বিশেষ প্রতিবেদক : ধর্মীয় অনুভূতি মূল্যবোধের উপর আঘাত উসকানি প্রদানের অভিপ্রায়ে নয়। সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হোক ধর্মীয় শিক্ষাবান্ধব। সব ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান মাদ্রাসা শিক্ষার বিরুদ্ধে নয়। বলছি অভিভাবক সাংবাদিক ইস্যু মাদ্রাসা সম্পর্কিত তথ্যের জেরে উল্টো মাদ্রাসার ছাত্রীকেই (৯)অর্ধ কোরআনের হাফেজকে বহিষ্কার করে। ধর্ম বিদ্বেষী জাহিল মূর্খ নির্বোধের পরিচয় দিল আয়েশা (রা:) মহিলা মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। কিছু অসৎ শিক্ষক/ব্যবস্থাপক পরিচালক মাদ্রাসাকে হীনস্বার্থ ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহার করছে। শিক্ষা সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের আড়ালে অসৎচিন্তা দায়িত্বেহীনতা নিজস্বার্থ অর্থ আদায়ে বাণিজ্যিক পকেট প্রতিষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে।
২৫ জুন, বিকালে ভর্তির ২ মাসের মধ্যেই মনগড়া অজুহাতে হেফজ বিভাগের অর্ধ কোরআনের হাফেজা ছাত্রীকে প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ বহিষ্কার করেছে জানান অফিস সহকারী ও ব্যবস্থাপক মোঃ কাউসার হোসাইন। তাদের কথিত পকেট কমিটি ও উপর মহলের নির্দেশে বহিষ্কার করেছে বলে জানান অভিভাবকে।
ছাত্রী বহিষ্কৃত অভিভাবক বলেন,কোন কারন ইস্যু ছাড়া বহিষ্কার এটা কেমন নিষয় ? কথা কাজে গড়মিল মিথ্যাগল্প বানোয়াট মানসম্মত আবাসিক সুব্যবস্থা ও শিক্ষা ব্যবস্থার নানা সুযোগ সুবিধার ফাঁদে ফেলে ছাত্রী ভর্তি করানোই মূল উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য। বাস্তবে নেই প্রতিশ্রুতির ছিটেফোঁটাও। অভিভাবকদের হয়রানি ভোগান্তি ছাত্রীদের শিক্ষাঝুঁকি প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে।
ঘটনাক্রমে ২আবাসিক ছাত্রী ভর্তির মাসেই তাদের অনিয়ম অসুবিধা ভোগান্তি হয়রানি সহ্য করতে না পেরে মূল্যবান সময় শ্রম ও আর্থিক ও শিক্ষার অপূরণীয় ক্ষয়ক্ষতি শিকার হয় ভুক্তভোগী ২শিক্ষার্থী ও অভিভাবক। প্রতিষ্ঠানের প্রতি অভিযোগ আপত্তিতে প্রতিষ্ঠান ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। যাদের প্রত্যেকের ভর্তি অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচে ২০ হাজারের অধিক টাকা ব্যয় হয়।
ঘটনাক্রমে প্রতিষ্ঠানের নিয়ম অনিয়ম ভালো মন্দ তথ্য অনুসন্ধানের নেপথ্যে অর্ধ কোরআনের হাফেজাকে নিষ্ঠুর নির্মম পূর্বপরিকল্পিত কায়দায় বহিষ্কারের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিলেন ভুক্তভোগী অভিভাবককে। ভুক্তভোগী অভিভাবক আসর থেকে মাগরিবের এক ঘন্টা পর পর্যন্ত কর্তৃপক্ষকের নিকট সব রকমের নত হয়ে হাতে পায়ে ধরেও শেষ রক্ষা হয়নি। উল্টো ছাত্রী বহিষ্কারের ঘটনাকে প্রয়োজনে ভিন্নখাতে প্রবাবিত ও রাজনৈতিক ইস্যুতে যেকোনো চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করা হবে। ওই ছাত্রীকে বহিষ্কার করা হয়েছে নিশ্চিত জানিয়ে দিয়েছেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ব্যক্তিগত পকেট প্রতিষ্ঠানে পরিণত। যা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের এমন ইসলাম বিদ্বেষী সহিংস হেনস্তাপূর্ণ আচরণ ও হুমকি ধামকি সত্যিই অবিশ্বাস্য প্রশ্নবিদ্ধ নেতিবাচক চিত্রে ভয়াবহ। যা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত সেই সাথে ধর্মীয় শিক্ষাকে প্রশ্নবিদ্ধ ও নেতিবাচক করে তোলে অভিভাবক ও ইসলাম ধর্ম প্রিয় মানুষের মাঝে।
তিনি আরও বলেন, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান কর্তৃক এমন অদ্ভুত অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ যার ব্যাখ্যা দেওয়া কোনভাবেই সম্ভব নয়। বহিষ্কারের এমন সিদ্ধান্তে সান্তনা সহানুভূতি প্রকাশ সমাধান কোনটাই পাইনি তিনি। এমন অন্যায় প্রতিহিংসামূলক নিজস্বার্থ হঠকারী ধর্মীয় বিদ্বেষী সিদ্ধান্ত ধর্মীয় শিক্ষানীতি নৈতিকতা আদর্শ ও অনুভূতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে। যা কোন কারণ ইস্যু ছাড়াই ছাত্রী বহিষ্কার ও প্রতিষ্ঠানের নিয়ম শৃঙ্খলা অনিয়মের সত্যতাকে নানা প্রশ্নবিদ্ধ করে।
অভিভাবক বলেন,আমার সদিচ্ছা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মাদ্রাসা ইসলামী অনুভূতিকে আঘাত করা নয়,যারা ছোটখাটো বিষয়কে নিজ ব্যক্তিগত প্রতিহিংসার আচরণ রাজনৈতিক অরাজনৈতিক নামে মনগড়া অজুহাতে ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করে। রাজনৈতিকভাবে স্বার্থ আদায় হাসিলে তালকে তিল বানায়। ইসলামের অপব্যাখ্যা দিয়ে নিজেদের অসৎ উদ্দেশ্য অপব্যাখ্যারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি অভিভাবক ও জনসাধারণের।
অভিভাবক বলেন,আমার প্রতি তাদের এত ইসলাম বিদ্বেষী অমানবিক আচরণ কেন। আমি কোন ভুল করে থাকলে আমার সন্তানকে বহিষ্কার কেন ? সাংবাদিক ইস্যু ও তথ্যের জেরে ধর্মীয় অনুভূতিকে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করার অপচেষ্টা কেন ? মনগড়া অযুহাতে ছাত্রীকে কোন কারণ ছাড়াই অন্যায়ভাবে কু-উদ্দেশ্য বহিষ্কার করা হয়েছে । এতে শিশুর শিক্ষার্থীর উপর নেতিবাচক প্রভাব ও চরম শিক্ষাঝুঁকি প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে। যা শিশুর ভবিষ্যত শিক্ষায় বাঁধা অপরুনীয় ক্ষয়ক্ষতি। কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীর উজ্জীবিত চিন্তা চেতনায় ক্ষত প্রশ্নবিদ্ধ নানা অঘটন অনিয়মের দায় এড়াতে পারেন মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। অভিযোগে ভুক্তভোগী সাধারণ শিক্ষার্থী ও অভিবাবক।
ছাত্রীর অভিভাবক বলেন, মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠানের নিয়ম নীতি শৃঙ্খলা সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য। ছাত্রীদের শিক্ষার মান আবাসিক মানসম্মত পরিবেশ ভালো-মন্দ জানার জেরে অশুভ আচরণ আয়েশা (র:) মহিলা মাদ্রাসা মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে একাধিক সাংবাদিক সক্রিয় উপস্থিতিকে নেতিবাচকভাবে ঘোলাটে অনিয়মের গল্প কাহিনী সাজিয়ে ফেলে কিভাবে তা আমার বুঝে আসেনা। অহেতুক নানা তথ্যচিত্র সাংবাদিক ইস্যু ও তথ্যের জেরে ধর্মীয় অনুভূতিকে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করার সুনিপন অপচেষ্টা। অহেতুক মনগড়া সিদ্ধান্তে ভিন্নখ্যাতে প্রভাবিত করে। কারণ ছাড়াই অযুহাতে ছাত্রীকে বহিষ্কার।
বহিষ্কারের কারণ জানতে চাইলে, প্রতিষ্ঠানের নানা শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং মনগড়া ধর্মীয় কথামালা, প্রতিষ্ঠানের সুনামক্ষুন্ন অজুহাতের নানা কায়দা কৌশলে বহিষ্কারের বিষয়টি উপর মহলের নির্দেশে চূড়ান্ত হয়েছে বলে জানিয়ে দেয়। ক্ষমতার অপব্যবহাকারী তিল থেকে তাল বানোয়াটী মিথ্যুক অফিস সহকারি ও ব্যবস্থাপক মো: কাউসার হোসাইন। আর বিষয়টা না-কি তাঁরা অভিভাবককেউ জানিয়ে দিয়েছেন। যার সত্যতা নেই ছিটেফোঁটা। অথচ আমি অভিভাবককে না জানিয়ে কিভাবে বহিষ্কার করলো এ বিষয়ে মাদ্রাসার পরিচালক জালালুদ্দিনের সাথে কথা বলতে বলেন।
উক্ত বিষয়ে মাদ্রাসার পরিচালক জালালুদ্দিন বলেন,অভিভাবক ও সাংবাদিক ইস্যু উপস্থিতি এর জন্য দায়ী। উত্তরে অভিভাবক বলেন, মাদ্রাসার সিদ্ধান্তকে সম্মান জানায়। অভিভাবকের আর্জি দাবি আপত্তি জানায় আপনি পরিচালকের কাছে। এভাবে বহিষ্কার কেন কি কারণ কোন নিয়মে ? আর অন্য মাদ্রাসায় পড়ার সময় সুযোগ তো দিবেন নাকি ? তবে,এমন বহিষ্কার এটা অন্যায় প্রতিহিংসা ব্যক্তিগত নেতিবাচক সিদ্ধান্ত। যা কোনভাবেই কোন ক্ষেত্রেই কারোই কাম্য নয়। প্রয়োজন হলে অভিভাবক ভুল করে থাকলে মাফ চাইবেন। কিন্তু, এমন বহিষ্কার কেন ? সমস্যা হলে সমাধান তো আছে। কিন্তু কারণ ছাড়া অভিযোগ ছাড়া বহিষ্কার এটা কিভাবে কেমনে সম্ভব ? অন্য প্রতিষ্ঠানের পড়ার সময় সুযোগ অন্তত দিতে হবে ? আর এমন ইসলাম বিদ্বেষী প্রতিহিংসা ব্যক্তিগত মূলক প্রশ্নবিদ্ধ সাংঘর্ষিক আচরণ কেনই বা করবেন?
জবাবে পরিচালক বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানে রাখা কোনভাবেই সম্ভব নয়। তিনি প্রয়োজনে ভর্তির টাকা সহ ফেরত দিবেন। এ বিষয়ে তিনি কথা বলতে রাজি নয়। অভিভাবক ও সাংবাদিক উপস্থিতিতে প্রতিষ্ঠানের নিয়ম ধর্মীয় নীতির বরখেলাফ হয়েছে। নিয়ম ভঙ্গ সুনাম ও মর্যাদাহানি হয়েছে।
মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মুফতি ইজহার ইসলাম চৌধুরী’কে জানালে তিনি এ বিষয়ে কিছুই করার নাই বলে সরাসরি জানান অভিভাবককে । অনুরোধ করলে তিনি আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন…প্রয়োজনে বিষয়টা ভিন্নদিকে প্রভাবিত করবেন। ধর্মীয় চেলেঞ্জে মোকাবিলা করবেন।
উসকানিমূলক রাজনৈতিক প্রভাবে কথা বলেন… ..। এটা সুবিচার কিনা প্রশ্ন করলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় সত্বেও হেনস্তা ও হুমকি ধামকি প্রদর্শন করেন। তিনি বিষয়টিকে ভিন্ন খাতে অপব্যাখ্যা ও প্রভাবিত করেন।
উক্ত বিষয়ে লালখান বাজার ১৪ ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল হাসনাত মোঃ বেলাল বলেন, বিষয়টি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষই ভালো জানে। উক্ত বিষয়ে আমার করার কিছু নেই। কেউ অভিযোগ দিলে আপত্তি জানালে আমি আমার দায়িত্ব থেকে যতটুকু পারি সহায়তা সমাধানে চেষ্টা করবো।
উল্লেখ্য :মিথ্যা দিয়ে শুরু মিথ্যা দিয়ে শেষ করে অবশেষে ছাত্রীকেই বহিষ্কার করে ঘটনার ইতি টানে মাদ্রাসার কথিত পকেট কমিটি। অভিভাবকের প্রশ্ন একজনের অপরাধে আরেকজনকে শাস্তি কেন ? অভিভাবকের দায়ে সন্তানকে শাস্তি বহিষ্কার কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। বিষয়টি তীব্র সমালোচনার ঝড় উঠে ভুক্তভোগী অভিভাবকসহ অন্যান্য অভিভাবক ধর্মীয় শিক্ষা অনুরাগী ইসলামপ্রিয় ধর্মপ্রাণ মুসলিম ও সাধারণ জনতার মাঝে। সত্য যাচাইয়ে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুনজরর ও সমাধান দ্রুত সক্রিয় পদক্ষেপে হোক উপযুক্ত সমাধান। জাগ্রত হোক ইসলাম মুসলিম ধর্মীয় অনুভূতি সঠিক সজিবতা ও সচেতনতায়।
আল্লাহ সবসময় উত্তম পরিকল্পনাকারী। ধর্মীয় অনুভূতিতে ও ধর্মীয়শিক্ষাকে আঘাত করা প্রশ্নবিদ্ধ নয়। ৯০শতংশ মুসলিম দেশে সিংহভাগ মানুষ ইসলাম প্রিয় ধর্মপ্রাণ মুসলমান। ধর্মীয় স্পর্শকাতর অনুভূতি তাদের আদিঅন্তে রন্ধ্রে রন্ধ্রে। ধর্মীয় অনুভূতি মূল্যবোধের উপর
আঘাত উসকানি প্রদানের অভিপ্রায়ে নয়।সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হোক ধর্মীয় শিক্ষা বান্ধব।