সরকারের মাথা থেকে নীচ পর্যন্ত পচন ধরেছে——- মির্জা আব্বাস

Uncategorized জাতীয় ঢাকা বিশেষ প্রতিবেদন রাজধানী রাজনীতি সংগঠন সংবাদ সারাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক  : অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, সরকারের মাথা থেকে নীচ পর্যন্ত পচন ধরেছে। এভাবে চলতে থাকলে তাহলে আওয়ামী লীগ যা ক্ষতি করেছে তার চেয়ে বেশি ক্ষতি করবে।


বিজ্ঞাপন

বুধবার (২৮মে) নয়াপল্টনে তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশে তিনি একথা বলেন। ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।


বিজ্ঞাপন

মির্জা আব্বাস বলেন, তরুণদের এই আন্দোলন আমাদের দারুণভাবে আন্দোলিত করেছে। এই বয়সে আমরা এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন করে বেগম খালেদা জিয়াকে তিনবারের প্রধানমন্ত্রী করেছিলাম। আপনারাও তারেক রহমানের নেতৃত্বে আবারও দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে পারবেন।


বিজ্ঞাপন

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কড়া সমালোচনা করে আব্বাস বলেন, ‘গণমানুষের আকাঙ্ক্ষিত, আস্থার একটি প্রতীক ছিলো সরকার। কিন্তু নয় মাসের কার্যক্রমে আমরা কিছু পাই নাই। শুধু পেয়েছি অবজ্ঞা। এ দেশের মানুষকে সরকার অবজ্ঞা করছে। এই সরকারের মধ্যে যারা আছে, আমি বলি এই সরকার ঔপনিবেশিক সরকার। এই সরকারের মধ্যে যারা আছে অর্থাৎ ৯০ ভাগই এদেশের নাগরিক নয়।’

তিনি বলেন, আন্দোলন করল ছাত্র-জনতা। আর ওনারা ঘাড়ে চেপে বসেছেন। আমাদের ঘাড়ে চেপে বসেছেন। ওনারা বললেন সংস্কার করে নির্বাচন দেবেন। এই নয় মাসে যা পারেননি, নয় বছরেও পারবেন না, ৯০ বছরেও পারবেন না।’

সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই দেশের জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়ে একটা ব্যবস্থা করেন। কী ব্যবস্থা করবেন সেটা আপনারা ভালো জানেন।’

আব্বাস বলেন, আমি একটা মিটিংয়ে প্রশ্ন করেছিলাম সেন্টমার্টিন, সাজেকে কী হচ্ছে? এটা একটু সরকার আমাদের কাছে স্পষ্ট করুক। আজও সরকার স্পষ্ট করেনি। আজকে করিডর নিয়ে কথা হচ্ছে। করিডরে লাভ কী, লস কী সেটা দেখার দরকার নেই। আমরা যেমন ছিলাম তেমন থাকতে চাই না। এরচেয়ে বেশি কিছু আমাদের দাবি নেই। করিডরের কোনো প্রশ্নই আসে না।

তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে দিচ্ছেন। উনি বলেছেন ভালো মানুষের হাতে দিতে হবে। আমরা বুঝি আপনারা কী করছেন। এদের মানুষকে বোকা ভাববেন না। স্টারলিংক ছাড়া চলেছি, ওয়াইফাই ছাড়াও চলেছি। দেশ ভালোই ছিলো। স্টারলিংক আনছেন কার জন্য? আনছেন আরাকান আর্মির জন্য। করিডর কার জন্য, এখান দিয়ে আরাকান আর্মির মাল-মশলার জন্য। সেন্টমার্টিন কার জন্য, বিদেশিদের হাতে তুলে দেয়ার জন্য। কিন্তু একজন তরুণ বেঁচে থাকলেও দেশের ভৌগলিক অখণ্ডতা বিঘ্নিত হতে দেব না। কেউ কেউ বলছেন বাংলাদেশের মানচিত্র পরিবর্তন হবে। আমি জানতে চাই কি ধরণের পরিবর্তন হবে? ছোট হবে না বড় হবে।

সরকারের কড়া সমালোচনা করে তিনি বলেন, ওদের কাজকর্ম, কথাবার্তায় দেশপ্রেমিক মানুষের মনে ভীতির সঞ্চার হয়। আমরা যখন নির্বাচনের কথা বলি তখন তারা সংস্কারের কথা বলে। আমরা কাজের কথা বলে তখন তারা অপকর্মের কথা বলে। আপনারা কোনো কাজ শেষ করতে পারবেন না।

তিনি বলেন, সরকারের অভ্যন্তরে মাথা থেকে পচন ধরেছে। নীচ পর্যন্ত পচে গেছে। এই সরকার যদি এভাবে চালায় তাহলে আওয়ামী লীগ যা ক্ষতি করেছে তার চেয়ে অনেক বেশি ক্ষতি করবে। সুতরাং নির্বাচন অবশ্যই দরকার।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বিভিন্নভাবে চাঁদাবাজি করছে, বিএনপির ওপর দায় চাপাচ্ছে। আপনারা সতর্ক থাকুন। আমরা আগেই বলেছি যারা চাঁদাবাজি করে তাদের কেন পুলিশ ধরে না।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *