প্লাজমা থেরাপির কথা ভাবছে বাংলাদেশ

জাতীয় স্বাস্থ্য

করোনা

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : মরণঘাতী করোনাভাইরাসে টালমাটাল বিশ্ব। প্রতিটি দেশই এখন এ রোগের নিরাময় খুঁজতে প্রাণপণ চেষ্টা করছে। বাংলাদেশেও দিন দিন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে এ ভাইরাস। এর চিকিৎসায় প্লাজমা থেরাপির কথা ভাবছে বাংলাদেশ। গবেষকরা বলছেন, ইবোলা কিংবা নিপাহ ভাইরাস প্রতিরোধে কাজে এসেছে এই পদ্ধতি। তাই এমন সংকটে আশঙ্কাজনক রোগীদের প্রাণ বাঁচাতে পারে সুস্থ রোগীর প্লাজমা। স্বাস্থ অধিদপ্তরও বলছে, বিষয়টি নিয়ে ভাবছেন তারা।
নিয়ম মেনে নির্দিষ্ট ওষুধ পেতে সময় লাগবে এক যুগেরও বেশি। এ মুহূর্তে বিশ্বজুড়ে কোভিড-১৯ প্রতিরোধে ৭০টি ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ চলছে। এর মধ্যে দুটি ক্লিনিক্যাল স্টেজে ও একটি গবেষণা স্টেজ টুতে। প্রচলিত ওষুধ কতটুকু কাজ করবে তা জানতেও সময় লাগবে কয়েক মাস। তাই এ মহাবিপদে প্রাণ বাঁচাতে পারে প্লাজমা থেরাপি।
বাংলাদেশ ফারমাকোলজি সোসাইটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক সায়েদুর রহমান খসরু বলেন, যে মানুষটি আক্রান্ত হচ্ছেন এবং সুস্থ হয়ে উঠছেন ওনার রোগের লক্ষণ দূর হওয়ার পর তার প্লাজমাটা করা যেতে পারে।
বাংলাদেশে প্রাথমিকভাবে এ পদ্ধতি প্রযোগের কথা ভাবছে গবেষকরা। সেক্ষেত্রে গুরুতর রোগীদের এ পদ্ধতিতে চিকিৎসা হতে পারে।
সায়েদুর রহমান বলেন, এটি সবার জন্য হবে না। কেবল ঝুঁকিপূর্ণ রোগীর ক্ষেত্রে করা যেতে পারে।
এরই মধ্যে বিষয়টি আমলে নিয়ে কাজ শুরু করার কথা বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ জানান, এ বিষয়টি নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা হচ্ছে। পরবর্তী পদক্ষেপ এরপর নেয়া হবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে মোট আক্রান্তের পাঁচ থেকে সাত ভাগ রোগী মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছে থাকে।


বিজ্ঞাপন