জনগণের মেন্ডেট ছাড়া কোন ভাবেই রাখাইনে করিডোর দেয়া যাবে না——-বিএসপি কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সিদ্ধান্ত

Uncategorized চট্টগ্রাম জাতীয় বিশেষ প্রতিবেদন রাজনীতি সংগঠন সংবাদ সারাদেশ

নিজস্ব প্রতিনিধি (চট্টগ্রাম)  :  বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি -বিএসপি কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। আজ ৩ মে শনিবার, সকাল দশটায় ঢাকা মিরপুর ১ নাম্বার স্বাধীন বাংলা সুপার মার্কেটের তৃতীয় তলার সিটি মহল সাইনিজ রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএসপি চেয়ারম্যান ড.শাহজাদা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী।


বিজ্ঞাপন

সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক তিনি বলেন, বাংলাদেশকে আমরা ফিলিস্তিনে গাঁজা ও ইউক্রেন হিসেবে দেখতে চাই না। রাখাইনে মানবিক করিডরের বিষয়ে জনগণের ম্যান্ডেড প্রাপ্ত ব্যক্তিরাই সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার রাখে। সংসদেই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে হবে। নির্বাচিত প্রতিনিধি ছাড়া এই বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত জনগণ মেনে নেবে না। বিএসপি দেশ এবং জাতির কল্যাণে রাজনীতি করে। দেশের সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়ে এই ধরনের সিদ্ধান্ত থেকে সবাইকে বিরত থাকতে হবে।


বিজ্ঞাপন

নারী সংস্কার কমিশনের বিষয়ে তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন কোরআন হাদিসের সাথে সাংঘর্ষিক যেকোনো আইনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি জনগণকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।


বিজ্ঞাপন

বিএসবি চেয়ারম্যান বলেন, ২৬ এপ্রিল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতকে বিশ্বব্যাপী মুসলিম নির্যাতনের প্রতিবাদে মহাসমাবেশে বাধা দেয়া হয়েছে। সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয় । অথচ আজকে সম্পূর্ণ বিনা বাধায় ও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় যারা স্বৈরাচারের দোসর হিসেবে চিহ্নিত, যারা শেখ হাসিনাকে কাওমী জননী উপাধি দিয়ে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করেছে। তাদেরকে সমাবেশ করার অনুমতি দেয়া হয়েছে। এই বৈষম্য ও দ্বিচারিতার তীব্র প্রতিবাদ করছে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি।

তিনি আরো বলেন, ২৬ শে এপ্রিল আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের মহাসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে কাজ করায় খতিব মাওলানা রইস উদ্দিনকে হত্যা করা হয়েছে। সারা বাংলাদেশে প্রতিবাদের জড় উঠলেও সরকার এ বিষয়ে সম্পূর্ণ নির্বিকার। রইস উদ্দিন হত্যার মামলা না নিয়ে তাঁর চরিত্র হননের গভীর চক্রান্তে লিপ্ত। এই থেকে বুঝা যায় দেশে আইনের শাসন বলতেই নেই। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত না হলে যেকোনো সময় জনগণের মাঝে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। তখন হয়তো হাসিনার মতো কারোরই পালানোর পথ থাকবে না। তাই মব বন্ধ করে আইন ও সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে। দেশকে গণতন্ত্রের দিকে এগিয়ে নিতে হবে।

সভায় আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর বিএসপির কাউন্সিল করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এই লক্ষ্যে বিভিন্ন বিষয়ে ২১টি উপকমিটি করা হয়।

সভায় বিএসপির অতিরিক্ত মহাসচিব আবুল কালাম আজাদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আশিকুর রহমান হাশেমী, মাওলানা রুহুল আমিন ভুঁইয়া চাঁদপুরী, মোঃ মনির হোসেন, মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আব্দুল আজিজ সরকার, যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ আসলাম হোসাইন, সোহেল সামাদ বাচ্চু, মোহাম্মদ রাশেদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক এএসএম বারী, দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ ইব্রাহিম মিয়া, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড.শাহ আলম অভি, যুব বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান পায়েল, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা: নুরুল আলম আনোয়ার হিরণ, বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ঢালী কামরুজ্জামান হারুন, জোবায়ের আহমেদ মারুফ, মোঃ আক্তার ভূঁইয়া, মোহাম্মদ তাজ উদ্দিন, মোহাম্মদ আবদুর রহিম, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, প্রবাসী কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ সোহেল মিয়া, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা ইসমাইল হোসেন সিরাজী, প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ মাহিদুল ইসলাম মাহি, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন, সহ ছাত্রকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদিকা লিজার আক্তার, সহ শিল্প বিষয়ক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, সহসাংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ আলী আজম, মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা মিরানা জাফরিন চৌধুরী, প্রচার সম্পাদক চৌধুরী মোঃ হোসেন, সহ কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ও সুনামগঞ্জ জেলা সভাপতি মোহাম্মদ ফজলুর রহমান, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ বাদশা, পঞ্চগড় জেলা আহবায়ক সাইদুর রহমান, লক্ষ্মীপুর জেলা আহবায়ক আহসান উল্লাহ মাস্টার, ঝিনাইদহ জেলা সভাপতি মোহাম্মদ আখতার হোসেন, মুন্সিগঞ্জ জেলা সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী আকবরসহ বিভিন্ন জেলা ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের নেতৃবৃন্দ।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *