নিজস্ব প্রতিনিধি (টেকনাফ) : বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) নাফ নদীতে একটি বিশেষ মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ১,০০,০০০ (এক লক্ষ) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করতে সক্ষম হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) দুপুরের দিকে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে জানতে পারে যে, একটি সংঘবদ্ধ চক্র মায়ানমারের মাদক কারবারীদের সাথে যোগসাজশে জেলের ছদ্মবেশে মাছ ধরার আড়ালে নাফ নদী দিয়ে মাদকের একটি বড় চালান বাংলাদেশে পাচারের চেষ্টা করবে।
খবর পাওয়ার পর ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেঃ কর্নেল আশিকুর রহমান দ্রুত একটি সমন্বিত অভিযানের নির্দেশ দেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী, সীমান্তবর্তী নদীপথে কৌশলগত বিভিন্ন স্থানে বিশেষ নৌ-টহল মোতায়েন করা হয়। দুপুর দেড়টার দিকে বিজিবির সাবরাং বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় একটি সন্দেহজনক জেলে নৌকা শূন্যরেখা অতিক্রম করে বাংলাদেশের প্রায় ১০০ গজ ভেতরে অবস্থান নেয়।

ব্যাটালিয়ন অধিনায়কের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে নৌ-টহল দলগুলো দ্রুত অভিযানে অংশগ্রহণ করে। এসময়, বিজিবি’র নৌ-টহলদল নৌকাটিকে ধাওয়া করলে নৌকায় থাকা দুই মাদককারবারী লাফ দিয়ে সাঁতার কেটে মায়ানমারের ভেতরে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে বিজিবি টহলদল ফেলে যাওয়া নৌকাটিতে তল্লাশী চালিয়ে মাছ ধরার জালের ভিতর লুকানো বিশেষভাবে মোড়কজাত একটি প্লাস্টিকের প্যাকেটের ভেতর থেকে ১,০০,০০০ (এক লক্ষ) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে।

অভিযানের পর মাদক চক্রের সাথে জড়িতদের ধরতে নাফ নদীর বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত অভিযান পরিচালনা করা হলেও কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে এ ঘটনায় জড়িতদের সনাক্ত করতে বিজিবির গোয়েন্দা কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে এবং তাদেরকে আইনের আওতায় আনার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
বিজিবি অধিনায়ক বলেন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ সবসময় সীমান্ত এলাকায় মাদক পাচার, অবৈধ কার্যক্রম ও বিভিন্ন অপরাধ দমনে কঠোর অবস্থান বজায় রেখেছে। জাতীয় নিরাপত্তা ও সীমান্ত সুরক্ষায় বিজিবির জিরো টলারেন্স নীতি সবসময় অটুট থাকবে।