নিজস্ব প্রতিনিধি (বরিশাল) : বরিশালে পানিউন্নায়ন বোর্ডে(বাপাউবো,ল করে বসতি করার অভিযোগ উঠছে এক হিন্দু পরিবারে বিরুদ্ধে।বরিশাল কাউনিয়া বিসিক সংলগ্ন ২নং ওয়ার্ডের ও বরিশাল লাকুটিয়া সড়কের পূর্ব পাশে পানি উন্নায়ন বোর্ডের জায়গায় দখল করে পাকা স্থাপনা তৈরী করতেছেন পলাশ নামে বরিশাল কলেজের এক কর্মচারী। কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সরকারি জমি দখল করছেন তিনি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা সরেজমিনে এসে কাজ করতে লিখিত ভাবে নিষেধ করলেও তা উপেক্ষা করে ঘর নির্মান কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।বলে নিশ্চিত করেছেন বরিশাল পানি উন্নায়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী, বাবুগঞ্জ বিআইপি সদর শাখা মোঃফারুক সিকদার। এ সময় তার সাথে থাকা অন্যান্য কর্মচারীদের পলাশ বাহিনী নাজেয়াল করে। তাই ফারুক সিকদার তার অফিস স্টাফদের নিয়ে কাজ বন্ধ না করেই ওই স্থান ত্যাগ করতে বাধ্য হন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় বরিশাল লাকুটিয়া সড়কের পূর্ব পাশের পানি উন্নায়ন বোর্ডের জমি দখল করে পাকা স্থাপনা করতেছে।সেখানে থাকা স্থানীয়রা জানান পলাশ সরকারী জমি দখল করে সম্পূর্ন অবৈধভাবে ঘর করতেছে।তবে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে তার সাথে থাকা লোকজনের রোষানলে পরতে হয়ে মিডিয়া কর্মীদের।তার কাছে জানতে চাইলে পলাশ জানান আমি একা না এখানের সবাই সরকারী জমি দখল করে ঘর করতেছে শুধু আমারটা না, উচ্ছেদ করলে সবারটা করেতে হবে।
ঘর করার জন্য সিটি কর্পোরেশনের কোন অনুমতি আছে কি না জানতে চাইলে পলাশ বলেন আমার ঘর করতে কোন অনুমতি নেওয়া লাগে না। কারো ক্ষমতা থাকলে আমার কাজ বন্ধ করুক।
উপ-সহকারী প্রকৌশলী, বাবুগঞ্জ বিআইপি সদর শাখা কর্মকর্তা মোঃফারুক সিকদার বলেন আমি নিজে গিয়ে তাদের কাজ না করতে নিষেধ করেছি। তারা যেহুতু আমাদের নির্দেশ শোনে না তাদের বিরুদ্ধে আমি আমার উর্ধতন কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।আমরা জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব।
পানি উন্নায়ন বোর্ডের জমি দখল করে স্থাপনা তৈরীর বিষয়ে জানতে চাইলে বরিশাল পানি উন্নায়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ জাবেদ ইকবাল জানান আমি অবগত হওয়ার পরে সেখানে নোটির সহকারে লোক পাঠালে তারা নোটিশ না রেখে জোর করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।আমরা থানা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি তারা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।এবং তিনি বলেন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অবৈধভাবে স্থাপনা অপসারণ করা হবে।
পানি উন্নায়ন বোর্ডের জমি দখল করে স্থাপনা তৈরীর বিষয়ে জানতে চাইলে বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মোঃ ইকবাল হাসানের সাথে মূঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।