চৌকিদারের কাছ থেকেও ঘুষ নেন তিনি !

Uncategorized অনিয়ম-দুর্নীতি অপরাধ আইন ও আদালত গ্রাম বাংলার খবর বিশেষ প্রতিবেদন সারাদেশ সিলেট

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলী হায়দার।

 

 

নিজস্ব প্রতিনিধি (সিলেট) : পদোন্নতির কথা বলে চৌকিদারের (সাধারণ মহল্লাদার) কাছ থেকে ঘুস নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলী হায়দারের বিরুদ্ধে। তবে তিনি ঘুস নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।


বিজ্ঞাপন

সোমবার উপজেলার ১নং শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের চৌকিদার (সাধারণ মহল্লাদার) সাইফুল ইসলাম ওই অভিযোগ আনেন। সাইফুল তাহিরপুরের একটি ডিগ্রি কলেজের বিএসএস শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ও লাকমা গ্রামের ইদ্রিস মিয়ার ছেলে।


বিজ্ঞাপন
১নং শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের চৌকিদার (সাধারণ মহল্লাদার) সাইফুল ইসলাম।

 

 

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালে সপ্তম ধাপে অনুষ্ঠিতব্য ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিএনপির দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন আলী হায়দার।

কলেজ শিক্ষার্থী ও চৌকিদার সাইফুল ইসলাম অভিযোগ করেন, পড়াশোনার পাশাপাশি হতদরিদ্র অসচ্ছল পরিবারের মা-বা ভাই বোনদের ভরণপোষণ, পড়াশোনার ব্যয় মেটানোর তাগিদে নিজ ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে সাধারণ মহল্লাদার হিসেবে চাকরি নেন তিনি। ২০২২ সালে নির্বাচনের পর চেয়ারম্যান আলী হায়দার দায়িত্বভার গ্রহণের দুই মাস পর পরিষদের ৯ জন সাধারণ মহল্লাদারের মধ্যে আমাকে পদোন্নতি দিয়ে চৌকিদার (হেড দফাদারের) নিয়োগ দেবেন বলে ১ লাখ টাকা ঘুস দাবি করেন।

তিনি বলেন, আমি ও আমার পরিবারের থাকা গাভি ও বাছুর বিক্রি করে প্রথম দফায় পরিষদে গিয়ে চেয়ারম্যানের হাতে নগদ ৩০ হাজার ও দ্বিতীয় দফায় টেকেরঘাট এরশাদের দোকানে চেয়ারম্যানের হাতে নগদ আরও ২৮ হাজার টাকাসহ মোট ৫৮ হাজার টাকা তুলে দেই। এরপর থেকে চেয়ারম্যানকে পদোন্নতির কথা বলতে গেলেই তিনি রেগে গিয়ে বলতে থাকেন জেলা প্রশাসন থেকে সার্কুলার হলে তোরে তো কইছি (বলছি) হেড চৌকিদার বানাইমু।

সোমবার উপজেলার লাকমা গ্রামের বাসিন্দা সাইফুলের মা সুলেহা খাতুন বলেন, আমাদের ৯ সদস্যের পরিবার, নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা। শখ করে পরিবারের দুধের চাহিদা পূরণ করতে আমি নিজের টাকায় একটি বাছুরসহ গাভি কিনি। ছেলের পদোন্নতির জন্য সেই গাভিটিও বিক্রি করে টাকা চেয়ারম্যানের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

চেয়ারম্যানের যত কান্ড: সীমান্তে কয়লা চোরাচালানের লাইন ক্লিয়ারেও ব্যস্ত তিনি ভিজিএফ কান্ডে ঘুষ দিয়ে রক্ষা
ইউনিয়ন ট্যাক্সের নামে লাখ লাখ আদায়ের পর সেই টাকা কোথায় জমা হয় সেই হিসাবের কোন হদিস নেই
টিসিবির ভোজ্য তৈল (সয়াবিন), চাল চিনি, ডাল খাদ্য সামগ্রী নিজেদের লোকজনের নামে কার্ড তৈরী করে সেই কার্ডের বিপরীতে টিসিবির পণ্য কিনে রেখে মুদি দোকানে চড়া দামে বিক্রির অভিযোগ রয়েছে এ গুণধর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।

সোমবার উপজেলার ১নং শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলী হায়দারের নিকট ঘুস নেওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি প্রথমে চৌকিদার (সাধারণ মহল্লাদার) সাইফুলের নাম শুনেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। তাকে উদ্দেশ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বলেন, আমি চৌকিদারের পদোন্নতির কথা বলে সাইফুলের কাছ থেকে কোনো টাকা নেইনি। আমি দেখছি কি করে তার মাসিক ভাতা বন্ধ করা যায়। সাইফুল পরিষদে গেলে তার খবর আছে।।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *