নিজস্ব প্রতিবেদক : স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবীর নানক ও সাবেক সংসদ সদস্য ফাহমি গোলোন্দাজ বাবেল যখন পলাতক তখন তাদের ডোনার ও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর হারুন রানা রাজকীয় হালে বহাল তবিয়তে আছেন। এতে মোহাম্মদপুর,আদাবর ও পাগলা থানার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সচেতন মহল।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাগলা থানার স্থানীয় একজন বিএনপি নেতা বলেন, হারুনুর রশিদ রানা জাহাঙ্গীর কবির নানক ও ফাহমি গোলোন্দাজ বাবেলের একজন নিয়মিত ডোনার ছিলেন। তাদের ছত্রছায়ায় তিনি দখলবাজি করেছেন। অথচ পুলিশ তাকে এখনো গ্রেপ্তার করছে না। ধূর্ত হারুন রানা পুলিশ ম্যানেজ করার পাশাপাশি কতিপয় বিএনপির নেতার আশির্বাদ পাওয়ার চেষ্টা করছেন বলে এই বিএনপি নেতা দাবি করেন।

এখনো জাহাঙ্গীর কবির নানক ও ফাহমি গোলোন্দাজ বাবেলের সাথে হারুন রানার যোগাযোগ আছে এবং দেশে আওয়ামী লীগের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির কার্যক্রমের সাথেও তার সম্পৃক্ততা থাকতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের দোসর এবং সাবেক এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক ও ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁওয়ের সংসদ সদস্য ফাহমি গোলোন্দাজ বাবেলের ঘনিষ্ঠ সহোচর এবং ঢাকা ওয়াসার রাজস্ব পরিদর্শক হারুনুর রশিদ রানাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন সচেতন নাগরিক সমাজ।
সম্প্রতি ঢাকার মোহাম্মদপুর, কাওরান বাজার ও পাগলা থানায় সচেতন নাগরিক সমাজ এর ব্যানারে হারুনুর রশিদ রানাকে গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে পোস্টারিং হয়েছে। তার এলাকাবাসীর পক্ষে মন্ত্রণালয়, দুর্নীতি দমন কমিশন ও ওয়াসা কর্তৃপক্ষের নিকট আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আবেদন করা হয়েছে।
জানাগেছে, সরকারি চাকরি বিধি ভঙ্গ করে তিনি মোহাম্মদপুর ও পাগলা থানা আওয়ামী লীগের কমিটিতে ছিলেন। তিনি জাহাঙ্গীর কবির নানক ও ফাহমি গোলোন্দাজ বাবেলের ডোনার ছিলেন। তাদের ছত্রছায়ায় ঢাকা, ময়মনসিংহে অবৈধভাবে মানুষের বাড়ি, জায়গা জমি দখল করেছেন।
গত ৫ আগষ্টে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলন সংগ্রামের ফলে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ভোল পাল্টে নিজের অবৈধ সম্পদ রক্ষার চেষ্টা করছেন। স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের পতনের পর যখন জাহাঙ্গীর কবির নানক ও ফাহমি গোলোন্দাজ বাবেল পলাতক তখন রহস্যজনক কারণে বহাল তবিয়তে আছেন হারুনুর রশিদ রানা।
হারুনুর রশিদ রানার দলবাজি, দখলদারিত্ব, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে অর্থায়ন, অবৈধ সম্পদ ও ঢাকা ওয়াসায় তার অনিয়ম দুর্নীতির ফিরিস্তি থাকবে বিশেষ প্রতিবেদনে।