ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে ভেজাল খেজুরের গুড়ে সয়লাব হয়ে গেছে হাট-বাজারগুলো

Uncategorized অর্থনীতি ইতিহাস ঐতিহ্য গ্রাম বাংলার খবর জাতীয় বানিজ্য বিশেষ প্রতিবেদন সারাদেশ

ফরিদপুর প্রতিনিধি  : ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে ভেজাল খেজুরের গুড়ে সয়লাব হয়ে গেছে হাট-বাজারগুলো। ফলে এসব ভেজাল গুড় কিনে প্রতারিত হচ্ছেন গ্রাহকরা। চিনি ও কৃত্রিম রঙ মিশিয়ে তৈরি করা এ ভেজাল গুড় খেয়ে নানা সমস্যায় ভুগছেন ক্রেতারা।


বিজ্ঞাপন

স্থানীয় প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় বাজার গুলোতে সয়লাব হয়ে গেছে ভেজাল গুড়ে। চরভদ্রাসনে খেজুরের গুড়কে পুঁজি করে নকল গুড় দেদারসে বিক্রি করা হচ্ছে। অনেকেই অনলাইনে আসল গুড়ের কথা বলে নকল গুড় বিক্রি করছে।


বিজ্ঞাপন

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক গুড় ব্যবসায়ী জানান, ভারতীয় অপরিশোধিত চিনি ও ঝোলা গুড়ের সাথে ভেজষ নির্যাস, ক্ষতিকার রঙ, চুন, আটা ও রাসায়নিক কেমিক্যাল মিশিয়ে তারা এসব গুড় তৈরী করে থাকেন।

আজাদ হোসেন নামের এক গাছি বলেন, আগে ফরিদপুরের নাম শুনলেই ক্রেতারা খেজুর গুড়ের জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়তেন। বর্তমানে প্রতারিত হয়ে তারা আগ্রহ হারিয়েছেন। এখন গাছিদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে আসল গুড় কিনতে হয়। ভেজাল গুড়ে ভেষজ নির্যাস মেশানোর কারণে আসলের চেয়ে নকল গুড়ের ঘ্রাণ বেশি হয়। বাজারে আসল ও ভেজাল সব গুড়ের একই দাম। আসল গুড় তৈরি করা কঠিন। এ জন্য রস ও ঝোলা গুড় কেজি হিসেবে স্থানীয়দের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছি।

চরভদ্রাসন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর মেডিকেল অফিসার জানান, কেমিক্যাল মিশ্রিত গুড় খেলে আলসার, ডায়রিয়া, কলেরাসহ পেটের নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। তিনি আরো বলেন, এসব গুড় দিয়ে শিশুদের খাদ্য তৈরি করে খাওয়ালে কিডনি, হৃদযন্ত্র, ব্রেন ও লিভার ক্যান্সারের মতো জটিল রোগে আক্রান্ত হতে পারে।

চরভদ্রাসন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান, যারা নকল গুড় বিক্রি করছেন করছেন তাদের বিরুদ্ধে দ্রুতই অভিযান পরিচালনা করা হবে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *