মোঃ সাইফুর রশিদ চৌধুরী : গত বুধবার ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) রাজনৈতিক কর্মসূচীকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় ৭৫ জনের নামোল্লেখ ও অজ্ঞাত ৪০০ শতাধিক জনকে আসামী করে গতকাল গোপালগঞ্জ সদর থানায় পুলিশের পক্ষ থেকে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে একটি মামলা করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর সাজেদুর রহমান।

এ হামলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা জড়িত বলে জানা গেছে। হামলা প্রতিরোধ করতে সেনাবাহিনী ও পুলিশের গুলিতে নিহত ৫ জনই কোন রাজনৈতিক দলের সদস্য নয় বলে জানিয়েছেন নিহতের পরিবারের সদস্যরা।

নিহত দীপ্ত সাহা একজন গার্মেন্ট দোকান ব্যবসায়ী ও ইমন তালুকদার হার্ডওয়ার স্টোরের কর্মচারী। তারা তাদের ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার পথে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান বলে দাবি করেছে তাদের পরিবার।

নিহত সোহেল গোপালগঞ্জ চৌরঙ্গীর কেরামত প্লাজার মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী। আহত ভ্যান চালক রমজান মুন্সি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। এ হামলার ঘটনায় এ পর্যন্ত ৫০ এর অধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

গ্রেফতার আতংকে বহু এলাকার পুরুষ মানুষ এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে। প্রতিদিন রাত নামলেই বিভিন্ন এলাকায় যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরু হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে আসামি ও জড়িত ব্যক্তি ছাড়া নিরপরাধ কাউকে গ্রেফতার বা হয়রানি করা হবে না। গ্রেফতারের ভয়ে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা কর্মিরা ঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে এ হামলায় গোপালগঞ্জ ছাড়াও দেশের অন্যান্য জেলা থেকে ছাত্রলীগের ক্যাডাররা অংশ নিয়েছিল। তাদের গ্রেফতারে যৌথবাহিনী অভিযান পরিচালনা করছে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে গোপালগঞ্জে আজ সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত কারফিউ বলবৎ রয়েছে। ইতোমধ্যে কারফিউর মেয়াদ আগামীকাল শনিবার সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।