নিজস্ব প্রতিবেদক : লাশবহনবারী ফ্রিজিং গাড়িতে করে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে দুধ, ডিম,মাছ, মাংশ বিক্রি করায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রুল জারি করেছেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুল নাহার সিদ্দিকীর দ্বৈত বেঞ্চ গত ২৫ মে ২০২৫ তারিখে এই রুল আদেশ দেন। রীট নং ৮৪৬০/২০২৫। আগামী ২৮/০৮/২০২৫ তারিখের মধ্যে আদালতে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। সিনিয়র সাংবাদিক সৈয়দ দেলোয়ার হোসেন জনস্বার্থে এই রীট মামলাটি দায়ের করেন।

আদালতে তিনি অভিযোগ করেছেন যে, একটি সরকারী প্রতিষ্ঠান লাশবাহী গাড়িতে কোন খাদ্যপণ্য বিক্রি করতে পারে না। এটি জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকিদায়ক, দৃষ্টিকটু ও বিব্রতকর। এই কাজটি করে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জনপীড়াদায়ক অপরাধ করেছেন। একই সাথে দায়িত্ব-জ্ঞানহীন কাজ করেছেন।

এ বিষয়ে একাধিক গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হওয়ায় জনমনে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে রাজধানীবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা প্রশ্ন তোলেন যে, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ অন্যান্য দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা কোন যুক্তিতে এমন নেক্কারজনক কাজ করলেন? দায়িত্বজ্ঞানহীন এমন কাজ করার জন্য তারা অবশ্যই শাস্তি পাওয়ার অধিকারী।

শুধু তাই-ই নয়, এই কাজ সমাধা করার জন্য একজন ঠিাকাদারকে রাষ্ট্রিয় কোষাগার থেকে প্রায় ১ কোটি টাকা বিল পরিশোধ করা হয়েছে বলেও দাবী করা হয়। অথচ এই কাজের ফিকাদার নিয়োগে কোন প্রকার টেন্ডার আহবান করে নি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।
এটা আরেকটি বিভাগীয় অপরাধ। বিনা টেন্ডারে ঠিকাদারকে কার্যাদেশ দিয়ে এবং বিল পরিশোধ করে আরেকটি বিভাগীয় অপরাধ করা হয়েছে। সেটিও বিচারের দাবী রাখে বলে জানান টিআইবির একজন কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালককে তার অফিশিয়াল ফোনে কল করলে তার পিএ কল রিসিভ করে বলেন, স্যার এখন বিদেশ ট্যুরে আছেন। আপনি স্যার দেশে এলে কল দিয়েন।
এই রীট মামলায় যে সব সরকারী কর্মকর্তাদের বিবাদী করা হয়েছে তারা হলেন: সচিব, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, ডা: আবু সুফিয়ান-মহাপরিচালক প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব, মহাপরিচালক,স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, মহাপরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তর, ঢাকা জেলা প্রশাসক, ঢাকার সিভিল সার্জন,নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র।