নিজস্ব প্রতিবেদক : অন্তবর্তীনকালীন সরকারের গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান, তিনি একজন মানবাধিকার সংস্থার নেতৃত্বস্থানে আছেন, অথচ তার অধিনস্ত গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার এর নেতৃত্বে তিন স্তরের আওয়ামী করন চলছে আর একদিকে হালিম এর মতো দূর্ণীতিবাজদের দিয়ে চলছে লুটপাট।

আমাদের বিশেষ অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর এক অভিযোগ। অভিযোগ আছে, একটি লিফটের ভেতরে আটকে, আরেকটি প্রযুক্তির অভাবে, শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লিফট বন্ধ হয়ে প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে একজন রোগী আটকে থেকে সেখানেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রভাবশালী প্রকৌশলী ও ঠিকাদার সিন্ডিকেট নিয়ে আজ প্রকাশিত হলো আমাদের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন।
দুইটি মৃত্যু-একটি লিফটের ভেতরে আটকে, আরেকটি প্রযুক্তির অভাবে, জনতার চোখের সামনে। সেই লাশের পাশে দাঁড়িয়ে নির্বিকার, নির্লজ্জ একজন ব্যক্তি, যিনি আজ সরকারি প্রকল্পের নাম করে কোটি কোটি টাকা বাগিয়ে নিয়েছেন নিজের পকেটে। তিনি গণপূর্ত ই/এম বিভাগ-১০ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল হালীম। তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে ভয়াবহ দুর্নীতির পাহাড়সম অভিযোগ। তদন্ত করলে খুলে যাবে একের পর এক লোমহর্ষক কাহিনি-কখনও টেন্ডারের নামে লুটপাট, কখনও প্রকল্পের মেয়াদ শেষে ভুয়া দরপত্র, আবার কখনও সরকারহীন মুহূর্তে গোপনে ঠিকাদার নিয়োগ। প্রশ্ন উঠেছে-এই লোকটি কি একা? নাকি দুর্নীতির আরও একটি অদৃশ্য সিন্ডিকেট?

লিফট দুর্ঘটনায় মৃত্যু-১ : ২০২৪ সালের ১২ মে শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একটি লিফট বন্ধ হয়ে প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে একজন রোগী আটকে থেকে সেখানেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। উপস্থিত এক রোগীর স্বজন বলেন, “সমস্যাটি মোবাইলে গণপূর্তের অফিসার হালিম সাহেবকে জানানো হলে তিনি সমস্যাটিতে গুরুত্ব না দিয়ে উল্টো তাকে স্যার সম্বোধন না করায় বকাঝকা করেন। এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন একজন মানুষ কিভাবে বিসিএস ক্যাডার হয় সেটাই প্রশ্ন।” তাদের দাবি, লিফট নষ্ট তা কি কর্তৃপক্ষ দেখেনি। তাদের খামখেয়ালির কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।’ (তথ্যসূত্র: bdnews24.com, ১২ মে ২০২৪) News Link: https://bangla.bdnews24.com/samagrabangladesh/7b3cc8f767a0 দায়ী: হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সহ উপস্থিত সকলের ভাষ্যমতে গণপূর্ত ইএম বিভাগ ১০ এর এক্সেন আবদুল হালিম।

শাস্তি: কিছুই হয়নি। টাকা দিয়ে সব ম্যানেজ। উলটা নির্লজ্জের মতো দায়ভার রোগীর কাধে চাপানোর চেষ্টা করা হয়েছে। (তথ্যসূত্র: আজকের পত্রিকা ১২-০৫-২০২৪ https://www.ajkerpatrika.com/bangladesh/dhaka/ajp5jzmrm1hh0) ম্যানেজ মাষ্টার নামে ডাকে। পরদিন-১৩ মে প্রথম আলোসহ দেশের সকল জাতীয় দৈনিকগুলোতে আলোচিত ঘটনাটির শিরোনাম।
শান্তি: কিছুই হয়নি। টাকা দিয়ে সব ম্যানেজ। উলটা নির্লজ্জের মতো দায়ভার রোগীর কাধে চাপানোর চেষ্টা করা হয়েছে। (তথ্যসূত্র: আজকের পত্রিকা ১২-০৫-২০২৪ https://www.ajkerpatrika.com/bangladesh/dhaka/ajp5jzmrm1hh0) এজন্যই তাকে সবাই ম্যানেজ মাষ্টার নামে ডাকে। পরদিন-১৩ মে প্রথম আলোসহ দেশের সকল জাতীয় দৈনিকগুলোতে আলোচিত ঘটনাটির শিরোনাম।
লিফট দুর্ঘটনায় মৃত্যু-২ : ঠিক পাঁচ মাস পর, ১ অক্টোবর, ২০২৪ একই ভবনের ১০ তলায় পুনরায় লিফট দুর্ঘটনা এবং ঠিক অই একই ব্যাক্তি অর্থাৎ এক্সেন হালিম এর দোষে আরও একটি তরতাজা প্রাণ চলে গেলো। সেদিন রোগীর এক আত্মীয় লিফটের কল বাটনে চাপ দিলে লিফটের দরজা খুলে যায় এবং লিফট আছে ভেবে তিনি ভেতরে প্রবেশ করতেই দশ তলা থেকে নিচে পড়ে মারা যান।
প্রশ্ন হলো-প্রথম মৃত্যুর পর কী পদক্ষেপ নিয়েছিল গণপূর্ত বিভাগ? কোনো সতর্কতা? কোনো তদন্ত? উত্তর-না। একের পর এক মৃত্যু, অথচ দায়িত্বরত নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল হালীম নির্বিকার ও নির্লজ্জভাবে চেয়ারে বসে ‘রক্ষণাবেক্ষণ খরচ’ দেখিয়ে পকেট ভারি করেছেন। সাধারণ মানুষের তাতক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানতে SAtv এর সোস্যাল মিডিয়া পেইজের কমেন্ট বক্স চেক করে দেখা যায় সেখানে বেশিরভাগ মানুষ বলছে তারা এর বিচার চায়। তারা চায় তাতক্ষনিক দায়ি ব্যাক্তি আবদুল হালিম কে চাকরিচ্যুত করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। প্রথবারই যদি দোষী ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় আনা হতো তাহলে ২য় বার দায়িত্বে অবহেলা হতোনা। অনেকে বলেছেন ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের বদলে এখন তো অর্ন্তবর্তী সরকার, অথচ এ সরকারো কেনো কোনো ব্যবস্থা নিলোনা?
https://www.facebook.com/satvnewsbd/videos/329379703505287/?app=fbl
মানবাধিকার আজ কোথায় : দ্বিতীয় মৃত্যুর পর জাতীয় মানবাধিকার কমিশন বিষয়টি পত্রিকায় দেখে স্বপ্রণোদিত রুল জারী করেছে। তদন্তে উঠে আসে ই/এম বিভাগের সরাসরি গাফিলতির প্রমাণ। কমিশনের সুপারিশ ছিল-অবিলম্বে দায়ী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, আজও মোঃ হালীম বহাল তবিয়তে অফিস করছেন, আর গোপনে প্রস্তুত করছেন আরও টেন্ডার! গণপূর্তের একজন কর্মকর্তা ও হাসপাতালের একাধিক দায়িত্বশীল ব্যাক্তি জানান, প্রতি মাসে লিফট রক্ষনাবেক্ষনের কথা থাকলেও তা শুধু কাগজে কলমেই দেখানো হয়। (তথ্যসূত্র: দৈনিক কালের কণ্ঠ, তারিখ: ১৪-০৫-২০২৪, পৃষ্ঠা: ৩)।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবদুল হালিম গত পাঁচ আগস্টের পর এখানে এসেছেন মাত্র দুই দিন। তার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনাসহ রয়েছে নানা অভিযোগ। (তথ্যসূত্র: ৭১টিভি, তারিখ: ০২-১০-২০২৪) এক্সেন না আসার বিষয়ে গণপূর্ত ইএম বিভাগের কর্মকর্তা নিয়াজুর রহমানের মোবাইলে জিজ্ঞেস করলে তিনি এ প্রতিনিধিকে বলেন, ‘আমাদের এক্সেন স্যার তো গত কয়েকদিন যাবত নিজের কাজ বাদ দিয়ে সিভিলের এক্সেন বদলীর তদবিরে ব্যাস্ত।” হাসপাতালের পরিচালক ডা: আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘হাসপাতালের লিফট স্থাপন করেছে গাজীপুর গণপূর্তের ইলেকট্রিক বিভাগ। এর রক্ষণাবেক্ষণও করেন তারা। লিফটগুলো সার্ভিসিং এ মানসম্মত কাজ হচ্ছেনা বলেই মনে হচ্ছে। তাই লিফটের ত্রুটির জন্য তারাই দায়ী।’ (the risingsun bd, Date- 02-10-2024) (Link: https://www.risingbd.com/dhaka/575841)।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন তাদের সুয়োমুটো কলে উল্লেখ্য : জাতীয় মানবাধিকার কমিশন তাদের সুয়োমুটো কলে উল্লেখ করেছেন, বারবার এমন দুর্ঘটনায় প্রতীয়মান হয় যে, অই হাসপাতালের লিফট যেন মানুষ মারার একটি ফাঁদে পরিণত হয়েছে। লিফটে কয়েকদিন ধরে ত্রুটি দেখা দেওয়ার পরও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। এ অবস্থাতেই লিফট চলমান রাখার যে অভিযোগ উঠেছে, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। লিফট দুর্ঘটনার ঘটনাটি হাসপাতালের সমগ্র স্বাস্থ্য-সেবাসহ প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। ঘটনার পুনরাবৃত্তিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনা ও গাফিলতি সুস্পষ্ট। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। জবাবদিহিতার সংস্কৃতি এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করতে পারে। প্রথমবার লিফট দুর্ঘটনার তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে বলা হয়। কিন্তু এ পর্যন্ত কোনো প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি। (তথ্যসূত্র: জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সুয়োমটো রুল, দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন অনলাইন, তারিখ: ০৮-১০-২০২৪)
একটার পর একটা টেন্ডার দুর্নীতি: সময়ের বাইরে, নিয়মের বাইরে, নীতির বাইরে : আমাদের প্রতিনিধির অনুসন্ধানে দেখা গেছে, টেন্ডার মাফিয়া জিকে শামীম এর সাথে হালিম এর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিলো। ২০১৯ সালে জিকে শামীম এর মাধ্যমে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আবদুল হালিম কে ঢাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বদলি করার অভিযোগ মন্ত্রণালয় পেয়েছিল (তথ্যসূত্র: দৈনিক সময়ের আলো, তারিখ: ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৬) News Link: https://www.shomoyeralo.com/news/66248) কিন্তু স্বাস্থ্য খাতের বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্ণীতির কারণে বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে ২৬-০৫-২০২২ এ আবদুল হালিম কে ইএম বিভাগ-৮ হতে পণপূর্ত ইএম বিভাগ-১০ এ বদলি করা হয়। সে সময় তার বদলির অর্ডার হবার পরে আরো সর্বগ্রাসী লুটপাটে জড়িয়ে পড়েন।
আমাদের কুষ্টিয়া প্রতিনিধির প্রেরিত তথ্য হতে জানা যায় যে, তিনি কুষ্টিয়ার মাহাবুবুল আলম হানিফ এর নিকটাত্মীয় হলেও শুধুমাত্র হলে একটি সিট এর লোভে সবাইকে দেখিয়ে শিবিরের রাজনীতি করতে থাকেন কিন্তু ক্যাম্পাস শেষ হওয়া মাত্রই তার বাকশালী আসল পরিচয় বের হয়ে আসে। দূর্ণীতিবাজ এ প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক গুরুতর অনিয়মের অভিযোগ।
কয়েকটি বিস্ময়কর দুর্নীতির বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হলো:
ঘটনা-১: প্রকল্প শেষ, তবু নতুন দরপত্র ! দরপত্র আইডি নং ১০০৫০১৬ এই দরপত্রটি তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ স্থাপন প্রকল্পের একাডেমিক এর সাবমার্জিবল পাম্প মটর সেট স্থাপন কাজ এবং দরপত্র আইডি নং ১০০৭৫২৫ এই দরপত্রটি তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ স্থাপন প্রকল্পের।
সাউন্ড সিস্টেম সংক্রান্ত কাজ। তদন্ত করে দেখা যায় যে প্রকল্পটি ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ হতে শুরু হয়ে জুন, ২০২৪ পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয়েছে। প্রকল্পের সংশোধিত ডিপিপি পর্যালোচনা করে দেখা যায় কাজগুলো অর্ন্তভুক্ত নেই। এখানে দুই ভাবে দুর্ণীতি করা হয়েছে। প্রথমত যে কাজ প্রকল্পের সংশোধিত ডিপিপিতে অন্তর্ভুক্ত নয় তা টেন্ডার করার এখতিয়ার ক্রয়কারীর নেই। ২য় প্রকল্প মেয়াদ শেষ হওয়ার পর দরপত্র আহবান করা সম্ভব নয়। যদি প্রকল্প কোনো কারণে পুনরায় সংশোধনের পর্যায়েও থাকে তদুপরি সংশোধন অনুমোদন না হলে দরপত্র আহবান করা সম্ভব নয়। কারণ উক্ত কাজ সংশোধন প্রস্তাবে পাশ নাও হতে পারে।
ঘটনা-২: দেশে সরকার নেই, অফিস খোলা নয়, তবুও দরপত্র আহ্বান ! দরপত্র আইডি: ১০০৭৬৭০, ১০১৬৪৪৫, ১০০৭৫২৫ সহ আরো ৩টি (নিচের ছবিতে বিস্তারিত) দরপত্র আহবান করা হয়েছে, ৭ আগস্ট ২০২৪ দেশে কার্যত সরকার ছিল না, অধিকাংশ দপ্তর বন্ধ। কিন্তু এই সময়েই ‘ছাত্রলীগ-যুবলীগ ঘনিষ্ঠদের’ জন্য তড়িঘড়ি করে দরপত্র আহ্বান করা হয়। উদ্দেশ্য? ‘চেনা ঠিকাদারদের কাজ পাইয়ে দেওয়া।”
ঘটনা-৩: ৭ই মার্চের আলোকসজ্জা, দরপত্র ৩ মাস পরে !দরপত্র আইডি নং ৯৬২৩৭৯, ৯৬২৩৮০, ৯৯৮০০১ দরপত্রে উল্লেখিত কাজের নামটি ৭ই মার্চ উপলক্ষে বিভিন্ন সরকারি অফিস ও কোয়ার্টার এ আলোকসজ্জাকরন এবং দরপত্র আইডি নং ৯৮৩৩২৯ কাজটি বিশ্ব ইজতেমা মাঠের ভিআইপি বাথরুমে গীজার লাগানোর কাজ। প্রথম তিনটি কাজ ৮ মার্চ, ২০২৪ এ এছাড়া ২০২৪ সালের বিশ্ব ইজতেমা ১ম পর্ব হয়েছে ২ থেকে ৪ ফেব্রুয়ারী এবং ২য় পর্ব ৯ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারী। অর্থাৎ কাজটি সম্পন্ন হয়েছে ইজতেমার আগে। কিন্তু egp পোর্টালে দেখা যাচ্ছে কাজ সম্পন্ন করার অনেক পরে দরপত্র আহবান করা হয়েছে। এ বিষয়ে অই দপ্তরের এক সহকারী প্রকৌশলী বলেন জরুরী প্রয়োজনেঅনেক সময় অনেক কাজ আগে সম্পন্ন করতে হয়। পরে কাগজে কলমে রেগুলারাইজ করতে হয়।” ৭ই মার্চের আলোকসজ্জা কি জরুরী কাজ নাকি হঠাত দূর্ঘটনা জনিত কাজ এটা জানতে চাইলে তিনি বলেন এক্সেন স্যারের সাথে কথা বলেন।
ঘটনা-৪: জমিও অধিগ্রহণ হয়নি, তবু কোটি টাকার টেন্ডার !দরপত্র আইডি নং ১০০৭৬৭০ এর কাজটি ৫০টি উপজেলায় টিটিসি স্থাপন প্রকল্প এবং দরপত্র আইডি নং ১০১৬৪৪৫ দশ জেলায় BSTI স্থাপন প্রকল্পের কাজ। এই টেন্ডারগুলো যখন আহবান করা হয় তখন এগুলোর জমি অধিগ্রহণই হয়নি। ভূমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন হয়ে নকশা তৈরি করার পরে সয়েল টেস্ট করে তারপর সিভিল কাজের টেন্ডার করার অনেক পরে এগুলোর টেন্ডার করা উচিত। কিন্তু কি কারণে এগুলো এত তাড়াতাড়ি এবং তারাহুড়ো করে করা হয়েছে তা সহজেই অনুমেয়।
ঘটনা-৫: ইজতেমার গিজার, কিন্তু ইজতেমা শেষ ৩ মাস আগেই ! দরপত্র আইডি: ৯৮৩৩২৯ – ২০২৪ সালের বিশ্ব ইজতেমা শেষ হয় ফেব্রুয়ারিতে। অথচ ১৬ মে আহ্বান করা হয় গিজার লাগানোর টেন্ডার! প্রশ্ন ওঠে-ইজতেমা শেষ হওয়ার ৩ মাস পরে কেন গিজার লাগানোর দরকার পড়ল?
ঢাকায় শতকোটি টাকার সম্পত্তি: একজন সরকারি কর্মচারীর এত সম্পদ কোথা থেকে? নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল হালীম ঢাকায় মোহাম্মদপুরে দুটি বাড়ির মালিক।
১. মৌজা আ/এ-০৩, হোল্ডিং: ১৭৫/৩০, খতিয়ান: ১২৪১৪, জমির পরিমাণ: ৪১.৯১ কাঠা, ২. মৌজা অজ্ঞাত, হোল্ডিং: ১৭৯/২৪০, খতিয়ান: ৭৩৯৩২, জমি: ২৭.৭২ কাঠা সর্বমোট জমির পরিমাণ: ৭৫.৩৬ কাঠা। বাজারমূল্য: ১০০ কোটিরও বেশি। সরকারি চাকরিজীবনের আড়ালে দুর্নীতির সাম্রাজ্য গড়ে তোলার এ যেন জীবন্ত প্রমাণ!
স্থানীয় ঠিকাদারদের বঞ্চনা, ছাত্রলীগের তুষ্টি ! গাজীপুরের স্থানীয় ঠিকাদাররা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান-হালিম সব কাজ নিজের পরিচিত ঠিকাদারদের দিয়েছেন। তার নির্দেশ ছাড়া দরপত্র জমা দেওয়ার সুযোগ নেই। ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করে দাপটের সঙ্গে টেন্ডার প্রক্রিয়া পরিচালনা করেছেন তিনি।
জনগণের প্রশ্ন: দুটি মৃত্যুর দায় কে নেবে ? একজন প্রকৌশলী যিনি দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়ে দুইটি মানুষের মৃত্যুর কারণ হলেন, যিনি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রুলের তোয়াক্কা করেন না, তিনিই কিনা কোটি কোটি টাকার টেন্ডার বিতরণ করছেন? এমন ব্যক্তিকে পেছনে রেখে নতুন বাংলাদেশ কিভাবে গড়ে উঠবে? শোনা যাচ্ছে ফ্যাসিবাদের দোসর প্রধান প্রকৌশলী বেছে বেছে আআওয়ামীলীগের লোকজনকে বাচাচ্ছে।
যদি প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতার এমনই লোকজন রাখবেন আর আওয়ামী বিরোধীদের বেছে বেছে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পাঠাবেন তাহলে ছাত্র জনতা রাস্তায় এতো রক্ত কেনো দিলো?? জবাব দেবেন কি গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব প্রাপ্ত উপদেষ্টা ও মানবাধিকার সংস্থার নেতৃত্বে থাকা আদিলুর রহমান??