নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানী মিরপুরের স্থায়ী বাসিন্দা দেহ ব্যবসায়ী সিতুল মুনার সঙ্গে অবৈধ পরকীয়া সম্পর্ক জড়িয়ে নানা অপকর্মের অভিযোগ উঠেছে এন এস আই কর্মকর্তা সাফিনুল হক লাবুর বিরুদ্ধে।

গত বছরের জুলাই অভ্যুত্থানে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে গুপ্তচর হিসেবে কাজ করার অভিযোগ রয়েছে সিতুল মুনার বিরুদ্ধে।সিতুল মুনার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক থাকার কারণে লাবুর এজেন্ট হিসেবে কাজ করে ছাত্রদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল।
এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে অনেক বেপরোয়া হয়ে ওঠে এ চরিত্রহীন নারী। নয়টি বিয়ের পিঁড়িতে বসা সিতুল মুনা লাবুর সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে সর্বশেষ পাতানো স্বামী মোস্তফা কে কোনঠাসা করে অপকর্ম চালিয়ে আসছে।

তাঁর স্বামী মোস্তফা কে মামলা হামলার ভয় দেখিয়ে জিম্মি করে লাবুর সাথে অবাধে মেলামেশা করার অভিযোগ রয়েছে।এ ভয়ে তার স্বামীকে নিজের বাইকে ধানমন্ডি, গুলশান,বাড়ি ধারা, ডিওএইচএস আবাসিক হোটেলে পৌঁছে দিতে বাধ্য করেছিল।

ইতোপূর্বে সিতুল মুনার বিরুদ্ধে একাধিক গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। সর্বশেষ আমার দেশ পত্রিকাসহ একাধিক গণমাধ্যমে লাবুর নামটি দৃশ্যমান হওয়ায় মুখোশ উন্মোচন হয় সিতুল মুনার।
জানা গেছে সাফিনুল হক লাবুর সকল অপকর্মের সাথে প্রত্যক্ষভাবে মুনা জড়িত। তাঁর পুলিশ নিয়োগসহ সোনা চোরাচালানের আদ্যোপান্ত মুনা জানতেন।লাবু এবং মুনার পরকীয়া ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের উপর হামলার বিষয় আদ্যোপান্ত থাকছে পরবর্তী সংখ্যায়।
উল্লেখ্য যে সাফিনুল হক লাবু শেখ হাসিনার আপন মামাতো ভাই। তাঁর বড় ভাই আলিদুর রহমান এ প্রভাবে স্বর্ন চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সাম্প্রতিক চোরাচালানের অভিযোগে র্যাব আটক করে কারাগারে পাঠিয়েছেন। এছাড়াও বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের উপর হামলার যাবতীয় রসদ যোগানোর অভিযোগ ছিল।
এসব বিষয় মুনার পাতানো স্বামী মোস্তফার সাথে আলাপ চারিতায় বলেন, আমি মুনার সঙ্গে থাকার কারণে হত্যা,অপহরণ, ছিনতাইসহ একাধিক মামলার আসামি হয়েছি। আমি নিজেকে বাঁচাতে দূরে সরে গেছি। আমি মুনার সঙ্গে থাকার ইচ্ছা নেই। মুনার স্বামী মোস্তফা আরও বলেন, আমাকে মামলা দিয়ে দূরে রাখছে কারণ আমার ষাট লাখ টাকা আত্মসাৎ করে রাস্তায় নামিয়েছেন।