বিশেষ প্রতিবেদক : বিসিক পরিচালক পর্ষদের বিদ্যমান সক্রিয় সদস্য সংখ্যা ৬জন। যার মধ্যে মোঃ আহসান কবীর ব্যতীত পাচ জনই (মোঃ কামাল উদ্দিন বিশ্বাস, যুগ্ম-সচিব, স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের সময়কালে মাদারীপুর জেলার জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব পালনকারী এবং সারাক্ষণ কুকর্মকারী, চরম অমানবিক আচরণকারী ও মহাদূর্নীতিবাজ, শ্যামলী নবী, যুগ্ম-সচিব, স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের সময়কালে চরম স্বেচ্ছাচারী এবং সুবিধাভোগী, কাজী মাহবুবুর রশীদ,উপ-সচিব এবং স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের সময় কালে ব্যাপক সুবিধাভোগী, মোঃ আব্দুল মতিন, উপ-সচিব এবং স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের সময়কালে ব্যাপক সুবিধাভোগী, এবং খন্দকার মুঃ মুশফিকুর রহমান, উপ-সচিব এবং স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের সময়কালে কুমিল্লা জেলার জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব পালনকারী ও স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের সময়কালে ব্যাপক সুবিধাভোগী) স্বৈরাচারী হাসিনার দোসর। বিসিকে আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী কর্মকর্তারা বহাল তবিয়তে শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল দৈনিক মুক্তখবর পত্রিকার ২৫ আগষ্ট ২০২৪ তারিখের সংখ্যায়। পরবর্তীতে অন্যান্য জাতীয় দৈনিকও বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকায় একই শিরোনামে একাধিক সংবাদ প্রকাশিত হলেও সরকারের তরফ হতে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।যার কারণে স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের দোসররা বেপরোয়া হয়ে উঠছে দিনকে দিন।
বিসিক পরিচালক (প্রশাসন) শ্যামলী নবী স্বাক্ষরিত একটি অফিস আদেশ স্মারকের মাধ্যমে ফ্যাসিষ্ট হাসিনার অন্যতম সক্রিয়কর্মী এবং সম্প্রতি নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পদধারী নেতা এবং একনিষ্ঠ সমর্থক মোঃ মেরাজ উদ্দিন, মোঃ আসিফ উল হাসান এবং মোঃ আজহারুল ইসলামকে প্রাইজ পোষ্টিং প্রদানের আদেশ জারী করেছেন ৭ নভেম্বর ২০২৪, যার অফিস আদেশ স্মারক নং- ১১১৫৬। নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাতে জানাগেছে পরিচালক (প্রশাসন) শ্যামলী নবী তার স্বগোত্রের মোঃ মেরাজ উদ্দিন, ডিবি হারুন এর আশীর্বাদপুষ্ঠ ছাত্রলীগের নেতা ও পতিত স্বৈরাচারের একনিষ্ঠ কর্মী/সমর্থক, মোঃ আসিফ উল হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুর্যসেন হল শাখার ২০০৬ সালহতে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সাবেক ছাত্রলীগ নেতা (ছায়া সভাপতি), মোঃ আজহারুল ইসলাম, ছাত্রলীগের নেতা ও একনিষ্ঠকর্মী/সমর্থক, যার বিরুদ্ধে একনেক অনুমোদিত প্রকল্পের ডিপিপির অংগ হানির অভিযোগ রয়েছে।
ফ্যাসিষ্ট হাসিনার স্বৈরাচারের দোসরদের প্রাইজ পোষ্টিং দেয়ার জন্য বিসিক চেয়ারম্যানকে ভুল তথ্য উপস্থাপন বা ভুল বুঝিয়ে অনুমোদন গ্রহণ করেছেন পরিচালক (প্রশাসন) শ্যামলী নবী। পরিচালক (প্রশাসন) শ্যামলী নবীর এ ধরনের একটি কাজ ৩৬ জুলাই অর্থাৎ ৫ আগষ্ট ২০২৪ এর গণঅভ্যুর্থানের সম্পূর্ণ বিপরীতমূখী একটি কাজ।
তার গৃহীত একটি অসংগতিপূণর্ আদেশ বা কার্যব্যবস্থা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সাথে তামাশার শামিল। এ জাতীয় একটি আদেশ জারীর কারণে বিসিকের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মাঝে ব্যাপক বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
ফ্যাসিষ্ট হাসিনার দোসর বিসিক পরিচালক (প্রশাসন) শ্যামলী নবীর পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ, প্রিয় তোষণনীতি র মাধ্যমে স্বৈরাচারের সমর্থক তিনজন কর্মকর্তার বদলী/পদায়ন আদেশ অবিলম্বে বাতিল করা না হলে বিষয়টিকে কেন্দ্র করে বিসিকে বড়ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার সূত্রপাত ঘটতে পারে মর্মে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক কর্মকর্তা ও কর্মচারী।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিচালক প্রশাসন শ্যামলী নবী বলেন, বিসিক পরিচালনা বোর্ডের সিদ্ধান্তে সরকারি বিধি বিধান মেনেই তিনি বদলী আদেশ জারি করেছেন।