৮ মার্চ, সকাল সাড়ে ১১টায় কুমিল্লার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আবু বকর সিদ্দিক এ আদেশ দেন।
এরআগে মামলায় গ্রেপ্তার অবন্তিকার সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী ও প্রতিষ্ঠানটির সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে পুলিশ প্রহরায় আদালতে নিয়ে আসা হয়।
গত শুক্রবার রাতে জবি ছাত্রী অবন্তিকাকে মৃত বলে জানান কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক জোবায়ের।
মৃত্যুর আগে জবির এ ছাত্রী ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন, যাতে তিনি আত্মহত্যা করতে যাচ্ছেন বলে জানান। আত্মহত্যার জন্য সহপাঠী আম্মান ও জাবির সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে দায়ী করেন এ শিক্ষার্থী।
জবির এ ছাত্রী কুমিল্লা নগরের শাসনগাছা এলাকার প্রয়াত জামাল উদ্দিনের মেয়ে। তার বাবা কুমিল্লা সরকারি কলেজের পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক ছিলেন এবং তার মা তাহমিনা শবনম কুমিল্লা পুলিশ লাইনস উচ্চ বিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষিকা।