নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়। এর কয়েক দিন পর এই ক্ষমতা দেওয়া হয় নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর কর্মকর্তাদের।

এবার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও কোস্টগার্ডে প্রেষণে নিয়োজিত সমমর্যাদার কর্মকর্তাদেরও এর আওতাভুক্ত করা হয়েছে। এক আদেশের মাধ্যমে তাদের এই ক্ষমতা দেওয়া হলো।

এদিকে সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা আরও ৬০ দিন বাড়িয়েছে সরকার। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও তদূর্ধ্ব সমপদমার্যাদার কমিশন্ড কর্মকর্তাদের সারা দেশে বিশেষ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা অর্পণ করা হলো। তাদের পাশাপাশি কোস্টগার্ড ও বিজিবিতে প্রেষণে কর্মরত সামরিক কর্মকর্তারাও একই ক্ষমতা পেয়েছেন।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মানসুর হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর সারা দেশে মোতায়েন করা সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের দুই মাস বা ৬০ দিনের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। এর কয়েক দিন পর ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে এই ক্ষমতা দেওয়া হয় নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর কর্মকর্তাদের।
তখন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মানসুর হোসেন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ১৭ সেপ্টেম্বর জারি করা প্রজ্ঞাপনে সংশোধন এনে ‘সেনাবাহিনী’র জায়গায় ‘সশস্ত্র বাহিনী’ শব্দটি যোগ করা হয়েছে। তবে এর জন্য নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়নি, পুরোনো প্রজ্ঞাপনের একই স্মারক ও তারিখ প্রতিস্থাপিত হয়েছে।