নইন আবু নাঈম তালুকদার (বাগেরহাট) : শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে মন্দিরগুলোতে শোভা পেয়েছে বিভিন্ন দেব দেবীর প্রতিমা। ইতোমধ্যেই যার রঙের কাজ শেষ হয়েছে। এখন চলছে শেষ প্রস্তুতি আলোকসজ্জা।

আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর শনিবার মহাষষ্ঠী পূজার মধ্যদিয়ে দুর্গোৎসবের মূল পর্ব শুরু হবে। এবং আগামী ২ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে শেষ হবে ৫ দিনব্যাপী এই উৎসব।
শরণখোলা উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদের সভাপতি শ্রী বাবুল দাস বলেন,গতবছর এ উপজেলায় ২০ টি পূজা মণ্ডপে পূজা উদজাপন করা হয়েছে। এবছর ২২ টি মণ্ডপে অনুষ্ঠিত হবে শারদীয় দুর্গাপূজা।

শরণখোলা উপজেলা পূজা উদজাপন পরিষদের সভাপতি শ্রী আশীষ কুমার দাস বলেন,দুর্গাপূজা উপলক্ষে ইতোমধ্যে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে মিটিং হয়েছে। প্রশাসন আমাদের সার্বিক খোঁজ খবর নিচ্ছেন,প্রত্যেকটি মন্দিরে সরকারি অনুদান দেওয়া হয়েছে। কোনো প্রকার সমস্যা নাই। তাছাড়া তিনি আরো বলেন,দুর্গাপূজায় শরণখোলায় কখনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি তাই এবছরেও শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদজাপন করতে পারবে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।

শরণখোলা পূজা উদজাপন ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক বুবাই কুমার নাগ বলেন,আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর মহাষষ্ঠী পূজার মধ্যদিয়ে দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। এরই মধ্যে প্রত্যেকটি মন্দিরে দুইজন করে আনসার সদস্য পাঠানো হয়েছে। এছাড়া প্রতিটি মন্দিরে ৫’শ কেজি করে চাল অনুদান দেওয়া হয়েছে।
এবছর দুর্গাপূজা স্বতঃস্ফূর্তভাবে পালন করবে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা।
শরণখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ মো: শহীদুল্লাহ বলেন, শরণখোলার ২২ টি পূজা মণ্ডপে আনসার সদস্যদের পাশাপাশি পুলিশ সদস্যরা টহল দিবে।
কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশের পাশাপাশি থাকবে র্যাব সদস্যরা। তাছাড়া দুর্গম এলাকাগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া এই এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ তেমন কোনো মন্ডব নাই। তাই হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ নির্বিঘ্নে পূজা উদজাপন করতে পারবে বলে মনে করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুদীপ্ত কুমার সিংহ বলেন,শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে এরই মধ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সবার সাথে মিটিং করা হয়েছে। সেখানে হিন্দু,মুসলিম সহ রাজনৈতিক দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও ছিলেন। দুর্গাপূজা যাতে শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয় সে জন্য সবাই সবার স্থান থেকে সহযোগিতা করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন,দুর্গাপূজায় বিশৃঙ্খলা এড়াতে মাঠে থাকবে র্যাব,পুলিশের পাশাপাশি আনসার সদস্যরা। এরই মধ্যে প্রত্যেকটি মন্দিরের সভাপতি,সম্পাদকের কাছে সরকারি অনুদানের ৫’শ কেজি চাল পৌঁছে দেয়া হয়েছে। তাছাড়া শরণখোলার ২২ টি পূজা মণ্ডপে আনসার সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর শনিবার শুরু হবে দুর্গাপূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, বাগেরহাট জেলায়“৬০৫টি মন্দিরের মধ্যে ৯০টি মণ্ডপ ঘিরে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।