নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর মুগদা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক শহিদ মো. সাদিকুল ইসলামকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে। বুধবার তাকে ওএসডি করে এক আদেশ জারি করা হয়।
সম্প্রতি কোভিড-১৯ চিকিৎসার জন্য কেন্দ্রীয় ঔষধাগার থেকে দেয়া মাস্কের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন এই পরিচালক। তিনি এ বিষয়ে মতামত চেয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর চিঠিও দিয়েছিলেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বুধবার সাদিকুল ইসলামকে ওএসডি করে আদেশ জারি করা হয়। এ সংক্রান্ত চিঠি সাদিকুল ইসলাম হাতে পেয়েছেন। তবে এ সংক্রান্ত আদেশে ওএসডি করার কোনো কারণ উল্লেখ করা হয়নি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বা সন্দেহভাজন রোগীদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য বিশেষ সুরক্ষাসামগ্রী দিচ্ছে সরকার। এর মধ্যে মাস্কও আছে। রাজধানীর মুগদা জেনারেল হাসপাতালে ‘এন৯৫’ মাস্কের নামে যেসব মাস্ক দেয়া হয়েছে, সেগুলোর মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এন-৯৫ মাস্ক লেখা মোড়কে দেয়া হয়েছিল মুন্সিগঞ্জে তৈরি করা মাস্ক।
গত ১ এপ্রিল শহিদ মো. সাদিকুল ইসলাম স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এ বিষয়ে একটি চিঠি দিয়েছেন। তাতে বলা হয়, হাসপাতালের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩০ মার্চ কেন্দ্রীয় ঔষধাগার অন্যান্য মালামালের সঙ্গে ৩০০টি এন৯৫ মাস্ক সরবরাহ করেছে। মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ার একটি প্রতিষ্ঠান এই মাস্কের প্রস্তুতকারী।
এই মাস্কগুলো প্রকৃতপক্ষে ‘এন৯৫’ কি না, সে বিষয়ে হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় সাংসদ সাবের হোসেন চৌধুরী টেলিফোনে হাসপাতালের পরিচালকের কাছে জানতে চেয়েছেন। চিঠিতে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় মতামত দেয়ার অনুরোধ করা হয়।