হুমায়ুন কবির, (ঢাকা কলেজ) : স্বৈরাচারী সরকারের পক্ষাবলম্বনকারী প্রিন্সিপাল-ভাইস প্রিন্সিপাল ও শিক্ষকদের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ঢাকা কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।সেই সঙ্গে দেশদ্রোহী ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত সকলকে ঢাকা কলেজে প্রবেশে নিষিদ্ধের দাবি জানান তারা।
গতকাল শনিবার (১০ আগস্ট) ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাসের এই বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন অসংখ্য শিক্ষার্থীরা। এদিকে ঢাকা কলেজের সকল সাধারণ শিক্ষার্থীদের চোখ-কান খোলা রেখে দুষ্কৃতকারীদের প্রতিহত করতে আহ্বান জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মুহাম্মদ রাকিব।
তিনি বলেন, নিরাপদ ক্যাম্পাস গঠন ও বৈধভাবে সিট বরাদ্দসহ সাধারণ শিক্ষার্থীদের সকল দাবি দাওয়া নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঢাকা কলেজ কাজ করে যাচ্ছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের সকল দাবি দাওয়া বাস্তবায়নে আমরা বদ্ধপরিকর। ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠার অপচেষ্টা চালাচ্ছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ দায়িত্বে তাদের প্রতিহত করুন।
তিনি আরও বলেন, আমরা স্পষ্ট বলতে চাই, সাধারণ শিক্ষার্থীদেরকে প্রশাসনিকভাবে সিট বরাদ্দ দিতে হবে। কলেজ প্রশাসনের সকল ব্যর্থতার সাথে যেসকল শিক্ষকরা জড়িত তাদের বিরুদ্ধেও শিক্ষার্থীরা সিদ্ধান্ত নিবে। ক্যাম্পাসে কোনো লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি চলবে না। সাধারণ শিক্ষার্থীরা যেভাবে ক্যাম্পাস চাইবে সেভাবেই চলবে।
এদিকে, ঢাকা কলেজের হলে প্রবেশের অপচেষ্টা চালাচ্ছে ঢাকা কলেজের ছাত্রলীগের কর্মীরা। কোটা সংস্কার আন্দোলনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের পর হল ছাড়া হয়েছিল তারা। তবে হলের কার্যক্রম চালু না হলেও হলে উঠার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে তারা।
তথ্যমতে, ‘সাধারণ শিক্ষার্থী হল পরিবার’ নামের ১৮৭ সদস্যের একটি মেসেঞ্জার গ্রুপের ছাত্রলীগের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ রাজনীতির সাথে জড়িতদের কলেজের হলে উঠার পরিকল্পনা করতে দেখা যায়। উক্ত গ্রুপের হেডলাইনে ‘ক্যাম্পাসে রবিবার সকাল ১০টায় এক হবো’ লেখা উল্লেখ রয়েছে।
গ্রুপে কথোপকথনে ১৯-২০ সেশনের ইতিহাস বিভাগের মুখতার হোসাইন বলেন, সবাই একসাথে থাকলে আমাদের দ্বারা সব সম্ভব। আমরা যারা আগে হলে ছিলাম, আমরা একদিন সবাই হলে আসি।একটা তারিখ নির্ধারণ করুক। সাথে মিডিয়াও রাখা হোক। সবাই এক থাকলে আমরা হলে যারা রাজনীতি করছি না, তারা সবাই একতাবদ্ধ হয়ে চাইলেই পারবো।
এ বিষয়ে ঢাকা কলেজ উত্তর ছাত্রাবাসের তত্ত্বাবধায়ক অধ্যাপক ওবাইদুল করিম বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থী যাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দদের সাথে আলোচনা করে নীতিমালা তৈরি করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা হলে থাকবে। ক্যাম্পাসে দলীয় লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতি থাকবে না এই বিষয়ে আমরা সকলে একমত।