মাগুরা প্রতিনিধি : মুসলিম বিবাহ রেজি: আইনের বিধান মেনে শরিয়ত মোতাবেক বিবাহিত স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার পরও তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর একটার পর একটা মামলায় দিশাহারা হয়ে পড়েছেন গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশের এএসআই শামীম ইসলাম। তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর মামলায় জামিন নিলেও মামলা তুলে নেওয়ার শর্তে ২৫ লাখ টাকা দাবীর চাপে পড়েছেন তিনি। এখন তার পুলিশের চাকুরী খেয়ে ফেলার হুমকি দিয়েছে এই তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর আত্মীয় স্বজন। এ ঘটনায় আইন আদালত সহ সর্ব মহলের সহযোগিতা চেয়েছেন ভুক্তভোগী এএসআই শামীম ইসলাম। তিনি তার তালাকপ্রাপ্ত লোভী স্ত্রী পিংকী ও তার আত্মীয় স্বজনের বিচারও চেয়েছেন।

অভিযোগ অনুসন্ধানে জানা যায়, গত ৮ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দে এএসআই মোঃ শামীম ইসলামের সাথে পারিবারিকভাবে মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার তখলপুর গ্রামের নায়েব আলী শেখের মেয়ে পিংকী খাতুনের বিবাহ সম্পন্ন হয়। বিয়েতে তিন লক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্য করা হয়।

বিয়ের পর তাদের মনের মিল না হওয়ায় এবং স্বামী স্ত্রীর মধ্যে সন্দেহমূলক কলহের সৃষ্টি হওয়ায় অননুষ্ঠানিক বিচ্ছেদ হয়ে যায়। এবং এএসআ্ই শামীম ইসলাম তাকে মুসলিম নিকাহ রেজি: আইনে গত ২৮/৪/২০২৫ ইং তারিখে তালাক প্রদান করেন। তালাকের কপি বিধি পালনার্থে ওই স্ত্রী পিংকীর পৈত্রিক বাড়ীর ঠিকানায় ডাক বিভাগের মাধ্যমে রেজি: ডাকে পাঠানো হয়।

একই সাথে স্ত্রী পিংকীর নিজেস্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের কাছেও তালাকারে কপি পাঠানো হয়। যে তালাকনামার বয়স ৩ মাস পূর্ণ হয়েছে। অর্থাত স্ত্রী পিংকীর ইদ্দতকালীন সময়ও পার হয়ে গেছে।
এ দিকে এসব তালাকনামার ঘটনা গোপন করে পিংকী এএসআই শামীম ইসলামের নামে মাগুরা জেলা চীফ জুডিশিয়াল আদালতে যৌতুক,নারী নির্যাতন ও খোরপোষ আইনে ৩ টি মামলা দায়ের করেছেন। এই সব মামলায় এএসআই শামীম ইসলাম জামিন প্রাপ্ত হলেও মামলা তুলে নেওয়ার শর্তে তার কাছে ২৫ লাখ টাকা দাবী করা হচ্ছে।
এএসআই শামীম ইসলাম তাদের দাবী মেটাতে ব্যর্থ হওয়ায় স্থানীয় সাংবাদিকদের লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারা তাদের নিউজ পোর্টাল ও পত্রিকায় রঙ মাখানো নিউজ ছাপিয়ে এএসআই শামীমের চাকুরী খেয়ে ফেলার হুমকি দিচ্ছেন। এ বিষয়ে এএসআই শামীম ইসলাম সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।