ভবদহ জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান দিয়ে যেতে চাই : পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

Uncategorized খুলনা গ্রাম বাংলার খবর জাতীয় বিশেষ প্রতিবেদন রাজনীতি সারাদেশ

সুমন হোসেন, (যশোর) :  যশোরের দুঃখ বলা হয় ভবদহকে। ষাটের দশকের পর থেকে আস্তে আস্তে শুরু হয় ভবদহ জলাবদ্ধতা। তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে যশোর জেলার অভয়নগর,কেশবপুর, মনিরামপুর উপজেলার প্রায় ২ লক্ষ মানুষ এখন পানি বন্দী।


বিজ্ঞাপন

নানা আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে সরকার পক্ষ নজর দিয়েছে ভবদহ জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধানের।


বিজ্ঞাপন

তারই ধারাবাহিকতায় রবিবার ভবদহ জলাবদ্ধ অঞ্চল সহ আমডাঙ্গা খাল ও ভবদহ স্লুইচ গেট সরজমিনে পরিদর্শণ করেন
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

রোববার (১০ নভেম্বর) দুপুর ১১টার দিকে অভয়নগর উপজেলার আমডাঙ্গা খাল পরিদর্শণ শেষে এলাকায় গণশুনানিতে অংশগ্রহণ করেন তিনি। এ সময় তিনি অঞ্চলের মানুষের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের ভোগান্তির কথা শোনেন। কীভাবে ভবদহ জলাবদ্ধতার সমস্যার সমাধান করা যায় এ বিষয়ে নানা পরামর্শ শুনেন স্থানীয় ভুক্ত ভোগী মানুষের কাছ থেকে।

জলাবদ্ধতায় ভুক্তভোগী মানুষের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, পাঁচ লাখ মানুষের ভোগান্তির সমাধান আগে করতে হবে। আমরা একটি স্থায়ী সমাধানের দিকে যেতে চাই। ভুক্তভোগীদের পরামর্শে নেওয়া প্রকল্প অনুযায়ী জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ শুরু করা হয়েছে।

পরবর্তীতে আমডাঙ্গা খাল পরিদর্শণ শেষে জলাবদ্ধ মানুষের দুঃখ দুর্দশা দেখবার জন্য অভয়নগর উপজেরার সুন্দলী বাজারে অবস্থান করেন। সেখানে উপস্থিত হয়ে ছাত্র-ছাত্রী বৃদ্ধ তরুণদের কাছে তাদের সমস্যার কথা জানতে চান।

এ সময় তিনি সকলের কাছে ধৈর্য্য ধরে তাকে সহযোগীতার কথা বলেন। তিনি যে কোন মূল্যে স্থায়ী সমাধানের পথ করবেন বলে বদ্ধ পরিকর আছেন এমনটি জানান ভুক্তভোগীদেরকে।

পরবর্তীতে মনিরামপুর হয়ে ভবদহের স্লুইচ গেট পরিদর্শণ করেন। পরিদর্শণ শেষে ভবদহের নদী খনন কাজের খোজ খরব নেন।এ সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তিনি জানান পাঁচ-ছয় বছর পরপর যাতে একই সমস্যা না হয় সেজন্য স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন। গত ২০ বছর ধরে এ সমস্যা দেখছি, এ সমস্যার সমাধান হয়নি। তবে এবার সমাধানের ব্যবস্তা হবেই, ইনশাআল্লাহ।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *