শিবলী সাদিক খান (ময়মনসিংহ) : ময়মনসিংহে অবৈধ ইটভাটায় অভিযানে ধীরগতি পরিলক্ষিত হচ্ছে এর অধিকাংশই রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। অবৈধ ইটভাটার সংখ্যা রয়েছে ২১২টি।ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের যৌথ অভিযানে এরই মধ্যে নগরীর দুটি ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।
গত বুধবার (২০ নভেম্বর) সকালে নগরীর আকুয়া দক্ষিণপাড়া নামক এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মেসার্স জামান ব্রিকসকে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৩ সংশোধিত ২০১৯ এর ৮(১) ধারা লঙ্ঘনের দায়ে তিন লক্ষ টাকা জরিমানা ধার্যর্পূর্বক আদায় করা হয় এবং মেসার্স মান্নান ব্রিকস নামক ইনভাটা ভেঙ্গে দেয়া হয়। এছাড়াও ইটভাটা দুটিকে বন্ধ করার নির্দেশ প্রদান করেন।
অভিযানকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার কে এম রাফসান রাব্বি ও পরিবেশ অধিদপ্তর, ময়মনসিংহের পরিদর্শক মো: রুকন মিয়া প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এ অভিযানের পর অনেকটাই স্বস্তি ফিরে এসেছে নগরীতে। তবে কিছুটা অস্বস্তিও কাজ করছে সচেতন মহলে। তারা বলছেন, দুটি ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করে বন্ধের নির্দেশ দিলেও পরবর্তী ৪৮ ঘন্টা পার হলেও অন্যান্য ইটভাটায় এখনো অভিযান পরিচালনা করা হয়নি।
জানা গেছে, ময়মনসিংহে ইটভাটার সংখ্যা ২৫৫টি। এর মধ্যে অবৈধ ২১২টি। আইন অমান্য করে যত্রতত্র গড়ে উঠেছে এসব ইটভাটা। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য। এর মধ্যে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনে আছে ৩৬টি।
ময়মনসিংহ শহরের সিটিতে বারীপ্লাজা মার্কেট এর মালিক বাবুদের বাড়েরারপুল এলাকায় ৫টি ইটেরভাটা ও রতনের ৪টি সাইফুলের ২টি ভান্ডার শহীদ এর ১টি জুলহাস মামুনের ১টি মাহতাব সাহেব ১টি সুরুজ জামান সাহেব এর ১টি সুমনের ১টি চনচল ১টি বাংলাদেশ ব্যাংক এর সংলগ্ন জামাল এর ১টি এমনকি ঢাকা রোড এলাকায় ডা. মতিউর রহমানের ১টিসহ তারাকান্দা ও ফুলপুর সড়কে একাধিক ইটের ভাটা রয়েছে পুলিশ কর্মকর্তাদের। এসব ইটভাটাগুলো পরিবেশ অধিদপ্তরের নিয়ম নীতি তোয়াক্কা না করেই চলছে। তবে নেই কোন অভিযান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান, মোটা অংকের মাসোহারা নিয়েই এসব অবৈধ ইটভাটা প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই তারা চালাচ্ছেন।
ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মোঃ মুফিদুল আলম বলেছেন, আজকে দুটি ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অবৈধ সকল ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করা হবে।