মোঃ সাইফুর রশিদ চৌধুরী : গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় দুই জনকে পাখি শিকার ও বিক্রয়ের অপরাধে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বুধবার দুপুরে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের লখন্ডা গ্রামের দক্ষিণ পাড়া গ্রামে পাখি শিকার ও বিক্রয়ের অপরের এ কারাদণ্ড প্রদান করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। কোটালীপাড়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত এ দণ্ডাদেশ দেন। পরে পাখিগুলো আকাশে উড়িয়ে অবমুক্ত করা হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার কান্দি ইউনিয়নের কান্দি গ্রামের জয় রহমান ও ইসহাক মোল্লা। জয় রহমানকে ১০ দিনের ও ইসহাক মোল্লাকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট বন অধিদপ্তর আগারগাঁও ঢাকার বন্যপ্রাণী পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আস সাদিক বলেন, আজ পাখি শিকার ও বিক্রি করছিল তারা। গোপন সংবাদের প্রেক্ষিতে গোপালগঞ্জ বন বিভাগ এবং বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট সেখানে উপস্থিত হয়ে হাতে-নাতে তাদের ধরে ফেলে।
এ সময় সেখান থেকে ৩৮টি পাখি জব্দ করা হয়। পরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতে দোষ স্বীকার করলে আদালত তাদের কারাদণ্ড দেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতে বিচার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত বলেন, ওই দুই ব্যক্তি ভবিষ্যতে আর বন্যপ্রাণি শিকার বা ক্রয়- বিক্রয় না করার অঙ্গিকার করেছে। বিচারের রায় ঘোষণার পর তাদেরকে পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়।
তিনি বলেন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন, ২০১২ এর ধারা ৩৮ অনুযায়ী পাখি শিকার, হত্যা, ক্রয় বিক্রয়, আটক রাখা, ইত্যাদি দণ্ডনীয় অপরাধ। বনবিভাগের নিয়মিত টহলের অংশ হিসেবে ইতোপূর্বে পাখি শিকার, ক্রয়-বিক্রয় ইত্যাদি অপরাধে ৩ জনকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। পাখি প্রকৃতির বড় সম্পদ কেউ প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্টের চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানান প্রতীক দত্ত।
এ সময় বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট বন অধিদপ্তর আগারগাঁও ঢাকার বন্যপ্রাণী পরিদর্শক অসীম মল্লিক, গোপালগঞ্জ জেলা বন কর্মকর্তা বিবেকানন্দ মল্লিকসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।