জামায়াতের রুকন তোফায়েল এর ভয়াবহ মিথ্যাচার ও প্রতারণার ভয়াবহ চিত্র

Uncategorized অনিয়ম-দুর্নীতি অপরাধ আইন ও আদালত গ্রাম বাংলার খবর জাতীয় প্রশাসনিক সংবাদ বিশেষ প্রতিবেদন রাজনীতি সংগঠন সংবাদ সারাদেশ

নিজস্ব প্রতিনিধি (কুমিল্লা) : ২০০৩ সালের নভেম্বর থেকে ২০০৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত বিএনপি‑নেতৃত্বাধীন সরকারের সময় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট ৯৮৮ জন কর্মকর্তা‑কর্মচারী নিয়োগ পান, যাঁদের মধ্যে অফিস সহকারী, সহকারী হিসাব কর্মকর্তা, লাইব্রেরি সহকারী, ক্লার্ক, কম্পিউটার অপারেটর, প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং বিশেষ করে সিনিয়র প্রোগ্রামার ও প্রোগ্রামার পদ পর্যন্ত ছিল। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দুটি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়েছিল, কিন্তু করণে যোগ্যতা যাচাই ছাড়াই অনিয়মমূলক নিয়োগ, রাজনৈতিক প্রভাব, দলীয় নিয়োগ ও বয়স সীমার অতিরিক্ত প্রার্থীদের নিয়োগের অভিযোগ আবির্ভূত হয়। উদাহরণস্বরূপ, তোফায়েল নামে একজন, যিনি অর্থনীতি বিভাগ থেকে স্নাতক হলেও সিনিয়র প্রোগ্রামার হিসেবে নিয়োগ পান—যেখানে কম্পিউটার পারসোনেল অ্যাক্ট অনুযায়ী বিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক ডিগ্রী বাধ্যতামূলক ছিল।


বিজ্ঞাপন

এই নিয়োগপ্রক্রিয়া নিয়েট করে সাবেক এমপি ফজলে রাব্বী মিয়া ২০০৬ সালে হাইকোর্টে (রিট খারিজ) আবেদন করেন, পরে গাজীপুর-১ এমপি আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক রিভিউ পিটিশন দাখিল করে, যার ভিত্তিতে ২০১১ সালের ২৩ আগস্ট হাইকোর্ট ৯৮৮ জনকে অবৈধ ঘোষণা করে চাকরিচ্যুত করেন। ২০১২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের বেঞ্চ রায় দেন, যেখানে,নিয়োগ বাতিল ঘোষণা করা হয়পাঁচটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় পুনরায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়, চাকরিচ্যুতদের জন্য বয়স শিথিল করে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা করার সুযোগ রাখা হয়, ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল ২০১২ পর্যন্ত সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্ত নিয়ে এই চাকরিচ্যুতি কার্যকর করা হয়।


বিজ্ঞাপন

এরপর ২০১৬ সালের ১৯ মে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় নিশ্চিত করে, কিন্তু ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে লিভ টু আপিল মঞ্জুর হওয়ায়, এই রায়ে পুনর্বিবেচনার পথ খোলা হয়। অবশেষে ২০২৫ সালের ২৭ মে, প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের বেঞ্চ আপিল বিভাগ ৯৮৮ জনের পূর্ণ পুনর্বহাল ও চাকরি সময়কালকে অসাধারণ ছুটি হিসেবে গণ্য ও জ্যেষ্ঠতা অক্ষুণ্ণ রাখার রায় দেন, এবং বকেয়া বেতন‑ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাদি নিয়ম অনুযায়ী পরিশোধের নির্দেশ দেন ।


বিজ্ঞাপন

রায়ে বিশেষভাবে নির্দেশ দেওয়া হয় যে, নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে যেসব ব্যক্তি নিয়োগকালে প্রযোজ্য শর্ত পূরণ করেননি (যেমন বিজ্ঞান বিভাগের ডিগ্রি ছাড়া কম্পিউটার পদের জন্য নিয়োগ বা তফায়েলের মতো ক্ষেত্রে), তাদের পুনর্বহাল প্রক্রিয়ায় পৃথক যাচাই সংক্রান্ত তদারকি করা হবে; কারা সঠিকভাবে যোগ্য ছিল আর কারা নয়—এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও আদালত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।


বিজ্ঞাপন

কেন্দ্রীয় উদাহরণ হিসেবে ‘তোফায়েল’: অর্থনীতি স্নাতক হলেও সিনিয়র প্রোগ্রামার পদে নিয়োগ এবং পরবর্তীতে তিনি পুনর্বহালের অধিকার পান, এটিই নিয়োগবিধি লঙ্ঘনের একটি স্পষ্ট উদাহরণ। নিয়োগের সময় অনেকে অযোগ্য বা মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে নিয়োগ পেয়েছিলেন, যা বিচারিকভাবে চিহ্নিত এবং পরবর্তী রায়ে সুস্পষ্টভাবে বিবেচনায় আনা হয়।

বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগের এক রায়ে গত ১৭-১১-২০০৩ তারিখ থেকে নিয়োগ প্রাপ্ত ৯৮৮ জনকে পরবর্তীতে আওয়ামী সরকারের আমলে চাকুরীচ্যুতিদেরকে  জ্যেষ্ঠতাসহ পুনবর্হাল করা হয়।

জামাত শিবিরের লেসপেন্সার এ তোফায়েল জামাতি কোঠায় চাকুরী পেয়ে আওয়ামী সরকারের আমলে চাকুরি হারালেও বর্তমানে জামাতে ইসলামির রুকন কোঠায় আবার চাকুরি ফিরে পায়। একাধিকবার হজ্ব করে, দাড়ি-টুপি-পাঞ্জাবির লেবাসধারী হলেও  তার পুরো জীবনটা মানুষ ঠকানো, মিথ্যা আর ছলচাতুরিতে ভরা।

বুড়িচং উপজেলার যদুপুরে তার গ্রামের নিজবাড়িতে ছাত্র-শিবিরের প্রোগ্রামে নিজেকে নিজেই স্যার বলে সম্বোধন করে নবীন শিবির কর্মীদের নিকট নিজেকে খুব রাশভাড়ি বড় আমলা হিসেবে জাহির করেন। তার একসপ্তাহ পরেই নিজের গ্রামের নিজেদের স্কুলে নিজেকে সিনিয়র সিস্টেম এনালিস্ট উল্লেখ করে ব্যানার ছাপিয়ে এলাকাবাসী থেকে সংবর্ধনা গ্রহণ করেন।

এর পরপরই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আঞ্চলিক কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক পদে বদলীর চিঠিতে তার পদবী সিনিয়র সিস্টেম এনালিস্ট হিসেবে দেখা যায়। ঢাকাস্থ বুড়িচং উপজেলা সমিতির বিপরীতে জশি পন্থীদের নিয়ে মিথ্যা ঠিকানা (রোজ গার্ডেন, তুষারধারা আবাসিক এলাকা, কদমতলী, ঢাকা) ব্যবহার করে বুড়িচং ওয়েলফেয়ার সোসাইটি ঢাকা সংগঠনের প্রোগ্রাম করেন। তার আপন ভাই এবং সৎ ভাইয়েরা মিলে সত্য আড়াল করে মিথ্যা ভূয়া পরিচয় ব্যবহার করে আওয়ামী আমলেও সুবিধা নিয়েছে।

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের তার বাড়িতে এনে উৎসব আয়োজন করতেন এখন সরকার পতনের পরপরই লেবাসপাল্টে জামাতের রূপ ধারণ করেছেন। মিশন শিক্ষা পরিবারের বরাত দিয়ে নিজেদের একাডেমিতে যুবসমাজকে ধ্বংসের এবং নিজেদের দলদাস হিসেবে গড়ে তোলার কারিকুলামে পাঠদান চলে। কিন্ডার গার্ডেনের প্রধান শিক্ষক পদবী ব্যবহার না করে অধ্যক্ষ হিসেবে জাহির করে। এ মিথ্যাবাদী চক্র আধুনিক হাসপাতাল, ডেলেপার কোম্পানি: মিশন গার্ডেন ঢাকা, আল-হামরা, কনটেক ইত্যাদি ভিন্নভিন্ন নামে অবৈধভাবে ফ্ল্যাট বিক্রির নামে মানুষের সাথে প্রতারণা করে। ৮ তলা অনুমোদন নিয়ে ১০ তলা নির্মাণের মাধ্যমে মানুষেদের ফ্ল্যাটের বিপরীতে জমির পরিমাণ কম দেয়। তাদের প্রতারণা কেউ ধরে ফেলতে পারলে নানাভাবে হয়রানি করায়। অবৈধভবন বলে রাজউক দ্বারা বিদ্যুৎপানি বিচ্ছিন্ন করে ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদের কষ্ট দেয়।

প্রতারক চক্রের সাথে সরকারের একশ্রেণির লেবাসধারী, প্রতারণ, ঘুষখোর আমলাও জড়িত আছে। এরা মূলত লেবাসের আড়ালে প্রকট ম্যিথাবাদী, জুলুমবাজ। সচিব, অতিরিক্ত সচিব, র‌্যাব-১০ এর সাবেক অধিনায়ক, মিশন কলেজের অধ্যক্ষ, সরকারি চাকুরীজীবি, বেসরকারি চাকুরীজীবিসহ ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার এর সমন্বয়ে এ একটি ভয়াবহ দুধর্ষ প্রতারক চক্র একটি দুর্নীতিবাজ চক্র। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, দুদক, রাজউক, জয়েন্ট স্টক কোম্পানিসহ সর্বত্রই এ সিন্ডিকেট চক্রের সদস্য আছে। ফলে আইন-ন্যায় বিচারের শাসন কোথাওই নেই।

অর্থ-বিত্ত আর প্রভাব প্রতি পত্তির বলে গ্রামের সাধারণ নিরীহ মানুষের কোনঠাসা করে রাখে। গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিজেদের মনোনীত জাশির লোকদের সভাপতিসহ মসজিদ-মাদ্রাসায়ও অন্যায় প্রভাব বিস্তার করে। তার রয়েছে একদল সুদখোর-ম্যিথাবাদী বাহিনী। যারা নিরীহ মানুষের উপর তার পক্ষে সাফাই গেয়ে বেড়ায়।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *