মানিকগঞ্জে খুনসহ ডাকাতি’র ঘটনায় কুখ্যাত ডাকাত সর্দার ইসমাইলসহ ৮ জন ডাকাত’কে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৪

Uncategorized অপরাধ আইন ও আদালত জাতীয় প্রশাসনিক সংবাদ বিশেষ প্রতিবেদন সারাদেশ

নিজস্ব প্রতিনিধি (মানিকগঞ্জ)  : “বাংলাদেশ আমার অহংকার”- এই স্লোগান নিয়ে র‍্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) প্রতিষ্ঠাকাল থেকে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ নির্মূল ও মাদকবিরোধী অভিযানের পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে চাঞ্চল্যকর অপরাধে জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।


বিজ্ঞাপন

এরই ধারাবাহিকতায়, গত ৩১ আগস্ট,  রাতে ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন খেজুরটেক, ধামরাই থানাধীন ছোট চন্দ্রাইল এবং সাভার থানাধীন ছায়াবীথি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর থানার চাঞ্চল্যকর ও আলোচিত খুনসহ ডাকাতি মামলায় ডাকাত দলের সর্দারসহ ০৮ জন ডাকাত’কে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৪।

গ্রেফতারকৃতরা হলো (১) ইসমাইল ইমরান (৪০), (২) মোঃ মাসুদ রানা (২৯), (৩) মোঃ ওবায়দুর (২২), (৪) মোঃ তাওহিদ (১৮), (৫) মোঃ সুমন (২৭), (৬) মোঃ মনু (৪৫), (৭) মোঃ সুরুজ মিয়া (৪৫) এবং (৮) মোঃ হাবিবুর রহমান হাবিব (৩২)।


বিজ্ঞাপন

এজাহারের বিবরণ এবং গ্রেফতারকৃত আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গত ১৭ আগস্ট ২০২৫ তারিখ মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর থানাধীন ইসলামনগর গ্রামের ভিকটিম মহর উদ্দীন (৭০) এর বাড়িতে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ডাকাতির উদ্দেশ্যে একদল ডাকাত প্রবেশ করে। পরিবারে লোকজন টের পেয়ে চিৎকারের চেষ্টা করলে ডাকাত দল তাদেরকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে গোয়াল ঘর হতে গরু বের করে পিকআপে উঠাতে গেলে ভিকটিম এবং তার বড় ছেলে ডাকাতদেরকে বাঁধা প্রদান করে।


বিজ্ঞাপন

ডাকাত দল এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ভিকটিম এবং তার বড় ছেলেকে নির্মমভাবে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে গরুগুলোকে পিকআপে উঠিয়ে নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে চলে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন ভিকটিম মহর উদ্দীন (৭০) ও তার বড় ছেলে নূর মোহাম্মদ বাবু (৩০)’কে সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

ভিকটিম মহর উদ্দীন (৭০) এর অবস্থার অবনতি হলে তাকে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এ সংক্রান্তে মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।

উক্ত ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রচারিত হয়। ঘটনার পরপরই র‍্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে কুলেস হত্যাকান্ডসহ ডাকাতির ঘটনার রহস্য উদঘাটন এবং জড়িত আসামিদের আইনের আওতায় আনতে ছায়া তদন্ত শুরু করে।

পরবর্তীতে র‍্যাব-৪, সিপিসি-২, সাভার এবং সিপিসি-৩, মানিকগঞ্জ এর একটি যৌথ আভিযানিক দল তথ্য-প্রযুক্তি এবং গোয়েন্দা সূত্রের ভিত্তিতে জানতে পারে উপযুক্ত চাঞ্চল্যকর ও আলোচিত খুনসহ ডাকাতির মামলার পলাতক আসামিগণ ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন খেজুরটেক এলাকায় অবস্থান করছে।

তৎক্ষণাৎ উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ৩১ আগস্ট,  উল্লেখিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে  উক্ত আসামিগণকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য  সংশ্লিষ্ট থানায় প্রেরণ করা হয়েছে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *