এল.কে.এস.এস. এর ম্যানেজার নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ

Uncategorized অনিয়ম-দুর্নীতি অপরাধ আইন ও আদালত জাতীয় ঢাকা বিশেষ প্রতিবেদন রাজধানী

নিজস্ব প্রতিবেদক  :  স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এর অবসরপ্রাপ্ত উপজেলা প্রকৌশলী ও বর্তমানে এলজিইডি কল্যাণ সমবায় সমিতি লি: (এল.কে.এস.এস.) এর হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজার মো: নুরুল ইসলাম দুর্নীতির মাধ্যমে ঢাকায় একাধিক বিলাসবহুল ফ্লাট ও রংপুরে বহুতল বাড়ি,একাধিক প্রাইভেট কার ক্রয় করেছেন। ঢাকায় রিয়েল এস্টেট ব্যবসা, রংপুর শহরে মার্কেট, কৃষি খামার, পোল্ট্রি ফার্ম,রড সিমেন্টের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ প্রচুর স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ রয়েছে। বিভিন্ন ব্যাংকে তার নিজ ও পরিবারের সদস্যদের নামে রয়েছে কোটি টাকার এফডিআর।


বিজ্ঞাপন

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলজিইডি কল্যাণ সমবায় সমিতি লি: (এল.কে.এস.এস.) এর ব্যবস্থাপনা কমিটির একজন সদস্য বলেন, ম্যানেজার মো: নুরুল ইসলাম এলজিইডি’র চাকরি কালিন সময়ে অনেক অনিয়ম দুর্নীতির সাথে জড়িত ছিলেন।


বিজ্ঞাপন

এলজিইডি’র সদ্য সাবেক প্রধান প্রকৌশলী আলী আখতারের সাথে ঘনিষ্ঠতা থাকার সুবাদে ম্যানেজারের পদ বাগিয়ে নেয়। আরডিসি ভবনের একটি কক্ষ অবৈধভাবে দখলে নিয়ে ব্যক্তিগত ব্যবসা পরিচালনা করছেন। কর্তৃপক্ষ তাকে কক্ষটি ছেড়ে দেয়ার জন্যে বার বার অনুরোধ করলেও তিনি রুম ছাড়ছেন না। তার সকল অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে বর্তমান প্রধান প্রকৌশলীকে জানানো হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।


বিজ্ঞাপন

তিনি আরো বলেন ,এল.কে.এস.এস. এর হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজারের চাকরি নেয়ার সময় প্রতিষ্ঠানের ডেকোরাম ভঙ্গ করে প্রধান প্রকৌশলী আলী আখতারের প্রভাবে তার সরকারি চাকরির গ্রেডের চেয়ে বেশি বেতনে নিয়োগ লাভ করেন। আবার চাকরিতে যোগদানের তিন মাসের মাথায় রেওয়াজ ভঙ্গ করে একসাথে ৩০ হাজার টাকা বেতন বাড়িয়ে দেন প্রধান প্রকৌশলী আলী আখতার।

অন্যদিকে সাবেক প্রধান প্রকৌশলী আলী আখতারের ঘনিষ্ঠ পরিচয় ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রকল্পের পিডি’দের ওপর প্রভাব বিস্তার করে নানা অনৈতিক সুবিধা আদায় করেছেন।এমনকি এল.কে.এস.এস.-এর ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদেরও তিনি তোয়াক্কা করতেন না।

আলী আখতার অবসরে গেলেও তিনি পূর্বের মত দাপটের সাথে অনৈতিক কাজ করে যাচ্ছেন। ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের আপত্তিও আমলে নিচ্ছেন না। তিনি দিনের বেলা অফিস টাইমে এলকেএসএস-এ অফিস করতেন না।

এখনো করেন না। সারা দিন প্রকল্প পরিচালকদের কক্ষে ঘুরাঘুরি করেন। পরোক্ষভাবে নিজে এলজিইডি’র ঠিকাদারী করেন। প্রকল্পের বিভিন্ন ঠিকাদারী কাজ তদবির করে পছন্দের ঠিকাদারদের পাইয়ে দিয়ে কমিশন বাণিজ্য করছেন। টাকার বিনিময়ে আউটসোর্সিং জনবল নিয়োগ দিয়েছেন।

দরপত্র ছাড়া কেনাকাটা করে কয়েক লাখ টাকা আত্মসাত করছেন। আলী আখতারের আশির্বাদে বদলি,পদোন্নতি ও ঠিকাদারী কমিশন বাণিজ্য করে বিগত সময়ে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। আলী আখতারের অবসরের পরও তার দৌরাত্ম অব্যাহত রয়েছে বলে ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রভাবশালী এই সদস্য দাবি করেন।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *