নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট ও United Nations Development Programme (UNDP), Bangladesh এর যৌথ উদ্যোগে আজ সোমবার ২০ জানুয়ারি, বিকাল ৪ টায় হোটেল রেডিসন ব্লু, চট্টগ্রাম-এ “Judicial Independence and Efficiency in Bangladesh” শীর্ষক একটি রিজিওনাল সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে, এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট এর আপীল বিভাগের গণসংযোগ কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল ইসলাম।
বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণসহ বিচারসেবা প্রদানে দক্ষতা বৃদ্ধিতে করণীয় সম্পর্কে আয়োজিত এই সেমিনারে প্রধান অতিথির পদ অলংকৃত করেন বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
উক্ত সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, UNDP, Bangladesh এর Resident Representative, স্টিফান লিলার (Stefan Liller)। বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন।
উক্ত সেমিনারে চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালত, মহানগর দায়রা জজ আদালত, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, শ্রম আদালত, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজে কর্মরত বিভিন্ন পর্যায়ের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাগণসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন ট্রাইব্যুনালের বিচারকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের পরামর্শক্রমে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের প্রশিক্ষণ শাখা হতে বিগত ১৬ জানুয়ারি, চট্টগ্রামে কর্মকরত ৫৭ (সাতান্ন) জন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে উক্ত সেমিনারে অংশগ্রহণের জন্য মনোনীত করে এ সংক্রান্ত সরকারি আদেশ জারি হয়।
এছাড়াও সেমিনারে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, সরকারি কৌশুলি, পাবলিক প্রসিকিউটরসহ অন্যান্য আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
উক্ত সেমিনারে প্রধান বিচারপতি প্রধান অতিথি হিসেবে প্রদত্ত তাঁর বক্তব্যে বলেন, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিচার বিভাগ সংস্কারের রোডম্যাপ ঘোষণার পর বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণে ইতোমধ্যে জুডিসিয়াল অ্যাপোয়েন্টমেন্ট কাউন্সিল গঠনের মাধ্যমে উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগের জন্য তৈরিকৃত খসড়া অধ্যাদেশ উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদিত হয়েছে এবং সুপ্রীম কোর্ট সচিবালয় স্থাপনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, অধস্তন আদালতের বিচারকগণের বদলি ও পদোন্নতিতে প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রণয়নসহ বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাগণের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রধান বিচারপতি ফেলোশিপ চালু করার বিষয়ে সুপ্রীম কোর্ট কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন, বিচার বিভাগ ডিজিটালাইজেশনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের কোম্পানি বেঞ্চে কাগজমুক্ত (paper free) কার্যক্রম পরিচালনা ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, স্বচ্ছ ও সহজলভ্য বিচার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তাঁর ঘোষিত রোডম্যাপের বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের বিচার বিভাগ ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এদেশে মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের যাত্রা আরও সুসংহত করবে।