ফরিদপুর প্রতিনিধি : চলো হারাই শৈশবে’ স্লোগানে ফরিদপুরে পদ্মার পাড়ের ধলার মোড়ে ৮ম ঘুড়ি উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে সিটি অর্গানাইজেশনের উদ্যোগে ও পেপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের সহায়তায় এই ঘুড়ি উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
এই ঘুড়ি উৎসবকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন বয়সী লোকজন ভিড় করে পদ্মার পাড়ে। অনেকেই অংশ নেয় ঘুড়ি উড়ানো প্রতিযোগিতায়।
ঘুড়ি উৎসব অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন,’ঘুড়ি উৎসব ফরিদপুরবাসীর প্রাণের উৎসব, তারুণ্যের উৎসব। এ জেলার মানুষের বিনোদনের জন্য একটি অন্যতম উৎসবে পরিণত হয়েছে এই ঘুড়ি উৎসব। হাজার হাজার আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা এই উৎসবে যোগ দিয়ে অনুষ্ঠানকে সফল করে তোলে।
বিশেষ করে ফরিদপুরের তরুণদের মাদকের ভয়াবহতা সম্পর্কে সচেতন থেকে এর থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানানো হয় এ ঘুড়ি উৎসবে।
গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী এই সংস্কৃতিকে ধরে রাখার জন্য বক্তারা ফরিদপুর সিটি অর্গানাইজেশন এবং টাইটেল স্পন্সর পেপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডকে ধন্যবাদ জানান এবং ভবিষ্যতে এই আয়োজনে সব ধরনের সহায়তা বজায় রাখার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ঘুড়ি উৎসবে সাপ, পঙ্খীরাজ, ড্রাগন, চিল, হাজারী গোলাপ, ঈগল, সুপারম্যান ঘুড়িসহ নানা ধরনের বর্ণিল ঘুড়িতে মেতে উঠে ফরিদপুরের মানুষ। পদ্মাপাড়ের আকাশ রং-বেরঙের বিভিন্ন আকৃতির ঘুড়িতে নৈসর্গিক রূপ ধারণ করে। বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ ঘুড়ি উৎসব দেখতে ছুটে আসে।
সকাল থেকেই ঘুড়ি উৎসবে অংশগ্রহণ করতে বিভিন্নস্থান থেকে ছুটে আসেন ঘুড়ি প্রেমিকরা। বেলা যত বাড়তে থাকে ততই ভিড় বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে জনস্রোত নামে সেখানে। সন্ধ্যায় শেষ হয় এই উৎসব।
প্রতিবছর এই উৎসবের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেয় সন্ধ্যায় ফানুস উড়ানো। কিন্তু এ বছর তা নিষিদ্ধ থাকায় সন্ধ্যার মধ্যেই সমাপ্তি ঘটে এই ঘুড়ি উৎসবের।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. কামরুল ইসলাম মোল্লা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে সুপারিশকৃত) মোহাম্মদ এমদাদ হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) রামানন্দ পাল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইয়াছিন মোল্যা, পেপারটেক ইন্ডাস্টিজ লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, ফারিয়ান ইউসুফ প্রমুখ।
ঘুড়ি উৎসব শেষে বিজয়ীদের মধ্যে প্রথম পুরস্কার ২৪ ইঞ্চি এলইডি স্মার্ট টিভি, দ্বিতীয় পুরস্কার মাইক্রোওয়েভ ওভেন এবং তৃতীয় পুরস্কার গ্যাসের চুলা দেওয়া হয়।