নিঃস্ব হচ্ছেন অনেক ভুক্তভোগী! ডিজিটাল প্রতারণায় গ্রেফতার গোয়েন্দার হাতে প্রতারক চক্রের সদস্য

Uncategorized অপরাধ আইন ও আদালত গ্রাম বাংলার খবর জাতীয় প্রশাসনিক সংবাদ বিশেষ প্রতিবেদন সারাদেশ

মোঃ শহিদুল ইসলাম : মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল ব্যবসার ছদ্মবেশে সরকারি কর্মকর্তাদের ছবি ব্যবহার করে প্রতারণা চক্র কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এই চক্রের এক সদস্যকে নরসিংদী জেলার ঘোড়াদিয়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখার একটি বিশেষ টিম। অভিযানে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ জিনিস উদ্ধার করা হয়।


বিজ্ঞাপন

পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে একটি সংঘবদ্ধ চক্র অনলাইনে সাধারণ মানুষের হোয়াটস্ অ্যাপ হ্যাক করে সরকারি কর্মকর্তাদের ছবি এবং পরিচয় ব্যবহার করে মানুষকে ফাঁদে ফেলে অনলাইন ব্যাংকিং মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল। এদেরকে সাধারণত মসজিদে বা অফিসে উন্নয়নমূলক কাজের জন্য, অসহায়দের সহায়তা করার অজুহাতে টাকা চেয়ে থাকতো। অনেক মানুষ সরল বিশ্বাসে তাদের দেওয়া তথ্যে অনলাইন ব্যাংকিং মাধ্যমে অর্থ প্রদান করতেন।


বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিল্পাঞ্চল ও ডিবি) রাসেল (পিপিএম-বার) জানান, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের ফেসবুক পেইজে এই বিষয়টি শেয়ার করার পর বেশ কিছু ভুক্তভোগী পুলিশের কাছে অভিযোগ দাখিল করেন। এরপর জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে জেলা গোয়েন্দা শাখা দ্রুত অনুসন্ধান শুরু করে এবং অবশেষে প্রতারক চক্রটি শনাক্ত করা হয়।


বিজ্ঞাপন

গ্রেফতার ও উদ্ধারকৃত সামগ্রী :  গত বুধবার, নরসিংদী জেলার সদর থানাধীন ঘোড়াদিয়া এলাকা থেকে শরীফুল ইসলাম নামে এক প্রতারককে গ্রেফতার করা হয়। তার বাসা থেকে নগদ ৪ লক্ষ টাকা, নকল ট্রেড লাইসেন্স, সীল, ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ড, ৮টি মোবাইল ফোন, বিভিন্ন অপারেটরের সিম, ব্যাংক চেক ও জমা বই এবং বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়।


বিজ্ঞাপন

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ :  শরীফুল ইসলামের কাছ থেকে মোবাইল ফোনের হোয়াটসঅ্যাপ কথোপকথন এবং অন্যান্য ডকুমেন্টস পর্যালোচনা করে জানা যায়, সে ও তার সহযোগী ভাই দীর্ঘদিন ধরে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল ব্যবসার আড়ালে হুন্ডি, অনলাইন জুয়া এবং প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ লেনদেন করে আসছিল। তারা বিভিন্ন ব্যাংকের চলতি হিসাব খুলে অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকা লেনদেন করেছে।

সতর্কতা ও পরামর্শ :  এ বিষয়ে পুলিশ কর্মকর্তারা সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। তারা বলেন, যদি কোনো অজানা ব্যক্তি সরকারি কর্মকর্তা বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে টাকা দাবি করে, তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে নিকটস্থ থানায় যোগাযোগ করা উচিত।

এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করেছে যে, ডিজিটাল প্রতারণা কতটা বিস্তৃত এবং এর থেকে সচেতন থাকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *