নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশের সাধারণ মানুষকে ডাবল মুনাফার লোভ দেখিয়ে (এমএলএম) বাংলাদেশী মাল্টিলেভেল মার্কেটিং কোম্পানি, গুলোর মধ্যে বেশির ভাগ কোম্পানি গুলো গ্রাহকদের বিনিয়োগ জমা নিয়ে প্রতারনা করে চলেছেন দির্ঘদিন ধরে। এমএলএম সহ মার্কেটিং বিনিয়োগ বিষয়ে দেশে প্রচলিত আইন- কানুন রয়েছে।
প্রচলিত আইন চালু থাকলেও আইনকে বৃদ্ধআঙ্গুল দেখিয়ে এমএলএম কোম্পানি গুলোর মালিকানাধীন শেয়ার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের উচ্চ পদস্থ নেতা – কর্মীদের নামিও হওয়ার সুবাদে এমএলএম কোম্পানি গুলে অদৃশ্য ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে প্রতিনিয়তো নিত্য নতুন কৌশল অবলম্বন করে নানান নামিও সাইনবোর্ড ব্যবহার করে নিত্য নতুন কৌশল অবলম্বন করে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে এমএলএম কোম্পানি গুলো বিনিয়োগ কারিদের সাথে প্রতিনিয়তো প্রতারণা করেই চলেছেন।
যার কারনে বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে এমএলএম কোম্পানিতে বিনিয়োগ এবং ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রতি সাধারণ বিনিয়োগ কারি ব্যক্তিরা আস্থা হারিয়ে ফেলছে। কিন্তুউন্নত বিশ্বে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে এমএলএম কোম্পানি গুলো বিনিয়োগ কারিদের আমানত সঠিক সময়ে প্রদান করে থাকেন, যা এবিষয়ে একাধিক সূত্র থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
সম্প্রতি ঢাকার খিলগাঁও এলাকায় ওএম বাজার, ও টাইমস্ ট্রাভেলস্ এবং টাইমস্ ইন্টারন্যাশনাল লিঃ নামিও কোম্পানির মাধ্যমে বিনিয়োগ কারিদের আমানত লোপাট,শর্ত অনুযায়ী বিনিয়োগের অর্থ ৪০ মাস পূর্ণ হলেও বিনিয়োগ কারিরা তাদের বিনিয়োগের অর্থ মুনাফা সহ ফেরৎ না পাওয়া, গ্রাহক হয়রানি এবং বিনিয়োগ কারিদ্বয়ের আমানত বিদেশে পাচার সহ দেশের বিভিন্ন জেলার হাজার হাজার বিনিয়োগ কারি ও এম বাজার ও টাইমস্ ট্রাভেলস কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে নিঃশ্ব হয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ডেসটিনি, ইভালী, এসএমএন গ্লোবাল লিঃ, টিয়ানসি বাংলাদেশ লিমিটেড কে হার মানিয়ে ওএম বাজার এবং টাইমস্ ট্রাভেলস কোম্পানি লিমিটেড উত্তরবঙ্গেও কুড়িগ্রাম, জয়পুরহাট,রংপুর, দিনাজপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ রাজশাহী সহ ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গাতে অফিস খুলে দির্ঘদিন ধরে সাধারণ বিনিয়োগ কারিদ্বয়কে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে প্রতারনা করে চলেছেন।, ও এম বাজার এমএলএম কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ লুৎফর রহমান রুবেল এবং টাইমস্ ট্রাভেলস্ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মনির হোসেন আজাদি ।
ওএম বাজারের খোলস পাল্টিয়ে টাইমস ট্রাভেলস্ নামিও কোম্পানির বর্তমান ভারপ্রাপ্ত ম্যানেজিং ডিরেক্টর মনির হোসেন আজাদী ঢাকার খিলগাঁও, আরামবাগ এলাকায় আবারো তারা তাদের পুরনো প্রতারণার ফাঁদ পেতে নতুল কৌশলে বিনিয়োগ কারিদের সাথে প্রতারনা করছেন । বর্তমানে লূৎফর রহমান চায়না অবস্থান করছেন। তিনি চায়না থেকেই বিনিয়োগ কারি ঠকাতে ব্যস্থ থাকেন বলে একটি বিস্বস্থ সূত্র থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাদের এই ব্যবসায় বিভিন্ন পদে থেকে বিনিয়োগ কারিদের থেকে আমানত সংগ্রহ করেন।
ও এম বাজার এর পরিচালনা পরিশোদে আছেন এম ডি পদে মোঃ লুৎফর রহমান রুবেল চেয়ারম্যান পদে মোঃ ইউসুফ ফরহাদ ডি এম ডি পদে জনাব ফিরোজ আলম ফিন্যান্স ডিরেক্টর পদে জনাব আবুল কালাম আজাদ প্রশাসনিক দায়িত্বে জনাব আল- আমিন ছিলেন একটি মজার বিষয় হলো ৩ টি ভিন্ন নামিও এমএলএম কোম্পানি হলেও এই তিন প্রতিষ্ঠানের মালিকানা ঘুড়িয়ে ফিড়িয়ে একই ব্যক্তিরা।
মূলত বিনিয়োগ কারিদ্বয়ের সাথে প্রতারণার স্বার্থে তারা বিভিন্ন নামিও প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে। ঠিক আগের কৌশল অবলম্বন কওে এমএলএম কোম্পানির সাইনবোর্ডে ঘুড়িয়ে ফিরিয়ে তাদের সিন্ডিকেটের সদস্যদের নাম যুক্ত করে কোম্পানির শেয়ার বিক্রয়ের পলিসি অবলম্বন করে চলেছেন প্রতিষ্ঠানটি। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদ- পদবির লোভ দেখিয়ে বিনিয়োগ কারিদের টাকার আমানতের অর্থ ৪০ মাসের মধ্য দ্বিগুন আকারে ফেরৎ দেওয়ার কথা বলে, তা তাদের ও এম বাজার এবং টাইমস্ ট্রাভেলস্ লিঃ কোম্পানিতে শতশত বিনিয়োগ কারি গ্রাহকের প্রায় মোট দুই শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। যা ২০০১ সাল থেকে পর্যায় ক্রমে ২০২৪ সাল পর্যন্ত।
ও এম বাজার এমএলএম কোম্পানিটির কার্যক্রম বেশ কিছু দিন ধরে বন্ধ কওে দিয়ে হঠাৎ করে কুড়িগ্রাম থেকে শত বিনিয়োগ কারিদ্বয়ের প্রায় ২ কোটি টাকা ওয়েম বাজার এবং টাইমস্ ট্রাভেলস এমএলএম কোম্পানিটি নিজেদের কব্জায় নিয়ে প্রতিষ্টানটি রাতের আধারে বন্ধ করে দিয়ে, বিনিয়োগ কারিদের আমানতের অর্থ ফেরৎ না দিয়ে রাতারাতি লাপাত্তা হয়ে যায় ওম বাজার নামক এমএলএম প্রতিষ্ঠানটি ।
ও এম বাজার এমএলএম কোম্পানিতে নিজেদের আমানত রাখা বিনিয়োগ কারিরা এই প্রতারক চক্রটির ঢাকা অফিসের সন্ধান পেয়ে তাদের সাথে যোগাযোগ করলে ও এম বাজার এমএলএম কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক লুৎফর রহমান রুবেল,এবং টাইমস্ ট্রাভেলস্ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনির হোসেন আজাদীর শর্নাপূর্ণ হলে তারা গ্রহকদের আমানত এবং বারতি মুনাফার সম্পূর্ণ অর্থ একমাসের ভিতরে বুঝিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও কয়েক মাস ঘুরেও বিনিয়োগ কারিদের অর্থ ফেরৎ পান নাই। বরং বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে বিনিয়োগ কারিদ্বয়েরা হেনস্থার শিকার হয়েছেন।
ও এম বাজার এবং টাইমস্ ট্রাভেলস লিমিটেড কোম্পানির বিষয়ে ভুক্তভোগীদের আমানতের অর্থ কেলেঙ্কারির ব্যাপারে, দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ পত্রিকা পরিবারের নিকট সংবাদ প্রকাশের জন্য কয়েকজন ব্যক্তি তথ্য প্রদান করেন , ওয়েম বাজার ও টাইমস্ ট্রাভেলস কোম্পানির মাধ্যমে বিনিয়োগ কারি প্রতারিত হয়েছেন বলে জানা যায়।
বিনিয়োগ কারিদ্বয়ের লিখিত প্রতিবেদনের সুত্র ধরে দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ পত্রিকার প্রতিবেদক,বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের স্বার্থে কুড়িগ্রাম, রংপুর,দিনাজপুর,ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন জায়গাতে ওম বাজার ও টাইমস্ ট্রাভেলসে বিনিয়োগ কারি শতাধিক ভুক্তভোগীদের সাথে কথা হলে তারা ও এম বাজার এবং টাইমস্ ট্রাভেলস কোম্পানিটির বিষয়ে একশত এর অধিক গ্রাহক অভিযোগ করে বলেন আমরা কুড়িগ্রাম জেলার প্রতিনিধি হিসেবে ও এম বাজার ও টাইমস্ ট্রেভেলস্ এমএলএম লিমিটেড কোম্পানিটির মার্কেটিং প্লানে উদ্বুদ্ধ হইয়া হাফিজুর রহমান (ডি জিএম) ডিপুটি জেলারেল ম্যানেজার ও জনাব মমিনুল ইসলাম ( জি এম) জেনারেল ম্যানেজার এদের পরামর্শে ওয়েম বাজার ও টাইমস্ ট্রাভেলস্ নামক কোম্পানিতে ভাউচার এবং টাইমস্ ট্রেভেলস্ এর মাসিক ও বাৎসরিক মুনাফার জন্য নিজেরা বিনিয়োগ করি ও অনেক মানুষকে বিনিয়োগ করিয়েছিলাম।
ও এম বাজার, এবং টাইমস্ ট্রাভেলস্ এমএলএম কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সহ উচ্চ পদস্থ সকলের কথা ছিল কোম্পানীতে যে পরিমাণ টাকা রাখা হবে, তাহার (৪০ মাসের মধ্যে) দ্বিগুন আকারে প্রতি মাসে মাসে আমাদেরকে ফেরত দিবেন। এজন্য হাফিজুর রহমান ও জনাব মমিনুল ইসলাম আমাদের কুড়িগ্রামে বারংবার গিয়েছে এবং তিনি বিভিন্ন প্রগ্যামে থেকে বিভিন্ন ভাবে উৎসাহিত করে আনুমানিক ১ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করিয়েছেন। উল্লেখিত ব্যক্তিদ্বয় তাদের কোম্পানিতবা পদ- পদবী অর্জনের জন্য আমাদেরকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে ২০২১ সাল থেকে ২০২৪ সাল অর্থাৎ আজ পর্যন্ত তাদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আমাদেরকে কোন প্রকার ওম বাজার এর মাসিক ও টাইমস্ ট্রাভেলস্ কোম্পানির বাৎসরিক মুনাফা কোনটাই দেয়নি এখন পর্যন্ত এ মাস ও মাসে দেব- দিচ্ছি বলে নানা রকমের তালবাহানা করে আসতেছে। এ পর্যন্ত ওয়েম বাজার এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ লুৎফর রহমান রুবেল এবং টাইমস্ ট্রাভেলস্ কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মনির হোসেন আজাদি বার বার কথা দিয়েও কথা রাখেনি।
ও এম বাজার ও টাইমস্ ট্রাভেলস্ কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে প্রতারিত হওয়া ভুক্তভোগীদের দেওয়া তথ্য মতে বিনিয়োগকারিদ্বয়েরা ওম বাজার এবং টাইমস্ ট্রেভেলস্ কোম্পানি থেকে পাওয়া অর্থ জমা রসিদের ডকুমেন্টস অনুযায়ী কয়েকজন প্রতারনার শিকার হওয়া ব্যক্তিদ্বয়ের নাম সহ বিনিয়োগের পরিমান দেওয়া হলো, ও এম বাজার ও টাইমস্? ট্রাভেলসৃ কোম্পানিতে অধ্যাপক নজরুল ইসলাম জমা করেছিলেন ৪০ (চল্লিশ) লাখ টাকা, বাবুল হোসেন ৭৫ (পচাত্তর) লাখ টাকা,এ্যাডভেকেট আশরাফুল ইসলাম ৫ (পাঁচ) লাখ টাকা, অ্যাড. আলী ১ (এক) লাখ টাকা, অ্যাড, শহিদুল ইসলাম ১ (এক) লাখ টাকা অ্যাড. সাজ্জাদ হোসেন ১ (এক) লাখ টাকা, মো: রোমান শেখ ২ (দুই) লাখ টাকা,আব্দুল ওহাব প্রধান ১০ (দশ) লাখ টাকা,খলিলুর রহমান ১ (এক) লাখ টাকা,ফারুখ হোসেন ৫ (পাঁচ) লাখ টাকা,আব্দুস ছামাদ ৩ (তিন) লাখ টাকা, গোলাম মর্তুজা ৫ (পাঁচ) লাখ টাকা মাহফুজ আহমেদ ২ (দুই) লাখ টাকা, রায়হান মাহমুদ ছিদ্দিক ৫ (পাঁচ) লাখ টাকা, মোস্তফা বজলুল রাব্বি ৫ (পাঁচ) লাখ টাকা, জনাব নজরুল ইসলাম ১৪ (চৌদ্দ) লাখ টাকা এবং কাজী নুরুজ্জামান ১০ লাখ টাকা। আমরা এবং আমাদের লোকজন গত তিন বছর যাবৎ ওএম বাজার ও টাইমস্ ট্রাভেলস্ নামক এমএলএম কোম্পানির পরিচালকের মিথ্যা আশ্বাসে পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করতেছি।
আপনারা সাংবাদিকরা হলেন জাতির বিবেক, বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের স্বার্থে সব সময় সত্যর পক্ষে কলম ধরেন আপনারা, আমরা ওম বাজার ও টাইমস্ ট্রেভেলস্ কোম্পানির খপ্পরে পরে একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেছি আমরা।
আপনারা যদি গণমাধ্যমে আমাদের প্রতারিত হবার বিষয়টি লেখনি এবং ফুটেজের মাধ্যমে গণমাধ্যমে তুলে ধরেন, তা হলে বাংলাদেশ সরকারের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের দৃষ্টি গোচর হবে।তাতে করে আমাদের সকল বিনিয়োগ কারিদ্বয়ের বিনিয়োগের টাকা ফেরৎ পাওয়া অতি সহজ হয়ে পড়বে বলে আমরা আশা করি।
এ বিষয়ে ও এম বাজার,ও টাইমস্ ট্রাভেলস, এবং টাইমস্ ইন্টান্যাশনাল লিঃ এমএলএম কোম্পানির ব্যবস্তাপনা পরিচালক সহ কোম্পানি গুলোতে কর্মরত কয়েকজনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
তবে উল্লেখ্য যে ও এম বাজার নামক প্রতিষ্ঠানটি ২০১২ সালে প্রথম মগবাজার গুলফেসা প্লাজার ৯ম ও ১০ তলা ভাড়া নিয়ে অফিসের কার্যক্রম শুর করে ।
বর্তমানে ও এম বাজারের নামকে মুছে ফেলার জন্য টাইমস ট্রোভেল সহ প্রত্যেক পরিচালক সকলেই স্বতন্ত্র ভাবে নিজ নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন আরো উল্লেখ্য যে এম ডি লুৎফর রহমান বিনিয়োগ কারিদের টাকার সিংহ ভাগ নিয়ে সুদুর চিন দেশে চলে যানএবং সেখানে স্বতন্ত্র ব্যবসা পরিচালনা করে যাচ্ছেন এবং বাংলাদেশের সকল নতুন নামিয় প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্ব তিনি দিয়ে যাচ্ছেন ।