বিশেষ প্রতিবেদক : .জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনা ঘিরে বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তাদের বিভক্তি আরও চড়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারকে চাপে রাখতে দু’পক্ষই ভাঙছে চাকরিবিধি। হরেক নামে কর্মসূচির মাধ্যমে হুমকি-ধমকির সঙ্গে উস্কে দিচ্ছে বিতর্ক। প্রশাসন ক্যাডারের শক্তিমত্তা প্রদর্শনের সপ্তাহ না যেতেই গতকাল শুক্রবার শোডাউন করলেন বাকি ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তারা।
রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে ‘আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ’– এর ব্যানারে আলোচনা সভার নামে জড়ো হন আট হাজারের বেশি কর্মকর্তা। বক্তৃতায় কর্মকর্তারা প্রশাসন ক্যাডারের ওপর তোপ দাগেন। অভিযোগ করেন, সিভিল সার্ভিসে প্রশাসন ক্যাডার শাসকের ভূমিকায় রয়েছে। তারা বাকি ২৫ ক্যাডারকে শাসনের পাশাপাশি বঞ্চিত করছে। প্রশাসন ক্যাডার বাড়তি সুযোগ-সুবিধা নেওয়ায় বেড়েছে আন্তঃক্যাডার বৈষম্যও। এ পরিস্থিতির অবসান চান ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তারা।
এদিকে সরকারি চাকরি আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়– এমন কর্মসূচি না দিতে কঠোরভাবে সতর্ক করে গত মঙ্গলবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। বিদ্যমান সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা উল্লেখ করে এতে বলা হয়, সরকারি কর্মচারী কোনো বিধান লঙ্ঘন করলে অত্যন্ত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপত্তিকর বক্তব্য পোস্ট দেওয়ায় কয়েক কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্তও করা হয়।
চাকরিবিধির তোয়াক্কা না করে ক্যাডার কর্মকর্তাদের মুখোমুখি অবস্থানের বিষয়ে সাবেক সচিব এ কে এম আবদুল আউয়াল মজুমদার গণমাধ্যম কে বলেন, ‘বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তারা প্রতিবাদ ও আলোচনা সভার নামে যেভাবে শোডাউন দিচ্ছেন, এটা এভাবে করা যায় না। যদিও এগুলো নতুন কিছু নয়।’ তিনি বলেন, ‘সরকারি কর্মকর্তাদের কোনো দাবি থাকলে লিখিতভাবে জানাবে। এভাবে তারা পরস্পরের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়াতে পারেন না। এটা আচরণবিধির পরিপন্থি।’
গত ২৫ ডিসেম্বর রাজধানীর ইস্কাটনে বিয়াম মিলনায়তনে প্রতিবাদ সভার নামে শোডাউন ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধানকে আলটিমেটাম দেন প্রশাসন ক্যাডারের সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তারা।
আগের দিন বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত নিজ নিজ দপ্তরের সামনে ‘কলমবিরতি’ করেন ২৫ ক্যাডারের সমন্বয়ে গঠিত আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের কর্মকর্তারা। কর্মসূচি শেষে পরিষদের সমন্বয়ক মফিজুর রহমান জানিয়েছিলেন, দাবি আদায় না হলে আগামী ৪ জানুয়ারি ঢাকায় সমাবেশ করে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবেন। কিন্তু সরকারের কঠোর অবস্থানের কারণে সমাবেশের পরিবর্তে গতকাল পরিষদ ‘জনবান্ধব সিভিল সার্ভিস বিনির্মাণে করণীয়: প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভা করে।
পরিষদের সমন্বয়ক মফিজুর রহমান গতকাল গণমাধ্যম কে বলেন, ‘জনপ্রশাসন সংস্কারে আমাদের প্রস্তাব-সুপারিশ সমৃদ্ধ ও সবার ঐকমত্যের জন্য আলোচনা সভা করেছি। সম্প্রতি জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এসব নিয়ে যাতে ভুল বোঝাবুঝি না হয়, সে বিষয়ে বলা হয়েছে।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘চাকরিবিধি অনুযায়ী আলোচনা ও প্রতিবাদ সভা করতে বাধা নেই। তবে বিক্ষোভ করা যায় না।’
সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার অন্তর্বর্তী সরকার কঠোর অবস্থান ব্যক্ত করলে পরিষদ ছাড়াও প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা সুর নমনীয় করেন। এরই ধারাবাহিকতায় সমাবেশকে আলোচনা সভায় রূপান্তর করা হয়। যদিও সেখানে বিভিন্ন ক্যাডারের নেতারা দাবি-দাওয়ার বিষয়কে বারবার ‘আন্দোলন’ হিসেবেই উল্লেখ করেন।
১৯৭৯ সালের সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালার ৩০ (এ) ধারায় বলা হয়েছে, ‘সরকার বা কর্তৃপক্ষের কোনো আদেশ বা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কোনোরূপ অসন্তোষ বা ক্ষোভ প্রকাশ বা আন্দোলনে কোনো সরকারি কর্মচারী অংশগ্রহণ করবেন না।’
প্রশাসন ক্যাডারের ২৫ ডিসেম্বরের প্রতিবাদ সভায় ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধানের পদত্যাগ দাবি করা হয় এবং তা নাহলে কঠোর কর্মসূচির হুমকি দেওয়া হয়। পরে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে স্পষ্টীকরণ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলা হয়, ৪ জানুয়ারি সমাবেশ করার কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই।
সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালার সি উপধারায় বলা হয়েছে, সরকার বা কর্তৃপক্ষের কোনো আদেশ বা সিদ্ধান্ত বদলের জন্য চাপ দিতে পারবেন না কর্মচারীরা। ২০১৮ সালের সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালার ২(ই) ধারায় এমন আচরণকে অসদাচরণ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। কেউ তা করলে সরকার তিরস্কার থেকে শুরু করে চাকরি থেকে বরখাস্তের মতো শাস্তি দিতে পারবে।
গতকাল আলোচনা সভার নামে হাজার হাজার কর্মকর্তা জমায়েত হয়ে চাকরিবিধি লঙ্ঘন করেছেন বলে মত দিয়েছেন জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞরা। সভায় বক্তারা বলেছেন, বিরাজমান প্রশাসনিক অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কারণে ২৫ ক্যাডারের অনেকগুলো শীর্ষ পদে সংশ্লিষ্ট ক্যাডারের কর্মকর্তাদের পদায়ন নেই। জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন আন্তঃক্যাডার বৈষম্য দূর করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে সুপারিশ পেশ করবে বলে প্রত্যাশা।
তারা বলেন, উপসচিব পদে পদোন্নতিতে প্রশাসন ক্যাডারের কোটা থাকায় ‘অদক্ষ’ ও ‘অপেশাদাররা’ মন্ত্রণালয়ে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। এখনকার কোটা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বাতিল করে পরীক্ষা নিয়ে মেধার ভিত্তিতে উপসচিব পদে পদোন্নতি দেওয়ার দাবি সংগঠনটির।
সভায় স্বাস্থ্য ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক ডা. মোহাম্মদ নেয়ামুল হাসান বলেন, ‘স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ক্যাডারকে ক্যাডারবহির্ভূত করার যে প্রস্তাবনা উঠছে, তা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য এবং অগণতান্ত্রিক চিন্তাভাবনা।’
পরিসংখ্যান ক্যাডারের কর্মকর্তা আবুল কাশেম বলেন, ‘জুলুমকারীর বিরুদ্ধে, অত্যাচারীর বিরুদ্ধে মজলুমের ঘাম, রক্ত, শ্রম ও সময় কোনো দিনই বৃথা যায় না। ইতিহাস তাই বলে। আমরা সেই ইতিহাসের দিকে তাকিয়ে আমাদের পরবর্তী কর্মপন্থা নিরূপণ করব।’ তিনি বলেন, সিভিল সার্ভিসের মধ্যে একটি ক্যাডার শাসকের ভূমিকায় রয়েছে। সমতায়, মর্যাদায়, সম্মানে; সব জায়গায় তারা ২৫ ক্যাডারকে বঞ্চিত করেছে। বিপ্লবের পর সেই একটি ক্যাডারের লোকদের প্রশাসক হিসেবে জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্বে বসানো হয়েছে। বিপ্লবের পর সংস্কারের দায়িত্বও সেই একটি ক্যাডারকে দেওয়া হয়েছে। যারা বৈষম্য তৈরি করল, তাদের দিয়েই বৈষম্য নিরসনের দায়িত্ব দেওয়ার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আবুল কাশেম।
কর ক্যাডারের কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন অতিরিক্ত কর কমিশনার মহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমাদের এ আন্দোলন বৈষম্যের বিরুদ্ধে।’ অনুষ্ঠান শেষে কয়েক কর্মকর্তা তাঁর কাছে এগিয়ে গিয়ে অভিবাদন জানিয়ে বলেন, ‘আপনি সবাইকে চাঙ্গা করার মতো বক্তব্য দিয়েছেন।’
সড়ক ও জনপথ ক্যাডারের কর্মকর্তা প্রকৌশলী শাহে আরেফিন যুক্তি তুলে ধরেন। হাইকোর্ট ২০১৫ সালে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর পদকে গ্রেড-৩ এবং অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর পদটিকে গ্রেড-২তে উন্নীত করার আদেশ দিয়েছেন। কিন্তু আদালতের রায় বাস্তবায়ন করেনি মন্ত্রণালয়। এমন সব অবর্ণনীয় বৈষম্য নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে আমাদের।
সমবায় ক্যাডারের কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিন বলেন, প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা একেকটি মন্ত্রণালয়ে এসে নিজেরা বিদেশে ট্রেনিংয়ের সুবিধা নেন। অথচ তারা একটি মন্ত্রণালয়ে দুই বছরের বেশি থাকেন না। তাহলে ওই সব ট্রেনিং জনসেবার ক্ষেত্রে কী কাজে আসে?
বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, ক্যাডার সার্ভিস আছে বলে মেধাবীরা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্যাডারে যোগ দেওয়ার আগ্রহ পান। তাই এই দুই ক্যাডারকে বিলুপ্ত করলে ভালো শিক্ষার্থীরা নিরুৎসাহিত হবেন।
গণপূর্ত অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জামিলুর রহমান বলেন, একজন সিনিয়র শিক্ষক মন্ত্রণালয়ে গেলে যুগ্ম সচিবদের যে আচরণের শিকার হন, তা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন।
রেল ক্যাডারের কর্মকর্তা এফ এম মহিউদ্দিন বলেন, নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্তে পেশাজীবীদের অংশগ্রহণ নেই বললেই চলে। এটা দেশের উন্নয়নে অন্যতম অন্তরায়। আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন বিসিএস কৃষি ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক সাহিনুল ইসলাম, বিসিএস পোস্টাল অ্যাসোসিয়েশনের কোষাধ্যক্ষ আবদুল হামিদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পরিষদের সমন্বয়ক ফারহানা আক্তার ও মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন।
শোডাউন নিয়ে আয়োজকদের যুক্তি : ২৫ ক্যাডারের ৫৩ হাজার কর্মকর্তার মধ্যে আট হাজারের বেশি গতকাল সভায় আসেন। এত বড় জমায়েত সরকারি আচরণবিধির লঙ্ঘন কিনা– প্রশ্নে পরিষদের সমন্বয়ক মফিজুর রহমান বলেন, ‘কাউকে আমরা ডেকে আনিনি। তারা (প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা) তুচ্ছ কারণে অনেকগুলো শোকজ দিয়ে লোকজনকে উস্কে দিয়েছে। কেউ যদি আপনার জায়গাটা দখল করে, তাহলে ক্ষোভ থাকা স্বাভাবিক। শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যকে বের করে দেওয়ার কথা বলা হলো। এই দুটি ক্যাডারের সদস্যরা অস্তিত্বের সংকট অনুভব করে চলে এসেছেন। এটি শোডাউন নয়।’ তিনি বলেন, ‘আমরা সরকারকে সহযোগিতা করতে চাই। হ্যাঁ, কথা বলার সময় অনেকে অনেকভাবে বলেন। আমরা সবার পরামর্শের ভিত্তিতে একটি সুপারিশ প্রধান উপদেষ্টাসহ অন্যান্য উপদেষ্টার কাছে জমা দেব। দুঃখজনক হলেও সত্য, প্রশাসন ক্যাডারের সঙ্গে বিভিন্নভাবে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন বসলেও আমাদের ডাকছে না।’ সভা আয়োজন কমিটির আহ্বায়ক কৃষিবিদ আরিফ হোসেন বলেন, ‘আলোচনা সভায় ৪ হাজার ৭০০ কর্মকর্তা রেজিস্ট্রেশন করেন। এর বাইরেও অনেকে উপস্থিত হয়েছিলেন।’
২৫ ক্যাডার কর্মকর্তাদের প্রতি চার দফা : আলোচনা সভায় ২৫ ক্যাডারের সহকর্মীদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে পরিষদের সমন্বয়ক আরিফ হোসেন বলেন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনে চূড়ান্ত সুপারিশ প্রস্তাব প্রদানের আগে কোনো ধরনের বিরূপ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করবেন না। রাষ্ট্র ও সরকারের বিরুদ্ধে যেন কোনো গোষ্ঠী বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে, সে জন্য পরিষদের সদস্যরা সতর্ক থাকবেন। কিছু গোষ্ঠী পরিষদের সদস্যদের উস্কে দিয়ে স্বার্থসিদ্ধি করতে চাচ্ছে, এ বিষয়ে সহনশীল থেকে এবং কোনো ধরনের প্ররোচনায় না গিয়ে ধৈর্যের সঙ্গে মোকাবিলা করতে হবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে সতর্কতা এবং কাউকে আঘাত বা হেয় করে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
নতুন কর্মসূচি : সরকারের পক্ষ থেকে অনুরোধ থাকায় আপাতত বৃহৎ কর্মসূচি থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্তের কথা সভায় জানানো হয়। বলা হয়, আগামী এক মাস ভবিষ্যৎ সিভিল সার্ভিসের রূপরেখা বিষয়ে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন দপ্তর ও প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-জনতার সঙ্গে মতবিনিময় করা হবে। জনবান্ধব রাষ্ট্র গঠনে সিভিল সার্ভিস সংস্কারের জন্য সেমিনার-সিম্পোজিয়ামের মাধ্যমে মতামত গ্রহণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের চূড়ান্ত সুপারিশে ২৫ ক্যাডারের মতামতের প্রতিফলন দেখতে চাইলে সবাইকে ধৈর্য ধারণ করতে হবে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যকে সিভিল সার্ভিস ক্যাডারবহির্ভূতকরণের চিন্তা থেকে বিরত থাকতে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনকে আহ্বান জানান নেতারা।
রাষ্ট্রের দায়িত্বভার হাতে থাকায় সেটির অপব্যবহার করে সামান্য অপরাধে ঢালাওভাবে সাময়িক বরখাস্ত শুরু হয়েছে। এ বিষয়ে উপদেষ্টাদের সঙ্গে দেখা করে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করা হবে। তবে এ ধারা অব্যাহত থাকলে চাকরিবিধি মেনে বড় কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়ার কথাও জানান পরিষদের নেতারা।