বিধি ভংগ করে পিডি নিয়োগ  :  মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে এসব হচ্ছে কী  ?

Uncategorized অনিয়ম-দুর্নীতি অপরাধ আইন ও আদালত জাতীয় ঢাকা প্রশাসনিক সংবাদ বিশেষ প্রতিবেদন রাজধানী সারাদেশ

বিশেষ প্রতিবেদক   : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে চলছে তুঘলকি কান্ড। বিধি ভেঙে একটার পর একটা আদেশ জারি করা হচ্ছে। ফলে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভ দানা বেঁধেছে। কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের সেই ক্ষোভের আগুনে যে কোন সময় লংকা ( প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর) পুড়ে ছাই হয়ে যেতে পারে বলে আশংকা করছেন প্রশাসন বিশেষজ্ঞরা।


বিজ্ঞাপন

জানাগেছে, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা সকল দপ্তরে পিডি নিয়োগের একটি কমিটি এবং নীতিমালা রয়েছে। সেই নীতিমালা উপেক্ষা করে এবং বিধি ভংগ করে সম্প্রতি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অধীনে ৩ টি প্রকল্পে পিডি নিয়োগ করা হয়েছে। নিয়োগপ্রাপ্তদের প্রকল্প সম্পর্কে কোন অতীত অভিজ্ঞতা নেই। এই ৩জন কর্মকর্তাকে মোটা অংকের আর্থিক সুবিধা নিয়ে পিডি পদে নিয়ে়াগ দিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা ও সচিব এমন কথা শোনা যাচ্ছে।


বিজ্ঞাপন

এ ছাড়া বিশুদ্ধ জাতের ব্ল্যাকবেংগল (ছাগল ও দেশীয় ভেডা়) সম্প্রসারণ পাইলট প্রকল্পের পিডি নিয়ে়াগে মানা হয়নি কোন নিয়ম-কানুন। গত ১৩/৭/২৫ ইং তারিখে জারীকৃত নিযোগাদেশে বগুড়া জেলা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ কর্মকতা ডা: মো: আনিসুর রহমানকে আলোচ্য প্রকল্পের পিডি নিয়ে়াগ করা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন

সুত্রমতে,এই প্রকল্প পরিচালক নিযোগকালে প্রচলিত কমিটির মাধ্যমে কোন প্রকার সাক্ষাৎকার গ্রহন করা হয়নি। পুর্বে দুনীতি ও অসাদাচারণের দায়ে সাময়িক বরখাস্ত কৃত কর্মকতা ডা: মো: আনিসুর রহমানকে বিপুল অংকের আর্থিক সুবিধা গ্রহনের মাধ্যমে পিডি নিয়ে়াগ দিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের রুটিন দায়িত্বে থাকা সচিব, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এবং সাবেক ফ্যাসিষ্ট সরকারের সচিব ও আওয়ামী মন্ত্রীর একান্ত সচিব এবং বর্তমান উপদেষ্টার “বিশেষ লোক” খ্যাত অতিরিক্ত সচিব মো: তোফাজ্জল হোসেন।


বিজ্ঞাপন

খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, মো: তোফাজ্জল হোসেন অতীতের সকল রেকর্ড ভংগ করে বিগত ডিসেম্বর /২৪ হতে মন্ত্রণালয়ের সচিবের রুটিন দায়িত্ব পালন করে আসছেন। সচিবের রুটিন দায়িত্ব পালন করলেও তিনি সকল নীতি নির্ধারণী সিদ্ধান্ত দিচ্ছেন বা নিচ্ছেন। যা সরকারী কর্মচারী আচরণ বিধিমালা ২০১৮ এর সংশ্লিষ্ট বিধির সরাসরি পরিপন্থী।

এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তরের একাধিক সিনিয়র কর্মকতা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস, মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার,জনপ্রশাসন সচিব ড. মো: মোখলেসুর রহমান এবং দুদক চেয়ারম্যানের পদক্ষেপ কামনা করেছেন।

উল্লেখ্য যে, সচিব মো: তোফাজ্জল হোসেন এবং উপদেষ্টা ফরিদা আখতার মিলে প্রায় ১০০ কোটি টাকার এফএমডি ভ্যাকসিন ক্রয়েও ২১ কোটি টাকার দুর্নীতি করেছেন বলে একাধিক দৈনিক পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়েছে।

এ বিষয়ে উপদেষ্টা ও সচিবের বক্তব্য জানতে অনেক চেষ্টা করেও তাদের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি বিধায় তাদের কোন প্রকার বক্তব্য প্রকাশিত হলো না ।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *